আজ থেকে পাচ শতাধিক বছর পূর্বে মানুষ বিফ কিংবা চিকেন বার্গার সম্পর্কে কোন ধারনা রাখতো না।অথচ আজ মানুষ সেগুলো তৈরি করে ফেলেছে।এখন যদি আপনি পাঁচশত বছর পূর্বে গিয়ে বলেন, আমরা বিফ বার্গার খাই।প্রতিউত্তরে সে মানুষগুলো বলবে, বেটা পাগল হয়ে গেছে।খুবই স্বাভাবিক কিন্তু তাই না? এই যে হ্যাঁ আপনাকেই বলছি,তারা বলবে আপনি পাগল।আর আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করে ভাই বার্গার এই জিনিস্টা খাওয়া পরে আগে বলেন দেখতে কেমন?আপনি বলবেন, আজব!কিংবা বলতে পারেন ,বার্গার দেখতে গোল।এটা দুইভাগে বিভক্ত।এর যে মধ্যাংশটা সেখানে বিভিন্ন সস,সালাদ আর মাংস মিক্স করে রাখা হয়।এক কামড়েই শান্তি।আহ!কি মজা।এখন বলুন তো আদিকালের সেই মানুষগুলো কি বার্গারের স্বাদ অনুভব করতে পারবে?এক কথায় উত্তর হবে না।
আবার ধরুন, গ্রামের একজন কৃষককে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কাকা আপনার কাছে আইফোন সিক্স হবে?উত্তরটা দেওয়া পরে, আগে সে হতভম্ব হবে তারপর বলবে এটা আবার কি?অথবা আপনি একটা মোবাইল কম্পানির দায়িত্বে আছেন,একজন কৃষক এসে বললো, বাপজান আমারে একটা মোবাইল দেন।আপনি স্যামসাং এর এন্ড্রেয়েড ভার্সনের একটি মোবাইল বের করে বললেন, এটা আমাদের এখানকার ল্যাটেস্ট ভার্সন, অনেক ফিয়েচার আছে।মানুষটা বলবে, হইছে বাপজান, ঐ যে টিপ দিয়ে যে কল করে ঐ রহোম একটা দেও।আপনি মনে মনে বলবেন, বেটা তো দেখছি অশিক্ষিত, আমার কথাগুলোই মূল্যায়ন করছে না, আদিকাইল্যা খ্যাত!
মুসলিম জাতির অন্যতম প্রান হযরত ঈসা (আঃ) এর জন্ম ইতিহাস যদি আজকাল কোন নাস্তিকের কাছে বলতে যান, সে নির্দ্বিধায় আপনাকে কটূ কথা বলবে।এর কারন তাদের অবস্থা ঐ কৃষক কিংবা মোবাইল কম্পানির মানুষটার মত।ঈসা (আঃ) এর জন্মকাল অনেক বছর পূর্বে।তিনি কিভাবে জন্ম গ্রহন করেছেন সেটা আমরা স্বচক্ষে কখনও প্রত্যক্ষ করি নাই।তবে আমরা বিশ্বাস করেছি।কাকে? আমাদের মহান রবকে।যে রব মানুষ সৃষ্টি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বিস্তারিতভাবে বলেছেন আমরা তার বাস্তব প্রমান পেয়েছি গবেষনা কিংবা অনুসন্ধানের মাধ্যমে।আমরা প্রমান করতে সক্ষম হই তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল মেশিনটাকে কি সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন,সুবাহা'ন আল্লাহ্! আর যিনি এতো সুন্দর করে মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তার বর্ণনা পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন; তিনি তো আর মিথ্যা বলতে পারেন না।তাই হযরত ঈসা (আঃ)কে তিনি যেভাবে সৃষ্টি করেছেন সে কথা আমরা কোনভাবেই অবিশ্বাস করতে পারি না।কারন তিনি সত্যবাদী।
সমস্যা হলো,আল্লাহর সৃষ্টিতে তিনি কোন কোনটিকে প্রকাশ করেছেন আবার কোন কোনটি অপ্রকাশিত করে রেখেছেন।আমরা সৃষ্টি। আমাদেরকে এমন কোন জ্ঞান তিনি দান করেন নাই যার কারনে আমরা মহান রবের অপ্রকাশিত কিংবা অদৃশ্যমান বিষয়ে জানতে সক্ষম হবো।যেমন গরুর কথাই ধরা যাক।গরুর পা আছে কিন্তু হাত নেই।এখন যদি বলি গরু হাত দিয়েই খাবে আর এই জন্য তাকে হাত দিতে হবে; এইভাবে আল্লাহকে বলি তাহলে কিন্তু হবে না।কারন তিনি বলেন, তিনি যা জানেন আমরা তা জানি না।কারন আমাদের জ্ঞান খুব সীমিত।আর এই সীমিত জ্ঞান দিয়ে আপনি যদি সীমানার বাহিরে গিয়ে অনুসন্ধান করতে যান তাতেই সমস্যাটা বাঁধবে।অর্থাৎ শয়তান এখানে সুযোগ পাবে এবং আল্লাহর পথ থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে দিবে।আজকালকের নাস্তিকরা এই জন্যই নাস্তিক।আচ্ছা নিজেই ধরুন, আপনার ইচ্ছা আপনি আকাশে উড়াল দিবেন,আপনি দিন তো দেখি কি করে উড়াল দেন।আপনি পারবেন না।কারন আপনার পাখা নেই।তাই সীমানা অতিক্রম করবেন এই চিন্তা ভুলে যান। বাস্তবতা আপনাকে মেনে নিতেই হবে।কিচ্ছু যে করার নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:১০