প্রতিটি প্রাণীর নিজস্ব চলার গতি স্থম্ব আছে। প্রতিটি মানুষেরও চলার জন্য তার নিজর্স্ব কক্ষপথ ও গতিবেগ আছে যা একে অপরের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। শত কষ্ট, বেদনা,দুঃখ আর ভালোবাসা সবই নিত্যদিনের প্রয়োজনী পন্যের মতই মানুষের বড় সঙ্গী।শত ঝড়ের মাঝেও
মানুষ নিজেকে কখনো ধমকা গতির সাথে উড়িয়ে দিতে চায়না সে তার চেতনাকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চায় । যেখানে শেষ সেখানেই যেন নতুন প্রভাত নতুন সূর্য আবারো দিনপঞ্জির শুরু।
ব্যস্ত কর্ম জীবন মানুষের আত্মতৃপ্তের আরেকটা অংশ। সকাল আটটা হতে রাত আটটা বাসায় আসতে আসতে আসতে নয়টা বা দশটা,সব মিলিয়ে একজন পুরুষ বা নারীর দিনের ২৪ ঘন্টার ভিতরে ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা পরিবার থেকে বিছিন্ন থাকতে হয় ।ঘরে যে সময়টুকো থাকা সে সময়টুকো নারী হলে পরিবারের জন্য রান্ন,কাপড় ধোয়া,ছেলে মেয়েকে স্কুল কলেজের জন্য তৈরি করা সংসারের আরো কত কি কাজ তার কোনো শেষ নেই।আর পুরুষ হলে সকাল হলেই মনিং ওয়ার্ক সাথে রুটিন মাফিক বাজার করা তারপর বাসায় ফিরে অফিসের জন্য নিজেকে তৈরি ও নাষ্টার পালা শেষ করে অফিসে দৌড় দেয়া। সব মিলিয়ে আসলে নিজের পরিবারকে একজন মানুষ কতটুকো সময় দিতে পারে বা পারলো সেটা আমরা নিশ্চয় বুঝতে পারছি।
দৈনিক জীবনের জয় পরাজয়ের সংখ্যার মাঝেই নিজের জীবনটাকে নিয়ে ছুঁটতে হয় তবু সময় নেই পিঁছু ফেরার।প্রতিদিন শত হাড়ভাঙা খাটুনি এবং নানান সমস্যা মোকাবেলা করতে হয় প্রতিটি মানুষ সদস্যদের শুধু মাত্র পরিবারের চাহিদা আর নিজের শরীরে পেট নামক একটা বড় অংশ বিশেষ অঙ্গের জন্য আর বেঁচে থাকার তাগিদে।মানুষ কি কখনো ভেবে দেখেছে তার পুরো জীবনটাই একটা আলাদা গতিতে চলার পথ যেখানে নেই কোন পাথর ধালাই বা পিচ আছে শুধু মাঝে মাঝে সময় সাময়িক ট্রাফিক সিগন্যাল ।
বাকি সব.........শুধু............০।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৫