কেউ বলেন এসব ব্যাপারে সরকারের তদারকি নাই বলেই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে প্রয়োজনীয় ভোগ্য-পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি বলবো এই কথাটি একদম ঠিক না। এসব বিষয়ে-
সরকারের তদারকি ঠিকই আছে বলে মনে করি। কারণ টিভিতে যেসব খবর প্রচার করতে আমরা দেখি তার বেশির ভাগিই সরকারকে রক্ষা করার কূট-কৌশল মাত্র। এর মাধ্যমে যত দোষ সবকিছু ব্যবসায়ীদের উপরেই বর্তায়। আসলে কিন্তু সরকারের একটি মহল ব্যবসায়ীদের সাথে সিন্ডিকেট করে নানান অজুহাতে দাম বাড়িয়ে বাড়তি রোজগারটা রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ী উভয়ে ভাগাভাগি করে খান। যখন বিভিন্ন চ্যানেলগুলি তা জানতে চেষ্টা করেন তখনই রাজনৈতিকদের মুখের কথা বিশ্বাস করে তা প্রচার করাই যেনো চ্যানেল গুলোর কাজ হয়ে দাঁড়ায়?! কিন্তু সত্যি খবরটা জানার জন্য বাজার ব্যবস্থার ভেতরে ঢুকে তদারকি করে সত্যিটা যাতে জনগণকে জানানো যায় সেসব বিষয়ে চ্যানেলগুলো বাস্তবে তার প্রয়োজন বোধ করেন না।
আজকের সরকার হচ্ছে পাংকা ব্যাপারীর সরকার। একটি ছবিতে হুমায়ুন ফরিদি রাজনৈতিক ব্যাক্তি থাকেন এবং তার ছদ্মনাম থাকে পাংকা ব্যাপারী। মূল রহস্য জানতে গেলে ঐ ছবিটা দেখতে হবে সবার। তাহলেই সরকারের কালোছায়া সবাই বুঝতে পারবেন।
এক একজন মন্ত্রীর বাজার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তর্জন-গর্জন জনগণের চোখে পড়ার মতো, রমজানে কোনো ভাবেই দরকারী ভোগ্য পণ্যর দাম বাড়ানো হবে না কিংবা বাড়বে না বলে হুশিয়ারী দিচ্ছেন অথচ এর ভেতরেই দাম বাড়ে?! তার মানে কি?! ডাল ম্যা কুচ কালা হ্যায়! বুঝতে হবে রসূনের কোষ আলাদা হলেও বোটা এক যায়গায়। আর এটার নাম হচ্ছে বাংলাদেশী আওয়ামী রাজনীতি!!! ব্যবসায়ী আর আওয়ামী রাজনীতি এক হয়েছে বলেই ক্রেতার নিশ্বাস ওষ্ঠাগত!
শুনেছি মুসলিম দেশগুলো রমজান মাস এলেই বিভিন্ন ভোগ্য-পণ্যের দাম কমিয়ে দেন বাড়তি সওয়াব হাছিলের আশায়। আর আমাদের দেশের সরকার ও ব্যবসায়ী উভয়ে বাড়তি মুনফার জন্য দাম বাড়িয়ে দেন কিন্তু সওয়াবের দরকারও মনে করেন না!!! দুঃখজনক। এর থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন।
বিস্তারিত পড়ুন কাগজেঃ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিন
বিস্তারিত দেখুন চ্যানেলেঃ পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও রমজানকে উপলক্ষ্য করে, দেশজুড়ে বিভিন্ন ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৭