somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রভাস ভাবনা

০৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রভাস ভাবনা
খোরশেদ আলম ৷

কুয়েত এসেছি প্রায় ৫ মাস চলছে ৷ এখন ও কুয়েতের পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারি নাই৷বাংলাদেশের চারদিকে গাছ পালা,আর এখানে গাছপালা নেই বললেই চলে৷ শুধু মাঝে মাঝে খেজুর গাছ দেখা যায় ৷ তবে তা সংখ্যার তুলনায় নগন্য ৷ তাছাড়া আমি যাদের সাথে কাজ করি তারা অধিকাংশ ইন্ডিয়ান, কেরালা,তামিল৷ তাদের সাথে আমার ভাষা গত সমস্যা দেখা দেয়৷ তাই যখন কোন বাংলাদেশীকে পাই কথা বলি৷ তখন আমার খুব ভাল লাগে ৷ তখন আমার মনে হয় যে আমি বাংলাদেশে আছি৷ আমি কাজ করি কুয়েতের সবচেয়ে বড় তেল রিফাইনারি মিনা আহাম্মদিতে৷এখানে তেল রিফাই করা হয়৷ একদিন কাজের ফাকে দেখি ১৩-১৪ বছরের এক বালক চুপচাপ বসে আছে,পাশে বড় আকারের পলিথিন ব্যাগ৷ তার মানে ছেলেটি পড়ে থাকা কাগজ আর্বজনা পরিষ্কার করে ৷তাই আমি পুরো পুরি ভাবে সিউর হলাম ছেলেটি বাংলাদেশী৷কারন এসব কাজ বাংলাদেশী লোক সবচেয়ে বেশী করে ৷ আমি ছেলেটির পাশে বসলাম৷ছেলেটি আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল৷ও ভাবছে হয়ত আমি ইন্ডিয়ান না বাংলাদেশী৷আমাকে এখানে অনেকে ইন্ডিয়ান মনে করে ৷ অনেকে বলে আমাকে নাকি ইন্ডিয়ান মনে হয়৷ তাছাড়া আমার কাদে পাইপ মাপার থিকনেস মেশিন। যাহোক আমি ছেলেটির পাশে বসলাম ৷ বললাম তোমার নাম কি ? ছেলেটি অনেকটা ভুত দেখার মত চমকে উঠল ৷ নিচের দিকে তাকিয়ে বলল, আবুল কালাম ৷
: জেলার নাম কি ? রাজশাহী নওগাঁ।
: বিদেশ আসার জন্য তা কত টাকা খরচ হয়েছে?
প্রায় ২ লক্ষ টাকা।
:বেতন কত ?
২০KD,থাকা কোম্পানীর,খাওয়া নিজের। প্রায় ৩ মাস ধরে এসেছি। কিন্তু এখনো বেতন দেয়নি।
:তা বেতন পাওনি। তাহলে খাবার পাও কেথায় ?
:এক দিন না খেয়ে ছিলাম। মাঝে মাঝে আমাদের কোম্পানির বাংলাদেশী লোকেরা দিলে খাই, আর না দিলে না খেয়ে থাকি। এ বলে ছেলেটি কেঁদে ফেলে। যে ছেলে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে কুয়েতে আসে।আর সে ছেলে ধনবান দেশে এসে না খেয়ে থাকে ।হায়রে দুনিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×