“রাতের গর্ভে শুয়ে থাকা দিনের পিতা”
অজ্ঞানতার কুলীন চাদরখানা টেনে নিলীমা ঘুমায় । রাতের গর্ভ ছিঁড়ে দিনের আলো শুদ্ধতম রোশনাইয়ের পিদীমখানা জ্বেলে দিলেও নিলীমা অন্ধকারের চাদরখানা জড়িয়ে রাখে মনের শরীরে । আড়মোড়া ভাঙেনা, ওম দিয়ে পড়ে থাকে । মনের নাবুঝ ডিমখানা তার আধখেঁচরা ওমে ভেতরে ভেতরে এক একটা ক্লেদাক্ত ভ্রুনের জন্ম দিতে থাকে । এক থেকে দুই, দুই থেকে চার, চার থেকে ........ ।
সে বীজভ্রুন ছড়িয়ে যায় সবখানে , নিলীমার যতো আকাশ আর পাতাল আছে তার সবখানে । সে বীজ থেকে আপাতঃ উজ্জ্বল সোনার বরণ স্বর্ণলতার কচি তনুখানি ডানা মেলে দিলেও সে ডানায় আছর করে থাকে পৌরানিক নির্বুদ্ধিতার বিষ । কলুষিত জ্ঞানের পঁচাগলা গন্ধম রস । অবুঝ নিলীমা আবেশে জড়ায় তাকে । তার দেহকোষের প্রানভোমরা যে তাতে শ্বাসরূদ্ধ হয়ে ওঠে নিলীমা বোঝেনা তা ।
দু’কলম পাশ দিয়েই নিলীমা ভাবে , যা কিছু ছিলো জানার তা হয়েছে শেষ । এখন স্তবের গান শোনাই তার শেষ পারানীর কড়ি । উৎরে যাবে সে স্বর্গের কৈবল্যধাম । স্বর্ণলতার সে মোহময় জালে আটকে যায় নিলীমার মনের চৌহদ্দি । ফুল ফল বিহীন সে লতা অজগরী পাঁকে ফেলে গিলে খায় তাকে । নিলীমা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে তার বুদ্ধির ঘরে ঝোলানো রং-তামাশার নামাবলীর বদখত কারূকাজে। সে নামাবলী জনে জনে ডেকে ডেকে দেখায় নিলীমা। দেখনেওয়ালারা বুঁদ হয়ে দেখে যায় সে নামাবলীর গায়ের নকশা কাটা ঘুলঘুলির অন্ধকার । সে দেখায় অন্ধকারের গর্ভে শুয়ে থাকা দিনের পিতার আদল দৃশ্যমান হয়না ! তাদের জ্ঞানের চোখে লাগানো ঠুলির আস্তরণ পেড়িয়ে সূর্য্যের আলো ঢোকেনা কোথাও, পড়ে থাকে অন্ধকার ।
বাইরের পৃথিবীতে সহোদরা রাতের গর্ভে শুয়ে থাকা দিনের পিতা যখন ধীরে ধীরে আড়মোড়া ভাঙে , নিলীমার খোয়াব দেখা চোখে তার রোশনাই ধরা পড়েনা । পিতার পৌরুষে যে সপ্তসমুদ্র মন্থনের বীর্য্য অমরতা ছড়ায় ধরা পড়েনা তা । ধরা পড়েনা তার উর্দ্বারোহনের বাসনায় সে যে তার নিজের পতনকেই কামনা করে চলেছে নিয়ত, তা-ও । জরাতুরা বসুন্ধরার মতো নিলীমার বুদ্ধির ভাড়ার ঘরে অস্তরাগে লীয়মান আলোর অঞ্চল সীমিত হয়ে এলে অজড়, অমর কম্পমান পত্রাবলীর সংগীত শোনা হয়না তার ......................
[ এরপর থেকে আমার নতুন লেখা দেখার আমন্ত্রন রইলো আমার নতুন ব্লগ পোস্টএ এখানে
অতল জলের আহ্বান]
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৩