somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবিব্লগ: রাইখ্যং-এর উজান বেয়ে পানছড়ি: পর্ব ২ (ফারুয়া থেকে পানছড়ি)

২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিব্লগ: রাইখ্যং-এর উজান বেয়ে পানছড়ি: পর্ব ১ (কাপ্তাই থেকে ফারুয়া) : Click This Link

সকাল থেকে আকাশ অন্ধকার করা মেঘ নিয়ে আমাদের দ্বিতীয় দিনের শুরু। আমাদের নৌকা তখন ফারুয়া বাজারের ঘাটে। আমরা কয়েকজন নামলাম সকালের বাজারটা একটু ঘুরে দেখতে। ঐদিন ছিলো ফারুয়া বাজারের হাট। সকাল থেকেই তাই বেশ মানুষের আনাগোনা। নদীতে মাছ ধরাও চলছিলো তখন।

এক.


দুই.


তিন.


চার.


পাঁচ.


কিন্তু এসব দেখতে দেখতেই শুরু হয়ে গেল ঝুম বৃষ্টি। ক্যামেরাটা বাঁচানোর জন্যই দ্রুত ঢুকে পড়লাম একটা দোকানে। কিন্তু এভাবে কতক্ষন? বৃষ্টি কমার কোন লক্ষনই দেখা গেল না। শেষে রেইনকোটে ক্যামেরার ব্যাগটা জড়িয়ে বৃষ্টিভিজে কোন ভাবে ফিরলাম নৌকায়। কিন্তু আমাদের মাঝি তার নৌকা নিয়ে আর সামনের দিকে এগুতে রাজি না। মাঝির মতে এখন সামনের দিকে পানি কম, নৌকার প্রপেলর নদীর নীচে লেগে ভেঙে যেতে পারে। সুতরাং আমরা ছোট নৌকার খোঁজ শুরু করলাম। কিন্তু এই বৃষ্টিতে কিছুই পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই অপেক্ষা করে থাকতে হলো বৃষ্টি থামার। সকালের নাস্তাটা সেরে নিলাম এর ফাকে ফারুয়া বাজারে। দুপুরের দিকে বৃষ্টি খানিকটা কমে এলে আমরা একটা ছোট নৌকা রাজি করাতে পারলাম। যখন ছোট নৌকার জন্য খোজাখুজি চলছে তার মধ্যেই আমরা ঘুরে এলাম ফারুয়া বাজারের ওপারের বৌদ্ধ মন্দির থেকে। বাজারটাও ঘুরলাম আরও খানিকটা।

ছয়.


সাত.


আট.


নয়.


দশ.


এগারো.


বারো.


তেরো.


চৌদ্দ.


পনেরো.


এবার যেহেতু নোকাও ছোট তাই নিজেদের একেবারে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ছাড়া বাকি সব জিনিসপত্র রেখে দিলাম বড় নৌকায়। কিন্তু সে ছোট নোকায় উঠে বুঝলাম এ নৌকায় আমাদের সবার জায়গা হবে না। সুতরাং আবার আরেকটা নৌকা খোঁজা চলল। এবং অবশেষে মাঝদুপুরে আমরা দুইটা ছোট নৌকাতে করে কিছু খাবার নিয়ে আরও সামনে এগিয়ে চললাম।

ষোল.


সতেরো.


আঠারো.


উনিশ.


বিশ.


একুশ.


বিকেলে আমরা পৌছালাম চ্যাংড়াছড়িতে। ওখানেই আমাদের রাত কাটানোর কথা। এদিকে গতকাল থেকে আমাদের কারোই ভালোভাবে গোসল হয়নি, পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি ভীষণ ঘোলা। তবে আমরা কয়েকজন বৃষ্টিতে খানিকটা গোসল সেরে নিয়েছি। শুনলাম আরেকটু এগুলে সামনেই পানছড়িতে ঝরনা আছে একটা। আমরা চ্যাংড়াছড়ি ছেড়ে তাই আরও সামনে এগুলাম পানছড়ির দিকে। পানছড়ির ঝরনাটা পেলাম তবে তা আহামরি কিছু না, পাহাড় বেয়ে কলের পানির মত পানি পড়ছে। আমরা সবাই ঐ ঝরনাতেই আরাম করে গোসল করে নিলাম।

বাইশ.


তেইশ.


চব্বিশ.


পঁচিশ.


ছাব্বিশ.


সাতাশ.


আঠাশ.


উনত্রিশ.


ত্রিশ.


একত্রিশ.


ওখান থেকে সন্ধ্যায় ফিরে এলাম আবার চ্যাংড়াছড়ি। আমাদের থাকার জন্য ওরা নদীটার পাড় ঘেষা দারুন একটা ঘর দিলো। এই ঘরের মালিক চাষের জন্য অন্য পাহাড়ে গেছে, ঘর খোলাই রেখে গেছে। আমরা নিজেরা রান্না করে খাওয়া দাওয়া সেরে আবার বের হলাম রাতে খানিকটা ঘুরতে।

আমাদের কারও সময়ের আসলে কোন হিসাব ছিলো না। আড্ডা দিয়ে তাই কখন যে আবার ফিরে এসে ঘুমিয়েছি, সময় বলতে পারবো না।
_____________________________________________

ছবিব্লগ: রাইখ্যং-এর উজান বেয়ে পানছড়ি: শেষ পর্ব (ঝর্ণার খোঁজ আর ফিরে আসা): Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:২৩
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×