somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুয়েটের বিদায়ী ব্যাচের সাজসজ্জা, কাক-শিয়ালের হুক্কা-হুয়া

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সম্প্রতি কুয়েটের বিদায়ী ব্যাচ তাদের সেমিস্টারের শেষ দিন উদযাপনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছে। তিনধরনের পোষাক তারা ব্যবহার করেছে। দেশি লুঙ্গি-পাঞ্জাবী, তামিল মুভির আদলে সাদা, সাদা-কালো, আর আরব বেদুইন স্টাইলে হাবিবী পোষাকে তারা তাদের শেষের দিন উদযাপন করেছে।



তাদের খুশির দিন উদযাপনের এই ব্যাপারটা খুব ভাল লেগেছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন একটা ব্যাচের সব ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একমতে পৌছানো খুব কষ্টকর ব্যাপার। সেখানে ১৫ ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীরা দেখিয়ে দিয়েছে ঐক্যমত্য কোন অসম্ভব ব্যাপার না। সহজ-সরল মানসিকতা নিয়ে তারা আলোচনায় বসেছে, তারা ঠিক করেছে কেক কেটে ক্লাস পার্টি না করে তারা ক্যাম্পাসে একই ধরনের পোষাক পড়ে ঘুরাফিরা করবে আর সেলফি তুলবে। এই ক্ষেত্রে তারা বেঁচে আকর্ষনীয় পোষাক পরিচ্ছদ, যেটা তারা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে বানিয়েছে। একটা ব্যাচের সবাই মিলে যখন একতা দেখাতে পেরেছে, আমি এই ব্যাচের সবাইকে খুব ভাল মনের বলেই মনে করি।



আমরা যখন ক্যাম্পাসে ছিলাম তখনও বিভিন্ন আইডিয়া নেয়া হত কিভাবে একটা ব্যাচের র‍্যাগ ডে, লাস্ট ডে, লাস্ট এক্সাম এইগুলা উদযাপন করবে। সবাই চাইত তাদের ব্যাচেরটা যেন বাকিদের থেকে ভিন্ন হয়। '১৫ ব্যাচের আইডিয়াটা খুবই ইউনিক, এবং এজন্য তারা প্রশংসার দাবিদার। শতভাবে বিভক্ত একটা দেশে এতগুলা ছেলে-মেয়ে একসাথে দাঁড়াতে পেরেছে, এইটা নিসন্দেহে একটা ভাল কাজ। সরল মন না থাকলে তারা এই কাজ করতে পারত না।



কিন্তু, এই কাজেও খুঁত ধরা শুরু করছে বাংলার অতি বুদ্ধিমান সমালোচকরা। তাদের মতে আরব্য বেদুঈনদের পোষাকের সাথে বাংলার কি সম্পর্ক? এরা কি আইসিস? এরা বাংলার সংস্কৃতি বিকিয়ে দিচ্ছে, বাংলাকে ভুলে যাচ্ছে। চারধরনের গেট-আপ নিয়ে মিছিল করেছে ছেলেমেয়েগুলো। কিন্তু সমস্যা দেখা দিচ্ছে হাবিবী পোষাক নিয়েই। বাকিগুলো তামিল হিরো অথবা ভিলেন নিয়ে তাদের কোন সমস্যা নাই। লুঙ্গি-পাঞ্জাবী নিয়ে তাদের কোন প্রশংসা নাই। কেন? ঢাকার অভিজাত এলাকায় যখন লুঙ্গি পড়া রিকশাওয়ালা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন এসব সংস্কৃতির ধারক-বাহকেরা কই ছিলেন?

এত পেঁচানো কেন সমালোচকদের মন? এত নীচ কেন তাদের চিন্তাধারা? একজন তো প্রশ্ন করল, কুয়েটে আদৌ কোন পড়াশুনা হয় কি না! ক্লাসের শেষে পড়াশুনা হয় কি না সেটা তো পরীক্ষার রেজাল্টে বুঝা যাবে। সারা বাংলাদেশে যখন প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছিল, তখনো কুয়েটে মানসম্মত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়েছে। এই কথা তো সমালোচক সাংবাদিকেরা তখন প্রশংসা করে নি। এই তুচ্ছ বিষয়ে কেন এখন এত নোংরা মন্তব্য?

একবার একটা ট্যুর করতে গিয়ে আমরা টি-শার্ট ডিজাইন করলাম; শার্টের পেছনে বাংলাদেশের মানচিত্র, সামনে ব্যাচের নাম সম্বলিত লোগো। ট্যুর শেষ করে এসে জানতে পারলাম শার্টের পেছনে মানচিত্র দেওয়া শার্ট এর আগেও আরেকটা ব্যাচ বানিয়েছিল, এবং সে কারণে আমাদেরটা ইউনিক হয়নি। একটু মন খারাপ হয়েছিল, কিন্তু কি আর করা। দেশের মানচিত্র তো একটাই, বিকৃত তো করতে পারি না। কিন্তু সমালোচকদের কথা শুনে মনে হচ্ছিল, বিকৃত করলেই হয়তোবা তারা খুশি হত।

দেশের এত এত ইস্যু আছে যেখানে সমালোচকদের দৃষ্টি আঁটকায় না, ওদের মন পড়ে থাকে নীচ মানসিকতায়। কবে ওরা মানুষ হবে

আপডেট: হাবিবীদের ফুটবল খেলা দেখুন এখানে Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৬
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×