somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বিপ্লব নিয়ে চলচ্চিত্র দেশে দেশে

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বিপ্লব যেকোন দেশ বা জাতির জন্য সবচেয়ে গৌরব ও আবেগের। সেই গৌরবগাথা আর আবেগকে সেলুলয়েডে ধারণ করার ইতিহাস চলচ্চিত্র ইতিহাসের গোড়া থেকেই শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বিপ্লব নিয়ে এমনই কিছু চলচ্চিত্রকে নিয়ে লেখা এই পোস্ট।

দ্য ব্যাটলশিপ পটেমকিন
The Battleship Potemkin

রাশিয়ায় জারের আমলে ১৯০৫ সালে যুদ্ধজাহাজ পটেমকিনের সাধারণ নাবিকরা উর্দ্ধতন অফিসারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। সেই সত্য ঘটনাকে নিয়েই বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সার্গেই আইজেনস্টাইন নির্মান করেন দ্য ব্যাটেলশিপ পটেমকিন। পাঁচিটি অংশে এর কাহিনী চিত্রায়িত হয়েছে। প্রথম অংশে দেখা যায় সাধারণ নাবিকদের পোকাওয়ালা মাংশ খেতে দেওয়া হয়। এতে করে নাবিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। অসন্তোষ থেকে দেখা দেয় বিদ্রোহ। বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন ভাকুলিনচুক। দ্বিতীয় অংশে দেখা যায় জাহাজ ওডেসা বন্দরে পৌঁছেছে। আর ভাকুলিনচুকের মৃতদেহ শুয়ে রাখা হয়েছে। তৃতীয় অংশে দেখা যায় ওডেসা বন্দরে ন্যায়ের পথে নিহত ভাকুলিনচুকের সবাই শোকাহত এবং বিচারপ্রার্থী। চতর্থ অংশে দেখা যায় জারের সৈন্যরা বন্দরে ব্যাপক গণহত্যা চালাচ্ছে। আর পঞ্চম অংশে দেখা যায় সৈন্যবাহিনী সাধারণ নাবিকদের সাথে যোগ দেয়।
অভিনয় করেছেন আলেকজান্দ্রা আন্তোনভ, গ্রিগরী ভাকুলিনচুক। বিশ্ববিখ্যাত এই চলচ্চিত্রকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে প্রোপাগান্ডা চলচ্চিত্র।

দ্য প্যাশন অব জোয়ান অব আর্ক
The Passion of Joan of Arc

ইংরেজদের কাছ থেকে স্বদেশ ফ্রান্সকে মুক্ত করতে লড়েছিলেন জোয়ান অব আর্ক। ধরা পড়ার পর তাকে ডাইনি বানিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়। ঐতিহাসিক এই ঘটনা নিয়েই পরিচালক কার্ল থিওডর ড্রায়ার নির্মান করেন দ্য প্যাশন অব জোয়ান অব আর্ক। জোয়ান অব আর্কের বিচার এবং তার জীবনের শেষ কিছু মুহূর্ত আবেগঘন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় এই নির্বাক ছবিতে। ১১০ মিনিট দীর্ঘ এই ফিচার চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রেনে জিয়ানে ফালকোনেত্তি, ইউজেনে সিলিভাইন, আন্দ্রে বেরলে, সরিসে স্কুজ। ছবিটির মূল প্রিন্ট পুড়ে যাওয়ায় পরিচালক ছবিটির মুক্তি দেখে যেতে পারেননি। তিনি আবার ছবিটি তৈরীর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি মারা যান। পরে অসলো মানসিক ইহ্নটিটিউটের কেয়াটেকারের বাসা থেকে ছবিটির একটি প্রিন্ট পাওয়া যায়। সেই প্রিন্টই বর্তমানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র দ্য প্যাশন অব জোয়ান অব আর্ক।

গান্ধি
Gandhi

উপমহাদেশে বৃটিশ বিরোধী অহিংস আন্দোলেন জনক মহাত্মা গান্দীর জীবনী নিয়ে ১৯৮২ সালে নির্মিত হয় গান্ধী চলচ্চিত্রটি। বৃটিশ পরিচালক রিচার্ড এটনবরা নির্মান করেন এই ছবিটি। ছবিটির শুরু হয় গান্ধীর নিহত হওয়া এবং শেষকৃত্য দিয়ে। এর ফ্লাশব্যাকে চলে যায় ৫৫ বছর আগের ১৮৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায়। যেখানে দেখানো হয় সাদা-কালোর দ্বন্দ। এরপর শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অহিংস আন্দোলন। এরপর গান্ধী চলে আসেন ভারতে। এভাবেই শুরু হয় করমচাঁদ মহাত্মাগান্ধীর সংগ্রামমূখর জীবন। শ্রেষ্ট চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা চিত্রনাট্যসহ চিত্রগ্রহণ মেকআপ ও সংগিতে অস্কার জিতে নেই ছবিটি। এছাড়াও বাফটাতে (ব্রিটিশ একাডেমি অ্যাওয়ার্ড) ৫টি ক্যাটাগরী এবং গোল্ডেন গ্লোবে ৬টি ক্যাটাগোরিতে পুরস্কার পায়।

দ্য পেট্রিওট
The Patriot

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর নির্মিত আলোচিত চলচ্চিত্র দ্য পেট্রিওট। ১৭৭৫ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত চলতে থাকা উত্তর আমেরিকার ৩০টি বৃটিশ কলোনীর সাথে বৃটেনের যুদ্ধের সময়কে ধারণ করে ২০০০ সালে চলচ্চিত্রটি নির্মান করেন রোনাল্ড এমেরিখ। রবার্ট রোব্যাট রচিত গল্পে বেঞ্জামিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেল গিবসন। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিথ লেজার, জ্যাসন আইজ্যাক, জোয়েলি রিচার্ডসন প্রমূখ। ডিন ডেভলিন, মার্ক গর্ডন ও গেরি লেভিনসন এর যৌথ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মিউচুয়াল ফিল্ম কোম্পানি প্রযোজিত চলচ্চিত্রটিতে মিউজিক করেছেন জন উইলিয়াম্স। ছবিটির প্রেক্ষাপট যুক্তরাষ্টের স্বাদীনতা যুদ্ধ হলেও এখানে মূলত স্থান পেয়েছে দক্ষিণ ক্যারোলিনা রাজ্যের এক পরিবারের কাহিনী। ছয় সন্তানের জনক এক বিপত্নিক বেঞ্জামিন মার্টিন(মেল গিবসন) এর পরিবারের উপর দিয়ে যে বর্বরতা বয়ে যায় তাই দেখানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রটি অস্কারের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিল- বেস্ট সাউন্ড, বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি ও বেস্ট মিউজিক। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর এছাড়াও নির্মিত হয়েছে এইচ হাডসনের ‘রেভ্যুলুশন’(১৯৫৮), রবার্ট হারমনের ‘দ্য ক্রসিং’(২০০০), ওয়াল্টার ডি এডমনস লিখিত উপন্যাস অবলম্বনে জন ফোর্ড পরিচালিত ‘ড্রামস অ্যালং দ্য মোহাওয়াক’(১৯৩৯), ওয়ালট ডিজনি প্রোডাকশন রবার্ট স্টিভেনসন পরিচালিত ‘জনি ট্রিমাইন’(১৯৫৭)।

দ্য ডিয়ার হান্টার
The Deer Hunter

ভিয়েতনাম যুদ্ধের উপর নির্মিত সবচেয়ে আলোচিত ও পুরস্কৃত চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘দ্য ডিয়ার হান্টার’। বন্ধুত্ব, সম্পর্ক আর যুদ্ধের হতাশা নিয়ে অনেকটা তিন অংকের নাটকের মতো এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মাইকেল সিমিনো। প্রথম অংশে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার তিন বন্ধু মাইকেল, স্টিভেন ও নিককে। যারা সবাই একটি স্টিল কারখানায় কাজ করে। বন্ধুত্ব আর সম্পর্কের নানা রকম গল্পে দর্শক যখন হারিয়ে যায় তখন হঠাৎ করে দেখা স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিভিষিকা। শুরু হয় গল্পের দ্বিতীয় অংশ। আর শেষ অংশে দেখানো হয় বন্ধুদের আবার আমেরিকায় ফিরে যাওয়া এবং সেই পুরোনো সম্পর্ক আর বন্ধুত্বকে খঁজে পাওয়ার চেষ্টা। তিন বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবার্ট দে নিরো, ক্রিস্টোফার ওয়াকেন ও জন স্যাভেজ। ১৯৭৮ সালে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ওই বছর ৫ টি অস্কার জিতে নেয়- সেরা চলচ্চিত্র, সেরা ডিরেক্টর, সেরা সম্পাদনা (পিটার জিনার), সেরা সহ-অভিনেতা (ক্রিস্টোফা ওয়াকেন) ও সেরা শব্দ। এছাড়াও অস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছিল সেরা অভিনেতা (রবার্ট দে নিরো), সেরা সহ-অভিনেত্রী ( মিরাইল স্ট্রিপ), সেরা চিত্রগ্রহণ (ভিলমস জিগমন্ড) ও সেরা চিত্রনাট্য। জিতেছে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড (সেরা পরিচালনা) ও বাফটা অ্যাওয়ার্ড-এ সেরা চিত্রগ্রহণ ও সেরা সম্পাদনা পুরস্কার। এছাড়া ভিয়েতনাম যুদ্ধের উপর নির্মিত হয়েছে আমেকিান গ্যাংস্টার, সানী, জার্নি ফ্রম দ্য ফল, উই ওয়ার সোলজার, হামবার্গার হিল, গো টেল দ্য স্পাট্যান্স, দ্য বয়েস ইন কোম্পানি সি এর মতো অসংখ্য চলচ্চিত্র।

ব্লাক হক ডাউন
Black Hawk Down

সোমালিয়ায় চলতে থাকা গৃহযুদ্ধে আমেরিকার নাক গলানোকেই তুলে ধরা হয়েছে ব্লাক হক ডাউন চলচ্চিত্রে। এই নাক গলাতে গিয়ে যে কী বিভৎস রক্তপাতের ঘটনা ওখানে ঘটে তারই সফল চলচ্চিত্রায়ন করেছেন পরিচালক রিডলি স্কট। ছবিটি শেষ হয় স্ক্রিনে ভেসে ওঠা কিছু তথ্যের মাধ্যমে- ‘দ্বন্দে ১০০০ জন সাধারণ সোমালিও আর ১৯ জন মার্কিন সৈন্য মারা যায়.......’। অভিনয় করেছেন জশ হার্টনেট, এরিক ব্যানা, ম্যাকগ্রেগর, টম সিজেমর প্রমূখ। ২০০১ সালে আমেরিকায় মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রটি ২০০২ সালে দুটি বিভাগে অস্কার জিতে নেয়। বিভাগ দুটি হলো- সেরা শব্দ ও সেরা সম্পাদনা। এছাড়া অস্কারের মনোনিত হয়েছিল আরো দুটি বিভাগে।

দ্য ফাউন্ডিং অব অ্যা রিপাবলিক
The Founding of a Republic

চীনা বিপ্লবের জনক মাও সেতুং এর জীবনী নিয়ে নির্মিত চীনা চলচ্চিত্র ফাউন্ডিং অব অ্যা রিপাবলিক। হুয়াং জিয়ানজিন ও হ্যান সানপিং পরিচালিত এই ছবিতে মাও সেতুং চরিত্রে অভিনয় করেছেন ট্যাং গোকিয়াং। মান্দারিন ভাষায় নির্মিত ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন চেন বাগুয়াং ও ওয়াং জিংডং।

ডিফেন্ডারস অব রিগা
Defenders of Riga


এটি একটি লাটভিয়ান চলচ্চিত্র। লাটভিয়া ১৯২০ সালের ১১ আগস্ট রিগা চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯১৮ সাল থেকে চলে আসা স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির পরিচালক আইজারস গ্রুবা। লাটভিয়াতে সবচেয়ে বেশি প্রদর্শিত চলচ্চিত্র এই ডিফেন্ডারস অব রিগা। লাটভিয়ান ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন জেনিস রেনিস, এলিটা ক্লাভিনা, আরতুস স্ক্রসতিনস প্রমূখ। সংগিত পরিচালনা করেছেন পরিচালক নিজেই।

মোটরসাইকেল ডায়েরীস
Motorcycle Diaries

কিংবদন্তী বিপ্লবী চে গুয়েভারাকে নিয়ে কম বেশী মোট ২৪ টি সিনেমা হয়েছে, টিভি আর সিনেমার পর্দায়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘মোটরসাইকেল ডায়েরীস’। তেইশ বছর বয়সে দুই বন্ধু বের হয় মোটর সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমনে। চার মাসে ৮০০০ কিলোমিটার ভ্রমন করার উদ্দেশ্য থাকলেও একটি গৌন উদ্দেশ্য ছিল পেরুর কোন এক কুষ্ঠ আক্রান্ত এলাকায় কাজ করা। দুজনের একজন ‘ফুসার’ (চে) অন্যজন বয়সে কিছুটা বড় বন্ধু গ্রানাডো, পেশায় একজন বয়োকেমিস্ট। মোটরসাইকেল টা বিশাল, সেই সময় হিসেবে অনেক বড় বটে। বাবা মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রওয়ানা হলো ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে, বাসনা গ্রানাডোর ত্রিশতম জন্মদিন ভেনিজুয়েলায় কাটানো, রুটটা খুবই ব্যতিক্রম। আন্দিজ পর্বতমালার পাশ দিয়ে চিলি, তারপর মরুভূমি পার হওয়া এবং পেরু হয়ে তারপর ভেনিজুয়েলা। মজার সব ঘটনা ঘটে এই ভ্রমনে।
স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত চে’র আত্মজীবনী বই ‘দ্যা মোটরসাইকেল ডায়রিজ’ থেমে নির্মিত এই মুভি থেকে চে কিভাবে বিপ্লবের সাথে জড়িত হলো তা বোঝা যাবে না, তবে বিপ্লবের সাথে জড়িত হবার পূর্ব মানসিকতা বুঝতে সাহায্য করবে।
ব্রাজিলিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা ওয়াল্টার সেল্স পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারী একটি ফেস্টিভ্যালে মুক্তি পায়। ভাষা স্পেনিশ ও কুয়েচু। সেরা সংগিতে অসকার জয় ছাড়াও কান চলচ্চিত্র উৎসব, বাফটাসহ বেশকিছু ফেস্টিভ্যালে ছবিটি পুরস্কার জিতে নেয়।

দ্য উইন্ড দ্যাট শ্যাক্স দ্য বেরিলি
the wind that shakes the barley

১৯১৯ সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত চলতে থাকা আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধেও উপর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্য উইন্ড দ্যাট শ্যাক্স দ্য বেরিলি’। ইংরেজি ভাষায় নির্মিত ছবিটির কাহিনী লিখেছেন পল ল্যাভারটি। পরিচালনা করেছেন কেন লোয়াচ। অভিনয় করেছেন সিলিয়ান মারফি, পেড্রইকি ডেলানি।

খেলে হাম জি জান সে
Khelein Hum Jee Jaan Sey

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের বীর চট্রগ্রাম অস্ত্রলুন্ঠনের নায়ক মাস্টারদা সূর্যসেনকে নিয়ে অস্কার মনোনয়ন পাওয়া লগান, স্বদেশ, যোধা আকবরের নন্দিত পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়িকর এবার নির্মান করেছেন ‘খেলে হাম জি জান সে’। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবির প্লট সম্পর্কে আশুতোষ বলেন, ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার থেকে জালালাবাদের যুদ্ধে মাস্টারদা সূর্যসেন ও তাঁর নির্ভীক যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কাহিনি নিয়েই আমার এই ছবি।’ ১৯৩০ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন চট্টগ্রামের কিছু মানুষ। সংখ্যায় তাঁরা ছিলেন ৬৪ জন। তাঁদের আন্দোলনে পুরো ভারতবর্ষ সাড়া ফেলে দেয়। বাংলায় সশস্ত্র সংগ্রাম তাঁদের মাধ্যমে শুরু হয়। এই দলে ছিলেন ৫৬ জন যুবক, পাঁচজন বিপ্লবী আর দুজন নারী।

দেশকে মুক্ত করার এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন আদর্শবান শিক্ষক মাস্টারদা সূর্যসেন। অন্যদিকে সূর্যসেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সঙ্গে কাজ করেছেন বিপ্লবী কল্পনা দত্ত। ১৯৩১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সূর্যসেনের নেতৃত্বাধীন ‘ভারতীয় বিপ্লবী সেনাবাহিনী: চট্টগ্রাম’ শাখায় যোগ দেন কল্পনা দত্ত। আর এই সূর্যসেন-কল্পনা দত্তের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন-দীপিকা পাড়ুকোন। কল্পনা দত্তের পুত্রবধূ সাংবাদিক মানিনী চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‌‌'ডু অর ডাই' অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। হিন্দী ভাষায় ছবিটি মুক্তি পেলেও খুব শিগগিরই তামিল, তেলেগু ও বাংলা ভাষায় ডাবিং করে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে বলে পরিচালক জানান।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩১
১৭টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×