ব্যাস ।। হয়ে গেলো । এক হারেই জাত চলে গেলো । এই হইলো আমাদের কনফিডেন্স লেভেল ।
কথা বেশী বলার আগেই ম্যাশের ক্যাপ্টেনসির ব্যাপার নিয়া শুরু করা ভাল । এমনিতেই সবার মন মেজাজ খারাপ । লেখা পুরাটা পড়বে নাকি সন্দেহ আছে ।
ম্যাশের ক্যাপ্টেন্সির বিচার করা আমার মতো ক্ষুদ্র এক ক্রিকেট ফ্যানের “স্পর্ধা” ছাড়া কিছুই না । আমি যতদিন ধরে ক্রিকেট দেখি, ম্যাশ তার থেকেও বেশী দিন ধরে ক্রিকেট খেলে । তারপরেও নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়া কিছু বলি । প্রিয় ক্যাপ্টেন, ক্ষমা করবেন এই “স্পর্ধার” জন্য ।
আজকের ম্যাচের হারের জন্য ম্যাক্সিমাম পাবলিক দায়ী করবে মাশরাফির ক্যাপ্টেনসিকে । “কেনো শেষের দিকের ওভার গুলো স্পিনার দিয়ে করানো”, “কেনো মিরাজকে বারবার চালিয়ে যাওয়া”, “কেনো শেষ ওভারে শফিউলকে বোলিংয়ে না দেয়া” এরকম হাজারটা প্রশ্ন ফেসবুকে ঘুরঘুর ঘুরঘুর করবে ..
ভাইরে । আগে জাস্ট এতটুক ভাবেন, এটা “প্রস্তুতি” ম্যাচ । কোনো বাঁচামরার ম্যাচ না । কোনো মুল আসরের ম্যাচ না । এখানে তেমন লাভও নাই, লসও নাই। এইরকম একটা ম্যাচে ক্যাপ্টেন “পরীক্ষা-নীরিক্ষা” চালাবে না তো কোন ম্যাচে চালাবে?? এইসব ম্যাচ দিয়েই তো ক্যাপ্টেন পরীক্ষা করবে তার ব্যাকআপের কি অবস্থা । তার তো মুল বোলার সম্পর্কে ধারনা আছেই, সে তো চাইবেই বাকিদের একটু পরীক্ষা করে দেখতে। এইরকম সুযোগ কি একটা ক্যাপ্টেনের অহরহ মিলে??
আমি আবারো বলবো, এগেইন গ্রেট ক্যাপ্টেনসি ফ্রম মাশরাফি বিন মোর্তাজা । হয়তো ম্যাচ জিতেনি , কিন্তু দল সম্পর্কে একটা ধারনা হয়ে গেলো, শফিউল-তাসকিন-মিরাজদের আরো কতটুকু শিখা দরকার সেটা জানা হয়ে গেলো ।
আজ যারা শেষের দিকে মিরাজকে বোলিং দেয়া নিয়ে চেচাচ্ছেন, এই আপনারাই তো মিরাজের মধ্যে আগামীর সাকিব দেখেছিলেন তাই না?? ডেথ ওভারে সাকিবের কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই, মিরাজের মাঝে যখন সাকিবকে খোজেন ,তথন মিরাজকে একটু সুযোগ দিয়ে সমস্যাটা কোথায়?? ওকেও তো সাকিবের কাজ শেয়ার করতে হবে।
দিনশেষে আবার বলবো, এটা প্রস্তুতি ম্যাচ। ক্যাপ্টেন অনেক কিছুই করবেন । এই সেইম বোলিং ডিপার্টমেন্টটাই কিন্তু ম্যাচের অধিকাংশ সময় ম্যাচ নিজেদের করে রেখেছিলো। এই মুস্তাফিজুর-রুবেলহীন বোলিং ডিপার্টমেন্ট।
ম্যাচটা জিতলে হয়তো কনফিডেন্স লেভেল বাড়তো, কিন্তু হারাতে ক্ষতি নেই, “জেদ”-টা বাড়বে । এই জেদ টাও কিন্তু দরকারই জিনিস।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৩