somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যাংকক জাতীয় যাদুঘর, থাই ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মিলনমেলা ( শেষ পর্ব)

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তীর ধনুক হাতে সুদুরের পানে চোখ মেলে দাঁড়িয়ে আছেন আয়ুথিয়ার প্রাসাত থং রাজ বংশের শেষ রাজা নারাই

ঐতিহ্যবাহী ছোট্ট থাই প্যাভিলিয়ন সালা লং সং পার হলেই দেখা মিলবে এক উচু স্তম্ভের যার উপর দাঁড়িয়ে আছে আয়ুথিয়ার প্রাসাত থং রাজবংশের শেষ রাজা নারাই। থাইল্যান্ডের দশজন গ্রেট কিংদের মধ্যে অন্যতম রাজা নারাইর অসাধারন প্রজ্ঞা আর কুটনৈতিক দক্ষতা শ্যামদেশকে ডাচ উপনিবেশ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিলো। জাহাজ ভর্তি সৈন্য সামন্ত আর গোলা বারুদ নিয়ে ব্যংককের চাওফ্রায়া নদীর তীরে ঘাটি গেড়ে বসা ডাচরা শেষ পর্যন্ত ব্যবস্যিক সুবিধা নিয়েই সন্তষ্ট ছিল। এতে উপনিবেশ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল সমগ্র এশিয়ার মাঝে এই একটি মাত্র দেশ থাইল্যান্ড যা নিয়ে থাইবাসীদের অসীম গর্ব।


একদা ডাচ ঘাটি আশিয়াটিক এখন ব্যাংককের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র , গোল ছাদওয়ালা ওয়্যার হাউসগুলোতে এখন সারি সারি বিপনী আর রকমারী থাই খাবারের পসরা সাজানো
রাজা নারাই এর মুর্তির পরেই রয়েছে ১৭৮৭ খৃষ্টাব্দে নির্মিত রাজকীয় বৌদ্ধ মন্দির Buddhaisawan Chapel এ। মন্দিরটির সফেদ সাদা দেয়ালের উপরে রয়েছে লাল আর সোনালী কারুকাজ করা ছাদ বা চালা । ভেতরে ঢুকতেই নজরে পরলো মন্দিরের শেষ মাথায় পদ্মাসনে আসীন শ্বেত পাথরের গৌতম বুদ্ধ। অবশ্য তার আগেই দৃষ্টি কেড়েছিল দেয়াল আর সিলিং জুড়ে থাকা শিল্পকর্ম ।


মন্দিরের ছাদের নীচের লিন্টেলে অপরূপ কারুকাজ


মন্দিরে প্রবেশ পথের দুপাশে অভিবাদনরত গরুড়ের মুর্তি


মন্দিরের দেয়ালের বাইরের দিকে প্রাচীন কালের ব্রোঞ্জের বিশাল ঘন্টা আর সারি সারি কামান সাজানো


চারিদিকের দেয়াল আর সিলিং এ লাল, কালো আর স্বর্নালীর ঘন কারুকাজ করা যাতে শিল্পীরা একেছেন বুদ্ধের জীবন চক্রকে।


কাঠের জানালা আর তার মাঝখানের প্যানেলে রয়েছে কালোর উপর স্বর্নালী ইনলের অপরূপ কারুকাজ

এখানে একটা অপ্রাসংগিক কথা না বললেই না তা হলো আমার “উঠলো বাই তার কটক যাই" অভ্যাস। অর্থাৎ কটকের মত অখ্যাত স্থানে বেড়ানোর জন্যও আগে পিছে না ভেবেই রওনা দেয়া। এ জন্য আমি প্রায় সময়ই ছোটখাটো সমস্যায় পড়ি, যেমন আজ দেখি আমার মোবাইলে চার্জ অর্ধেক মাত্র। এই মিউজিয়ামে অনেক দেশের মত ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞাও নেই। মনের দুঃখে কান্না পাচ্ছিলো যখন দেখলাম ব্যাগে চার্জারটাও নেই। নাহলে এখানে বিভিন্ন যায়গায় মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা আছে । যাই হোক সাবধানে ছবি তুলছি আর চার্জ দেখছি কতটুকু আছে । মন্দির বা চত্বর জুড়ে তেমন কোন লোকজন ছিল না, অফসিজন বলেই হয়তো বা। আমি একা একা ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিললো সালা লং সং এর মতই আরেকটি প্যাভলিয়ান, নাম সালা সামরামমুখামাত ।


প্যাভলিয়ান Sala Samrammukhamat
উল্লেখ্য এই প্যাভলিয়নগুলো কিন্ত সেই গ্র্যান্ড প্যালেস তৈরীর সময়ই তৈরি হয়েছিল, পরবর্তীতে যাদুঘরের অংশই হয়ে আছে। আমাদের দেশের শাহবাগে প্রধান যাদুঘর বানানোর আগে প্রবেশ দুয়ারের একপাশে একটি প্রাচীন স্থাপনা ছিল, যাদুঘর নির্মানে সেটা কোন অন্তরায়ই ছিল না । কিন্ত তারপরও আমাদের মাথামোটা কর্মকর্তারা প্রথমেই ওটাকে ধুলিস্মাৎ করেছিল। আর সারা দুনিয়ায় এর বিপরীত দৃশ্যই দেখেছি ।


জনগনের নালিশ নিজ কানে শোনার জন্য রাজা তৃতীয় রামার নির্দেশে এই ড্রামটি রাজবাড়ির বাইরে এমন যায়গায় স্থাপন করা হয়েছিল যেন তা জনগনের হাতের নাগালে থাকে। এর নাম ড্রাম অফ জাষ্টিস

কোন গাইড না থাকায় নিজেই ঘুরে ঘুরে যতটুকু পারছি দেখছি এতে হয়তো সিরিয়ালি দেখা হচ্ছে না তারপরও চেষ্টা করছি। তবে গাইড থাকার খারাপ অভিজ্ঞতাও আছে আমাদের । যেমন তারা কোন কিছু দেখিয়েই তাদের বক্তব্য শুরু করে। তাদের বক্তব্য শেষ মাত্রই তারা দ্রুত অন্যত্র রওনা দেয়। এতে যা দেখতে এসেছি সেটা আর দেখা হয় না । এজন্য আমরা চীন ভারতের মত অনেক যায়গায় কিছু কিছু জায়গা গাইডেড ট্যুরের পর নিজেরা একা গিয়ে আরেকবার দেখেছি ।


থাই অক্ষরের জনক সুকোথাই এর তৃতীয় রাজা রাম-খামহ্যাং এর বিখ্যাত শিলালিপি যা জাতিসঙ্ঘের সনদপ্রাপ্ত

এরপরের গ্যালারি The Gallery of Thai History in Siwamokkhaphiman Hall ছিল আমার কাছে ছিল দারুন আকর্ষনীয়। এখানেই আছে ১২৯২ অব্দে খোদিত রাজা রামখামহ্যাং এর বিখ্যাত শিলালিপি যা তারই আবিস্কৃত থাই অক্ষরে লিপিবদ্ধ। চৌকোনা আকৃতির ১০৯ সেন্টি মিটার উচু শিলালিপিটিতে রাজা রামখাম হ্যাং উদ্ভাবিত থাই অক্ষরে তার রাজত্বকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী আর ধর্মীয় অনুশাসনের কথা উৎকীর্ন রয়েছে। ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দে রাজা মংকুট সুকোথাই এই ঐতিহাসিক শিলালিপিটি পেয়েছিলেন। এই গ্যালারীকে আরো সমৃদ্ধ করেছে রাজা মংকুটের দুই ছেলের বিশাল সংগ্রহ ঃ-


রাজা মংকুটের ছেলেদের সংগৃহিত হিন্দু দেবতা শিবের মুর্তি, Siwamokkhaphiman Hall


প্রশান্ত হাসি আর নিমিলীত চোখের গৌতম বুদ্ধের ভাস্কর্য্য


১২০০ বছর আগে নবম শতাব্দীতে শ্রী বিজয়া স্টাইলে নির্মিত বোধিস্বত্ত্বা আভোলোকেশ্বরার আবক্ষ মুর্তি । প্রাপ্তি স্থান সুরাট থানি প্রভিন্স


১৫ শতকের পবিত্র বোধিবৃক্ষ, প্রাপ্তি স্থান শী আয়ুথিয়া প্রভিন্স


পাথর খুদে তৈরি মন্দিরের লিন্টেল, প্রাপ্তি স্থান আয়ুথিয়া

এবারের গ্যালারীটি ছিল সহরাজা পিনক্লাও এর প্রাসাদ যাকে ফ্রন্ট প্যালেস বলা হতো। এখানে রাজাদের ব্যবহৃত আসবাব পত্র ছাড়াও আছে অনেক শিল্প সম্ভার । যাতায়তের জন্য ছিল বিভিন্ন প্রকার বাহনের সংগ্রহ।। এখনকার রাজাদের মত রোলস রয়েস ছিলো না, তাদের ছিল পালকি, হাতি ,ঘোড়া আর বজরা। এই হাতির উপর বসার জন্য যে হাওদা ছিল তার কয়েকটি নমুনা এখানে সাজানো আছে। বেত দিয়ে বোনা হাওদা ছাড়াও ছিল ছাদওয়ালা স্বর্নালী হাওদা যা রানী বা রাজকন্যাদের জন্য। এখানে একটা হাতীর দাতের কাজকরা হাওদা দেখলাম যা চিয়াং রাই এর যুবরাজ রাজা চুলালংকর্নকে উপহার দিয়েছিল বলে লেখা আছে।


পালকিতে সওয়ার হয়ে রাজা চলেছেন, কাধে করে নিয়ে যাচ্ছে বেহারারা


এছাড়াও ছিল বেতের বোনা সাধারন পালকি


সুসজ্জ্বিত রাজকীয় ঘোড়া আর সহিসের ভাস্কর্য্য


রাজা মংকুটের ভাই সহরাজা পিনক্লাও এর প্রাসাদের শিল্পকর্ম

অলংকার কক্ষ নামে একটি আলাদা গ্যালারিই আছে আর তাতে আছে প্রাচীন কালের নানা রকম স্বর্নালংকার কাচের বাক্সে প্রদর্শন করা। হয়তো সংস্কার কাজের জন্য অনেক কিছুই ঠিক অতটা গোছানো মনে হচ্ছিল না আমার কাছে বিশেষ করে স্বর্নালংকারগুলো ।


১৫ শতকের আয়ুথিয়া স্টাইলের গহনা, এগুলো পাওয়া গেছে সি আয়ুথিয়ার প্রধান মন্দির ওয়াট রাচাবুরানায়

থাইল্যান্ডে রাজা থেকে শুরু করে আপামর জনতার কাছে শ্বেত হাতি সৌভাগ্যের প্রতীক। এ জন্য বিভিন্ন জায়গায় শ্বেত হাতীর ভাস্কর্য্য লক্ষ্য করা যায় । তবে রাজকীয় হাতীদের সাজসজ্জ্বার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল স্বর্ন আর পাথর বসানো বিভিন্ন গহনা। হাতি আবার কোথায় গয়না পরে তা নিয়ে যেন কেউ চিন্তা না করে তার জন্য একটি পেইনটিং ও ঝুলানো আছে ।


রাজকীয় হাতির জন্য গহনা, রাজার রাজকীয় প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে বাক্সের সাদা ভেলভেটে


গহনা পরা রাজকীয় হাতি, পেইনটিং

এখানেই একদিকে থাকে থাকে সাজানো আছে কাগজের মন্ড দিয়ে তৈরী মুখোশ যা থাই ঐতিহ্যবাহী নাচ খোন নাচে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । মুখোশগুলোতে উজ্জ্বল রঙ দিয়ে হাতে আকা রয়েছে বিভিন্ন পৌরানিক দেবদেবী আর অসুরের মুখ। আয়ুথিয়া রাজত্বকালে হিন্দু পৌরানিক কাহিনী রামায়নের ঘটনাকে উপজীব্য করে এই খোন নাচের উৎপত্তি। মঞ্চে অভিনীত এই নাচে মুলত রামের হাতে রাবনের পরাজয় অর্থাৎ ভালোর কাছে মন্দের পরাজয়কেই তুলে ধরা হয় নাচের মাঝে।


থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খোন নাচে ব্যবহার হয়ে থাকে এই ধরনের মুখোশ
থাইল্যান্ডের তরুন সমাজ জুড়ে যতই ব্যান্ড আর রক গানের জনপ্রিয়তা থাকুক না কেন তাদের বিভিন্ন জাতীয় উৎসবে থাইল্যান্ডে এখনো এই নাচের আলাদা মর্যাদা বহাল রয়েছে । এই রুমের কাচের শোকেসে সাজানো আছে থাই স্টাইলে দাবা খেলার সরঞ্জাম।


অভিষেকের দিনে স্বর্ন তরবারী হাতে নিয়ে চক্রী বংশের নবম রামা রাজা ভুমিবল। বলা হয়ে থাকে এই তরবারির মাথাটা তিনি ভেঙ্গে দিয়েছিলেন যাতে কোনদিন কাউকে আঘাত করতে না হয়

নবম রামা রাজা ভুমিবলকে নিয়ে একটি পুরো গ্যালারী আর তাতে রয়েছে তার ছোটবেলা থেকে সত্তর বছরের দীর্ঘ রাজত্বকালের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনাকালের আলোকচিত্র। এ ছাড়াও আছে তার সৃস্টিসমুহ যেমন তার নিজ হাতে আকা ছবি, বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে সুর সৃষ্টি, বাল্যকালে ভাংগা যন্ত্রপাতি দিয়ে রেডিও তৈরী, এসব ছাড়াও থাইল্যান্ডের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ সংস্কৃতিতে তার রেখে যাওয়া অবদানের বিশাল ইতিহাস।


যাদুঘরে রাখা রাজা ভুমিবলের স্বর্ন তরবারী


স্ত্রী রানী সিরিকিটের তৈলচিত্র একেছেন রাজা ভুমিবল


কিং ভুমিবলের প্রবর্তিত ১৬টি জাতের ধানের ১১টি এখানে রয়েছে , কৃষি ছাড়াও তার সমগ্র কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি 2006 সনে পেয়েছিলেন United Nations Human Development Lifetime Achievement Award


রাজকীয় বজরা সুপার্নহংস বা সোনার হাস

এই রুমের আরেক দিকে কাচের বাক্সে আছে স্বর্নালী রঙের রাজকীয় বজরার ছোট্ট একটি নমুনা। অসাধারন কারুকাজ করা স্বর্নালী বজরাটির নাম সুপর্নহংস বা বাংলায় যাকে বলে সুবর্নহংস। সারবেধে বসা লাল পোশাক পরা দাড়ি মাঝিরা সোনার বৈঠা বেয়ে রাজা ও তাদের পরিবার পরিজনকে নিয়ে যেত নৌবিহারে। বর্তমান যুগেও রাজারা ঐতিহ্য মেনে বিশেষ বিশেষ দিনে রাজবাড়ীর অদুরেই ছাওফ্রায়া নদীতে নৌ-বিহারে যায় সুপর্নহংসে চড়ে । আর এই দৃশ্য দেখার জন্য হাজারো থাইবাসী নদীর দুই তীরে ভীড় জমিয়ে থাকে।

ফিউনারেল হল ঢুকতেই চোখ ধাধিয়ে গেল দরজার পাশে থাকা এক সুবিশাল স্বর্ন রথ দেখে নাম তার বিজয় রথ। রাজা- রানীদের শবদেহ বাহীকাঠের এই রথটি চক্রী বংশের প্রথম রাজা তার বাবার শবদেহ বহন করার জন্য ১৭৯৫ সনে নির্মান করেছিলেন।


সাড়ে ১১ মিটার উচু আর ১৮ মিটার লম্বা ২০ টন ওজনের কাঠের বিজয় রথটি টানার জন্য ২১৬ জন লোকের প্রয়োজন

বিজয় রথের সাড়া গা জুড়ে আছে সোনালী পাত আর কাচ বসানো জমকালো কারুকাজ তার সাথে খোদাই করা দেব দেবী আর নাগা অর্থাৎ সাপের মুর্তির । এটি শেষবার ব্যবহৃত হয়েছিল থাইবাসীর প্রানপ্রিয় রাজা ভুমিবলের শেষকৃত্যে।


সেখানে আরো ছিল কাঠের কারুকাজ করা থাই কফিন যা উরন বলা হয় আর আছে সোনালী কারুকাজ করা পাল্কী

বেলা দুটো বাজে, রথের ঘর থেকে বের হতেই দেখি রেস্তোরা লেখা, ফ্রাইড রাইস আর সোমতাম নিয়ে বসলাম আর একটা জুস। এরপরের গন্তব্য লপবুরি গ্যালারী ।


এখানে আছে লপবুরি ও বিভিন্ন মন্দির আর স্থাপনা থেকে আনা খেমার শিল্প । এখানে একটি ধাধা আছে দেখি কে ধরতে পারে !
দোতলা এই গ্যালারীতে বেশিরভাগ মুর্তি ও অন্যান্য যা দেখলাম তার সব কিছুতেই রয়েছে খেমার শিল্পের ছাপ। কারন একদা লপবুরি বা লাভাপুরা ছিল খেমার সাম্রাজ্যের অধীন। এক পর্যায়ে মনে হলো আমি ক্যাম্বোডিয়ার যাদুঘর সালা রচনা বা সিয়েমরেপে ঘুরে বেড়াচ্ছি।


বিভিন্ন স্থাপনা থেকে খুলে আনা লিনটেল আর মুর্তি, প্রাপ্তি স্থান লপবুরি প্রভিন্স


খেমার শিল্পের উদাহরন এই বুদ্ধের মুর্তি । লপবুরি প্রভিন্স


পৌরানিক কাহিনীতে বর্নিত রাক্ষসের মাথা । অস্টম ও নবম শতাব্দীর দ্যাভারাভতী শিল্প। প্রাপ্তি স্থান নাখন পাথম প্রভিন্স


পৌরানিক কাহিনীর বর্নিত সিংহের মাথা , দ্যা ভারাবতী শিল্পকলা। প্রাপ্তি স্থান নাখন পাথম প্রভিন্স


বাদরের আকৃতির পানির জার


পৌরানিক কাহিনী নাগপাশে আবদ্ধ বর্ননার ডিটেইলস লিনটেলে । প্রাপ্তি স্থান লপবুরি প্রভিন্স


লিন্টেলে দানবের মুখসহ কারুকাজ লপবুরি প্রভিন্স


২০০ বছর আগে চক্রী বংশের রাজা প্রথম রামা তার বড় বোনের জন্য এই ঘরটি তৈরী করেছিলেন।
বিকেল হয়ে আসছে, অনেক দূর যেতে হবে । আস্তে আস্তে গেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দেখি ডান দিকে লাল রঙের অত্যন্ত সাদাসিধা নকশার একটি সেগুন কাঠের বাড়ী।


প্রথম রামার বোনের ব্যবহৃত খাট, সিন্দুক, শোকেস সহ কিছু কিছু জিনিস সাজানো রয়েছে যা ১৮-১৯ শতকে নির্মিত।

চীনামাটির বাটিগুলো অবিকল তেমনি যেমন ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের বাসায় । ছোট ছোট দুটো ঘর ঘুরে ফিরে দেখলাম সেই সাথেই শেষ হলো আমার ব্যাংকক মিউজিয়াম ভ্রমন।


লাল বাড়ির বারান্দা থেকে নামতেই আমাকে বিদায় জানালো পদ্মফুলের এই কুড়িটি।
এই ছবিটা তোলার সাথে সাথেই শেষ হলো আমার মোবাইলের চার্জও ।

সমস্ত ছবি আমার মোবাইলে তোলা

ব্যাংকক জাতীয় যাদুঘর, থাই ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মিলনমেলা (১ম পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
৪৫টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×