সব ঠিক ছিল। শুধু গালাগালিগুলা ভাল লাগে নি
আন্দোলন হচ্ছিল। সম্পূর্ণ সমর্থনকরি। এমনকি কোন স্কুল কলেজের ছাত্র অবস্থায় থাকলে সরাসরি মাঠেও নামতাম। আজ এডমিশনের স্টুডেন্ট বলে মাঠে নামা হয় নি। নিয়মকানুন, তাদের উদ্দেশ্য, তাদের অগ্রগতি, তাদের পরিশ্রম কোনকিছু নিয়ে প্রশ্ন তুলব না। এক কথায় সেগুলো ছিল দেখার মত, সারা বিশ্ব দেখেছে ছাত্রসমাজ কি না করতে পারে। কিন্তু নিজের বাবার সামনে দাঁড়িয়ে তাকে নোংরা ভাষায় গালি দেয়াটা অন্তুত দৃষ্টিকটু।
আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। আপনাকে অনেক কাজ করতে হয়। খারাপ ভাল দুটোই। খারাপ কাজ আপনি নিজে থেকে পারেন না করতে। উপরমহলের চাপে আপনাকে কাজগুলো করতে হয়। এমন অবস্থায় আপনার সন্তান আপনার বিরুদ্ধে। হ্যা বাবা হিসেবে আপনি মেনে নিবেন, গর্ব করবেন; ছেলে অন্যায়ের সামনে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে যা আমি বাবা হয়ে পারি নি। কিন্তু সেই গর্ব টা কি আর গর্ব থাকে যখন আপনি দেখছেন আপনার ছেলে আপনাকে মুখ খারাপ করে গালাচ্ছে। ইচ্ছামত নোংরা কথা লিখছে। যা মুখে আসছে তাই বলছে। পারবেন সহ্য করতে! বাসায় ঘটলে পারতেন?
কষ্ট পেতেন খুব। কাকে বলতেন এই কষ্টের কথা, আপনার কাছের মানুষকে? সেও যে আপনার বিরুদ্ধে। পেশাটাই যে এমন নোংরামিতে পরিণত হয়েছে। সবাই চ্যাটের বাল না, কিছু মানুষের জন্য আজ সাবধানে চলতে পাচ্ছি। রাত হলে গভীর আঁধারে যাদের দেখলে মনে সাহস আসে যে একা নই, আরো মানুষ পাশে আছে। প্রশাসন পুরাটা চলে সরকারের কথায়। তাই পেশাকে দোষ দিবেন না, যে দোষী তাকে সামনে এসে দোষ ধরাটাই শ্রেয়। হয়ত লজ্জায় সে ঠিক হতে পারে। কিন্তু গাল পেরে ক্ষোভে তাকে আরো খারাপের দিকে ঠেলে দিবেন না। পরিণতি ভয়াবহ হবে।
*সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত। কেও দয়া করে দেশদ্রোহী বানায়ে দিয়েন না। এটাই সমস্যা গণতন্ত্র নেই অথচ মুখটা ঠিকই আছে। মানুষশুনতে চায়, বললে বলে বললেন কেন।।।।।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫২