ঘরে কিছু কাঠালের বিচি পড়ে আছে। গিন্নীকে বললাম এগুলো দিয়ে ভর্তা কর। গিন্নী বল্লেন- আজতো হবেনা, কাজের বুয়া চলে গেছে।
বললাম - বুয়াকেতো ভর্তা করবে না, ভর্তা করবে কাঠালের বিচি এখানে বুয়ার কি দরকার।
জানালেন - শিল পাটায় রেখে এগুলো ভাংগতে হবে,সে অনেক ঝক্কি।
বললাম - কোন ঝক্কি নয়,আমাকে শিল পাটা এনে দাও আমিই ভেংগে দিচ্ছি।
আমাকে শিল পাটা এনে দিয়ে গিন্নী বাথরুমে গেলেন।
ফ্লোরে লেপ্টা মেরে বসে অপারেশনে নেমে পড়লাম।
বিচিগুলোর বিচিত্র স্বভাব। বাড়ি খেয়ে একটা যায় খাটের নিচে একটা আঘাত করে সিলিংফ্যানে । একটা পিছিত করে জানালা দিয়ে কই চলে গেছে আল্লা মালুম। সেকেন্ড কয় পরে নিচ তলার ভাবীর বাপের 'ঢিল মারে কোন হালার পুতেরে-' শুনে অবশ্য আমারও মালুম হয়েছে বিচিটা কোথায় গেছে। একটা অবশ্য তার নামে নাম আমার এরূপ এক গুরুত্বপূর্ণ অর্গানেও আঘাত হেনেছে।
নিজেরটা ছাড়া এতক্ষণ একটা বিচিও ভাংতে পারিনি। এবার একটাকে পাটার গর্তমত স্থানে বসিয়ে জুত মত দিলাম বাড়ি।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। গিন্নীর নানীর একমাত্র নিশান ৬০ বছরের পাটাকে ছবির এরুপ করতে আমার ৬০ সেকেন্ড ও লাগেনি।
অবস্থা বেগতিক হওয়ার আগেই শার্টটা কাধে নিয়ে দিলাম দৌড়।
আপাতত গা ঢাকা দিয়ে আছি। কোন সহৃদয় ব্যক্তি আমার সন্ধান পেলে নিকটস্থ বা দুরস্থ কাউকে জানানোর দরকার নাই।
পুনশ্চঃ দেখতে দেখতে সামুতে বারোটি বছর কাটিয়ে দিলাম। এই সময়ে প্রচুর সহব্লগারের আন্তরিকতায় সিক্ত হয়েছি।তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সামুর কাছ থেকে পেয়েছি অনেক, দিতে পারিনি কিছুই শুধু কৃতজ্ঞতা টা জানিয়ে গেলাম।সামুতে প্রায়শই ঢু মারি, সময়াভাবে পোস্ট করা হয় না। অনেক দিন পর ১২ বছর পুর্তি পোস্ট দিলাম। যারা এ পর্যন্ত পড়লেন তাদের সবার জন্য শুভকামনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৭