somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জঙ্গিবাদ নিয়ে অহেতুক বির্তক মোটেও কাম্য নয়

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তর্কে বিতর্কে জর্জরিত বর্তমান সময়ের আমাদের দেশে অন্যতম সমস্যা ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিবাদ । বর্তমানে এটা আমাদের অলোচিত সমস্যা হলে ও কিন্তু এটা নতুন সমস্যা নয় । পুরোনো পণ্যের ই একটা নতুন মোড়ক । একেক সময় এই ধর্মীয় উগ্রবাদিরা একেক বেশ আর্বিভূত হয়েছে । কোন সাধারান ইস্যুতেই নানা ভাবে দেশে নানা অরাজগ পরিস্হিতির জন্ম দিয়ে এই ধর্মীয় উগ্র মৌলবাদী জঙ্গিরা । দেশের কোন প্রগতিশীল মানুষ ই রক্ষা পাই নি ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিদের ছোবল থেকে যাকে যে ভাবে পেরেছে আঘাত করেছে । তাদের এই আঘাত থেকে বাঁচতে অনেক প্রগতি চিন্তার মানুষকে প্রিয় মাতৃভূমির মায়া ছেড়ে শুধু জীবন রক্ষার জন্য দেশান্তরি হতে হয়েছে আর যারা দেশান্তরি হতে ব্যর্থ হয়েছেন বা দেশে মায়া ছাড়তে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে হয়েছে । ধর্মীয় উগ্র জঙ্গিরা আস্কারা পেয়েই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলার সাহস যুগিয়েছে । রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা কে অনেকেই জিম্মি ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন । যারা এই মামলা জিম্মি সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন করতে চাই কোন দৃষ্টিতে আমরা এই হামলাকে জিম্মি সংকট হিসেবে মেনে নিব । কোন গোষ্ঠি বা দল সাধারন মানুষকে জিম্মি করে তাদের কিছু দাবী দাওয়া বা শর্ত পূরনের জন্য ।

গুলশান হামলায় জঙ্গিদের কোন নির্দিষ্ট দাবী দাওয়া বা শর্ত ছিল না । যদিও কিছু গুজব বাতাসে ভেসে বেড়িয়েছে কিন্তু আমরা এর কোন সত্যতা পাই নি । তাই এই হামলায় অংশগ্রহনকারী জঙ্গিরা শুধুই ছিল হামলাকারী তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল কিছু নিড়ীহ মানুষকে বিশেষ করে বিদেশী নাগরিকদের খুন করে দেশে এক বিশৃংখল অবস্হা সৃষ্টি করে পালিয়ে যাওয়া । তারা সাধারন মানুষদের বর্বর ভাবে খুন করতে পেরেছিল ঠিক ই তবে পালানোর পথ আর তারা বের করতে পারেনি । তবে নাটের গুরুরা এখনো রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাহিরে । যদি ও গুলশান হামলায় সেদিন জীবিত উদ্ধার হওয়া হাসনাত করিম ও তাহমিদ হাসিব খানকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে । হাসনাত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবেক শিক্ষক জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের পৃষ্টপোষকতার অভিযোগে ২০১২ সালে তাকে সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষককে ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে ।তাহমিদ হাসিব খান কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং কানাডার নাগরিক গুলশান হামলার দিনই দুপুরে ঢাকায় আসেন তাহমিদ। হাসনাত ও তাহমিদ কে নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন সোস্যেল মিডিয়ায় বিতর্কের বন্যা বইছে ইতোমধ্যে কানাডা থেকে " ফ্রী তাহমিদ " নামে একটি মিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন । এই ক্যাম্পেইন মাধ্যমে তারা তাহমিদ কে নির্দোষ প্রমানে জন্য নানা অপচেষ্টার মাধ্যমে দেশের ভিতর লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের কে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করছে বলেই আমার ধারনা । হাসনাত বা তাহমিদ কোন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কি না বা তারা গুলশান হামলার সঙ্গে জড়িত কিনা সেটা নিয়ে আমি বিতর্কে যাবো না যেহেতু তারা আমাদের আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহীনির কব্জায় আছেন তদন্ত ঠিক ভাবে চললে অবশ্যই আমাদের আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহীনি সেটা বের করতে সক্ষম হবেন ।

গুলশান হামলার পর বিভিন্ন মিডিয়ায় হাসনাত ও তাহমিদের যে সব ছবি ও ভিডিও চিত্র প্রকাশ হয়েছে তাতে আমাকে দারুন ভাবে বিশ্মিত করেছে মনের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্নের । তাহমিদকে যেভাবে অস্ত্র নিয়ে নাড়া চারা করতে দেখেছি আর হাসনাতকে নিহত জঙ্গিদের সাথে ধুমপানরত অবস্হায় হাটা চলা করতে দেখেছি তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে নিহত জঙ্গিদের সাথে তাদের যে একটা বিশেষ সম্পর্ক হয়তো ছিল । এমনকি শোনাগেছে ঐ রাতে এত গুলি মরদেহ সামনে রেখে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ও নাকি আত্ম তৃপ্তি নিয়ে্ই সেহেরি খেয়ে ছিল হাসনাত ও তার পরিবার ? গুলশান হামলার জঙ্গিরা নাকি বলে ছিল মুসলমান আর বাংলাদেশি হলে ওরা মারবে না ? অথচ ওদের হতা থেকে কিন্তু ফারাজ, ইসরাত আর আম্বিতা ও রক্ষা পায় নি । এমন ও গুজব শুনা গেছে ফারাজরা নকি বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহনের কারনে তাদের হত্যা করা হয়েছে । স্বাভাবিক ভাবে ই প্রশ্ন আসে হাসনাত ও তাহমিদের ও তো বিদেশে নাগরিকত্ব নেয়া তবে এমন কি কর্মের জন্য জঙ্গিরা তাদের রেহায় দিল ? ঐ সমালায় নিহত ফারাজকে নিয়ে অবশ্য আমাদের কিছু মিডিয়া তদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য নোংড়া বিতর্কে লিপ্ত ছিল । তাদের দেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম মূল সমস্যা ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ এ নিয়ে কোন নোংড়া বির্তক বা সমালোচনার জন্ম হউক যে বিতর্ক বা সমালোচনা ধর্মীয় উগ্রবাদ তথা জঙ্গিবাদকে শক্তি যোগাতে সহযোগিতা করবে ।

আমাদের কে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে জঙ্গিবাদ এটা কোন সাধারন সমস্যা নয় এমন কি এটা কোন রাজনৈতিক সমস্যা ও নয় যে এটা নিয়ে বিতর্ক তুললে এর গতি ধারা বা পথ পরিবর্তন করা যাবে । আমাদের সরকার ও তার প্রশাসনেরও খেলায় রাখতে হবে জঙ্গিবাদের মত জীবন মরন ইস্যুতে তাদের কর্মকান্ডে কোন নাটকীয়তার জন্ম না দেয় । জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত যে কোন ঘটনাই তারা দেশ বাসীর কাছে স্বচ্ছ ভাবে উপস্হপন করবে যাতে দেশের সাধারন মানুষের মনের ভিতর জঙ্গিবাদ ইস্যু নিয়ে বিন্দু মাত্র বিতর্কিত প্রশ্নের জন্ম না নেয় । তাহলেই সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের দেশে উগ্রধর্মীয় জঙ্গিবাদ কে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব ।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×