স্ত্রী বা বউয়ের কত প্রতিশব্দ -কলত্র, দার, ভার্যা, পত্নী, বনিতা, সহধর্মিণী ও অর্ধাঙ্গিনী । অন্য প্রতি শব্দগুলো নিয়ে আপত্তি না থাকলেও স্ত্রীর প্রতিশব্দ অর্ধাঙ্গিনী কে নিয়ে কিছু আপত্তি আছে। প্রতিশব্দটি কে দিলেন, কেন দিলেন তা আজ্ও জানলাম না, বুঝলাম না। যে , যে কারণেই স্ত্রীকে অর্ধাঙ্গিনী বলে থাকুন না কেন তিনি হয় শব্দটি ভুল বা মিথ্যা বলেছেন অথবা তার গণিতে কোন জ্ঞান ছিলনা এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তিনি যদি স্ত্রীকে কমপক্ষে পৌনেএকাঙ্গিনী বলতেন তবে মনে না নিলেও মেনে নিতাম। কিন্তু অর্ধাঙ্গিনী বলায় যে গাণিতিক ভুল হয়েছে একজন গণিত প্রেমিক হিসাবে তা মেনে নিতে পারিনা।
অনেকেই হয়তো এই ভেবে অবাক হচ্ছেন যে গণিতের সাথে আবার ব্যাকরণের কী সম্পর্ক!!! আছেরে ভাই , সম্পর্ক আছে। একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
যেমন এক্ষেত্রে আমার খালাতো ভাই, ভাবীর উদাহরণটি দেয়া যায়-
খালাতো ভাই- ৪০
ভাবী---------- ১২০
মোট ----- -----১৬০
এখন ভাবী হল মোট ১৬০ এর ১২০ অংশ বা ১২০/১৬০ বা ৩/৪ অংশ, অর্থাৎ পুরোপুরি পৌনে এক বা পৌনেএকাঙ্গিনী ।
যদি বা বিয়ের পর পর কোন স্ত্রী অর্ধাঙ্গিনী থাকেনও কিন্তু ২-৪ বছর পার হতে না হতে তিনি পৌনেএকাঙ্গিনী বা চারপঞ্চাঙ্গিনী হয়ে যান। যারা এখন্ও খালাতো ভাই এর কি ৪০ আর ভাবীর কি’ই বা ১২০ বা কিসের পৌনেএকাঙ্গিনী অথবা পঞ্চচারাঙ্গিনী বুঝতে পারেননি তারা নিচের ছবি গুলি দেখুন সব পরিষ্কর হয়ে যাবে------------
ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
১) লাইফ মানেই পৌনেএকাঙ্গিনীর জন্য সেক্রিফাইসঃ
২) আর পাঁচ বছর পর মনে হয় একে ফুয়েল ট্যাংকের পরিবর্তে হ্যান্ডেলে বসতে হবেঃ
৩) বিয়ের সময়ই এই অবস্থা, পাঁচ বছর পরে মনে হয় ইনি পূর্ণঙ্গিনী হবেনঃ
৪) গাহি সাম্যের গান, দেশ বিদেশে সবখানে হয় পত্নীরা স্বাস্থ্যবান(কি দেশ কি বিদেশ ভাই সবখানেই তারা পৌনেএকাঙ্গিনী বা চারপঞ্চাঙ্গিনী)-