'১৯৭১ : ভেতরে বাইরে' বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থ। বইটিতে লেখক স্বাধীনতা যুদ্ধে ডেপুটি চীফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালনকালে প্রতক্ষ্যভাবে দেখা মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মৃতি তুলে ধরেছেন। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে। প্রকাশিত হওয়ার পর বইটিকে অনেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি বিকৃত ইতিহাস হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এ কে খন্দকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চীফ অব স্টাফ ছিলেন। ফলে তিনি যুদ্ধের নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করেছেন, সফলতা ও ব্যর্থতাগুলো খুব কাছ থেকে দেখেছেন এবং অনুভব করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা সর্বমোট ২৩২ পৃষ্টার বইটিকে শুরুতে ভূমিকা আর শেষে উপসংহার ব্যতিত তিনি তার দেখা মুক্তিযুদ্ধের কিছু সফলতা, ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার মূল্যায়ন চিত্র ১৫টি অধ্যায়ে তুলে ধরেছেন।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যায়: মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরে এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসনামলে পরিকল্পনামন্ত্রীও হন তিনি। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পাবনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছর শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এ কে খন্দকার। পরের সরকারে আর ঠাঁই পাননি। এর পরেই তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে মিথ্যা/ভুল তথ্য দিয়ে '১৯৭১ :ভেতরে বাইরে' নামে বইটি প্রকাশ করেন।
মুক্তিবাহিনীর উপঅধিনায়ক এ কে খন্দকার ২০১৪ সালে প্রথমা থেকে প্রকাশিত এই বইটিতে লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি শেষ করেছিলেন ‘জয় পাকিস্তান’ বলে। বইটিতে আরও লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণেই যে মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল, তা তিনি মনে করেন না। তিনি তার বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ২৬ মার্চের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা সম্পর্কে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
স্বভাবতই আওয়ামী লীগবিরোধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমালোচনাকারীরা এতে নতুন করে উৎসাহ পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও নেতৃত্বকে যারা খাটো করতে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকেই প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে এসেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা এ কে খন্দকার সাহেবের বইটিকে অস্ত্র হিসেবে পেয়েছে। তার এই ভ্রান্ত তথ্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষুব্ধ করেছে। বইটি প্রকাশের পর শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। বইটি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে সংসদে, আদালতে হয় অভিযোগ।
রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার কিছু অংশ বিশেষ:
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই বইয়ের বক্তব্য অসত্য ও ভুল। কেউ না কেউ তাকে প্ররোচনা দিয়েছেন। অন্য কোনো ইচ্ছায় তিনি জাতির পিতাকে ছোট করার জন্য এটা করেছেন।"
শেখ সেলিম বলেন, “এ বই থাকতে পারে না। এ বই বাতিল করা হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।” তোফায়েল আহমেদ বলেন, “কেন উনি এসব কথা বলছেন, কেন বই লিখেছেন এবং এ সময় বেছে নিয়েছেন, তাও আমি জানি। অন্যদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। উনাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছিল। কৃতজ্ঞতাবোধ নাই।”
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, “বঙ্গবন্ধু এ সিম্বল অব ইন্ডিপেন্ডেন্স। তাকে আঘাত করতে পারলে জাতিকে ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করা যাবে। এ অপশক্তি তা করতে চাইছে।"
বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণের সময় মঞ্চে উপস্থিত থাকা বর্তমানে জাসদ নেতা আ স ম আবদুুর রব বলেন, "৭ মার্চের ভাষণের শেষ শব্দ ছিল 'জয় বাংলা'।"
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম বলেন, “বইটি একান্তভাবেই খন্দকারের নিজস্ব; যার বক্তব্য ও মন্তব্যের সাথে ফোরামের নীতি, আদর্শ ও ঐতিহাসিক সত্য উপলব্ধির মিল নেই। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতির বক্তব্য বিভ্রান্তিকর।”
টিএসসি’তে এ কে খন্দকারের বই পুড়িয়ে বিক্ষোভ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, “এ কে খন্দকার যে কথা বলেছেন সেটিই সত্য। জনগণ সেটি বিশ্বাস করে। তার বক্তব্যের ভেতর দিয়ে এতদিন ধরে আওয়ামী লীগ যে মিথ্যাচার করে আসছে তা বেরিয়ে এসেছে।”
বদরুদ্দীন উমর বলেন, "৭ মার্চের বক্তৃতা শেখ মুজিব যে ‘জয় পাকিস্তান’ বলে শেষ করেছিলেন এটা আমিও শুনেছিলাম। এটা কোনো ‘কানকথা’ নয়। রেডিও পাকিস্তানে বক্তৃতার যে টেপ ছিল, সেটা সে সময় আওয়ামী লীগের লোকদের হাতে থাকায় ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দ কেটে দিয়ে তারা এই কথার বস্তুগত ভিত্তি চিরতরে নষ্ট করেছিল। এ বিষয়ে সত্য-মিথ্যার কোনো বস্তুগত প্রমাণ দেয়া কারও পক্ষে এখন সম্ভব নয়। "
উল্লেখ্য, এ কে খোন্দকার, বদরুদ্দিন উমর এবং অন্যান্য যারা ‘জয় পাকিস্তান’ শুনেছেন বলে দাবী করছেন তারা কিন্তু সরাসরি বক্তৃতায় শুনেন নাই! তাঁরা অন্যের কাছে শুনেছেন। এ কে খন্দকার কিন্তু তার বইয়ে বলেননি যে, তিনি নিজে না শুনলেও প্রত্যক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য শ্রোতা কেউ তার কাছে 'জয় পাকিস্তান' সম্পর্কে বলেছেন। তারা কার কাছে শুনেছেন, কখন শুনেছেন এ ধরনের কোন তথ্যও দিতে পারেন নি। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য কোনো প্রামাণিক দলিল ছাড়া এভাবে প্রকাশ করা উদ্দেশ্যমূলক ও ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। যা-ই হোক, বঙ্গবন্ধু যেখানে একই বক্তৃতায় 'এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' বলেছেন সেখানে আবার ' জয় পাকিস্তান’ বলে শেষ করবেন কেন? বঙ্গবন্ধু যদি তাঁর ভাষণ ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে শেষ করেও থাকেন এতে দোষের কিছু দেখি না। কারণ তখনকার বাস্তবতায় এটি বলা যায়। যেহেতু ৭ই মার্চ বাংলাদেশ পাকিস্তানের অধীনে একটি প্রদেশ। তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাও হয়নি, যুদ্ধও শুরু হয়নি।
ডাউনলোড : ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে
২০১৪ সালে প্রথমা প্রকাশন থেকে ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেও এ কে খোন্দকার নীরব ছিলেন। আলোচনা, সমালোচনার কোনো জবাব দেননি। রাজনৈতিক বিতর্ক না হলে হয়তো এই বইটি সম্পর্কে সাধারণ পাঠকরা তেমন কিছু জানাতই না। কিন্তু বিতর্ক বইটির কাটতি বাড়িয়েছে, বইটির প্রকাশক ‘প্রথমা’ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রমরমা ব্যবসা করেছে। বইটি প্রকাশের তিন দিনের মাথায় প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকায় লেখক বলছেন, ‘‘বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’
নীরবতা ভাঙলেন এ কে খন্দকার, চাইলেন ক্ষমা
২০১৪ সালে প্রথমা প্রকাশন থেকে ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেও নীরব ছিলেন তিনি। সেই নীরবতা ভেঙে শনিবার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসে এ কে খন্দকার অসত্য তথ্য দেওয়ার দায় নিয়ে ক্ষমা চান। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “যেভাবেই আমার বইতে আসুক না কেন, এই অসত্য তথ্যের দায়ভার আমার এবং বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে কখনই ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দ দুটি বলেননি। “আমি তাই আমার বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠার উল্লিখিত বিশেষ অংশ সম্বলিত পুরো অনুচ্ছেদটুকু প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং একই সাথে আমি জাতির কাছে ও বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার কাছে ক্ষমা চাইছি।” প্রথমা প্রকাশন বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠার বিতর্কিত অংশটুকু বাদ দিয়ে পুনঃমুদ্রণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বইয়ের লেখক একে খন্দকার।
সাড়ে চার বছরের নীরবতা ভেঙে এ কে খন্দকার বলেন, “আমার বয়স ৯০ বছর। আমার সমগ্র জীবনে করা কোনো ভুলের মধ্যে এটিকেই আমি একটি বড় ভুল বলে মনে করি। গোধূলী বেলায় দাঁড়িয়ে পড়া সূর্যের মতো আমি আজ বিবেকের তাড়নায় দহন হয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মার কাছে ও জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে পরা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
বইটি প্রকাশের পর তথ্য সংশোধন করতে চাইলেও প্রথমা প্রকাশনের কারণে তা করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন এ কে খন্দকারের স্ত্রী ফরিদা খন্দকার। এত দিন পর এই উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে ফরিদা বলেন, “আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে সখ্য না থাকায় চেষ্টা করেও তা করতে পারিনি।” ফরিদা বলেন, “বইটি প্রকাশের পরের দিনই ও (এ কে খন্দকার) এবং আমি সংশোধন করার কথা ভাবি। কিন্তু উনারাই আমাদের তা করতে দেয়নি। বরং তারা বলেছেন, বন্দুকের গুলি একবার ছুড়লে আর তার পিছনে ছুটে লাভ কী! “এরপর প্রথমা প্রকাশনের প্রকাশক মতিউর রহমানকেও আমি ফোনে চেষ্টা করি, কিন্তু পাইনি। একবার পেয়ে বলি যে, এত বড় ভুল কীভাবে হল? তখন তিনি বললেন, ‘এটা তো আমি দেখি না। এর বানান, ব্যাকরণগত ভুল এগুলো দেখার জন্য আলাদা লোক আছে’। এরপর আর তাকে পাইনি, আর সংশোধনও করতে পারিনি।” বইটি সংশোধন করতে না পারার আরো কারণ হিসাবে ফরিদা সাংবাদিকদের বলেন, "মঈদুল হাসান ও জাফরুল্লাহ চৌধরীরসহ আরও কয়েকজন (নাম মনে পড়ছে না) কয়েকদিন ধরে পাহারা দিয়ে রেখেছিল যেন এটা সংশোধন না করা হয়।” এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সন্ধ্যা থেকে কয়েক দফায় সাংবাদিকরা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ধরেননি।
এ কে খন্দকারের বইটি তুলে নিল প্রথমা
রোববার প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাফর আহমদ রাশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বইটি প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
বীর উত্তম এ কে খন্দকারের চাওয়া মেনে বইটি প্রত্যাহারের কথা জানালেও তার অভিযোগের বিষয়ে কিছু বলেনি প্রথমা প্রকাশন। প্রথমা প্রকাশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সংবাদ সন্মেলনে তিনি (এ কে খন্দকার) বলেছেন, এই বইয়ের একটি অনুচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তিনি একটি ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন। সে ভুল তথ্যসহ পুরো অনুচ্ছেদটি তিনি বইটি থেকে প্রত্যাহার করে নিতে চান। “১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইয়ের লেখক এ কে খন্দকার। তার বইয়ের যে কোনো অংশ গ্রহণ-বর্জন- পরিমার্জনের পূর্ণ অধিকার তার আছে। লেখকের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা বইটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।” উল্লেখ্য, 'প্রথমা প্রকাশন' প্রথমা আলো পত্রিকার মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান।
দেশ হিসাবে বাংলাদেশের বয়স এখনও ৫০ হয়নি। একটি দেশের জন্য এটি খুবই অল্প সময়। এই বয়সের একটি দেশকে বড়জোর কিশোর দেশ বলা যায়। অথচ এ অল্প সময়ের মধ্যেই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত স্বার্থ, চাঠুকারিতা ও ধোকাবাজির উদ্দেশে দলকানা বুদ্ধিজীবী ও গণতন্ত্রহীন রাজনৈতিক দলের দুশ্চরিত্র-দুর্নীতিবাজ নেতারা এ দেশের ইতিহাস বিকৃতির প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে। যার কারণে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে চাইলে পদে পদে বিভ্রান্ত হয় এবং দেশের ইতিহাস জানার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে বাংলাদেশের সত্যিকারের কোনো ইতিহাস থাকবে না। সরকার বদলের সাথে সাথে বাংলার ইতিহাসও বদলে যাবে!
-------------------
তথ্য ও ছবিসূত্র: bdnews24.com, যুগান্তর, সমকাল, ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৪:২৫