somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল-কোরআনে সম্প্রতি আবিষ্কৃত 'দুই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত' ছাড়াও আরও বিস্ময়কর তথ্য রয়েছে!!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"দুই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরা গ্রহ আবিষ্কার"- 'দৈনিক প্রথম আলো'- ১৭/৯/২০১১ ইং- পৃষ্ঠা-২৪

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মহাকাশে এমন একটি গ্রহ আবষ্কার করেছেন যা দুটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। ফলে সেখানে একই দিনে দুই সূর্যোদয় এবং দুই সূর্যাস্ত একটি গতানুগতিক বিষয়। নাসা জানিয়েছে যে, দূরবীক্ষণ যন্ত্র কেপলারের সহায়তায় পৃথিবী থেকে ২০০ আলোকবর্ষ দূরে 'কেপলার-১৬বি' নামের এরূপ একটি গ্রহ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। খোদ বিজ্ঞানী মহলের কাছে এটি একটি চমকপ্রদ বিষয় বৈকি। শনি গ্রহের মতোই বিশাল শীতল এই গ্যাসীয় গ্রহটির দুটি সূর্য আমাদের সূর্যের চেয়ে ৬৯ ও ২০ শতাংশ ছোট ও তুলনামূলকভাবে শীতল। তাই 'কেপলার- ১৬বি' এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা -৭৩ এবং -১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ২২৯ দিনে একবার দুই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।

From double sunrise to double sunset the show goes on, always changing.

Where the Sun Sets Twice. NASA’s Kepler mission has discovered a world where two suns set over the horizon instead of just one. The planet, called Kepler-16b, is the most “Tatooine-like” planet yet found in our galaxy and is depicted here in this artist’s concept with its two stars. Tatooine is the name of Luke Skywalker’s home world in the science fiction movie Star Wars. In this case, the planet is not thought to be habitable. It is a cold world, with a gaseous surface, but like Tatooine, it circles two stars.

Sometimes the orange sun rises first. Sometimes it is the red one, although they are never far apart in the sky and you can see them moving around each other, casting double shadows across the firmament and periodically crossing right in front of each other.

A planet with two sunsets and two sunrises-

Tatooine comes true: An artist's concept of the planet Kepler-16b. — PHOTO: Reuters

From double sunrise to double sunset the show goes on, always changing. Sometimes the orange sun rises first. Or the red one, though they are never far apart and you can see them moving around each other, casting double shadows across the firmament and periodically crossing right in front of each other.

Astronomers discover planet orbiting a pair of stars-
The sunset on Kepler-16b would look something like the iconic double sunset depicted in Star Wars, only better, says astrophysicist Laurance Doyle of the SETI Institute in Mountain View, Calif. “Nature is always more amazing,” says Doyle, coauthor of a Sept. 16 Science paper that describes Kepler-16b. “There, you’d get a different sunset every day!”

আমাদের পৃথিবীটা নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে একটি নক্ষত্র অর্থাৎ সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করছে। ফলে এটি এমনি একটি স্থান যেখানে আমরা এক সূর্যের উদয় ও অস্তকে অবলোকন করি। সুতরাং এই পৃথিবী ও এর মত সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলোকে এক সূর্যোদয় ও এক সূর্যাস্তের স্থান বলাটাই যুক্তিসংগত।

নিচের আয়াতগুলোর বক্তব্য পৃথিবীর সাথে সম্পর্কিত। তাই এক্ষেত্রে এক সূর্যের উদয় ও অস্তগমনের কথা এক বচনে প্রকাশ করা হয়েছে-

আল-কোরআন-
সূরা বাকরা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০২:১১৫) অর্থ- (এক বচন- সূর্য) উদয়ের দিক (পূর্ব) ও (সূর্য) অস্তগমনের দিক (পশ্চিম) আল্লাহরই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ।
(০২:১৪২) অর্থ- এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুন, (এক বচন- সূর্য) উদয়ের দিক (পূর্ব) ও (এক বচন- সূর্য) অস্তগমনের দিক (পশ্চিম) আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।
(০২:১৭৭) অর্থ- সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, (এক বচন- সূর্য) উদয়ের (পূর্ব) দিকে ও (এক বচন- সূর্য) অস্তগমনের (পশ্চিম) দিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
(০২:২৫৮) অর্থ- তুমি কি সে লোককে দেখনি, যে পালনকর্তার ব্যাপারে বাদানুবাদ করেছিল ইব্রাহীমের সাথে এ কারণে যে, আল্লাহ সে ব্যাক্তিকে রাজ্য দান করেছিলেন? ইব্রাহীম যখন বললেন, আমার পালনকর্তা হলেন তিনি, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমি জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটিয়ে থাকি। ইব্রাহীম বললেন, (فَإِنَّ اللّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ) নিশ্চয়ই আল্লাহ সুর্যকে নিয়ে আসেন (এক বচন- সূর্য) উদয়ের দিক (পূর্ব) থেকে, এবার তুমি তাকে (এক বচন- সূর্য) অস্তগমনের দিক (পশ্চিম) থেকে ফিরিয়ে আন দেখি। তখন সে অবিশ্বাসী হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ সীমালংঘণকারী সম্প্রদায়কে সরল পথ প্রদর্শন করেন না।

এই পৃথিবীতে বসে কিছুদিন আগেও দুই সূর্যোদয় ও দুই সূর্যাস্ত সম্পর্কে বাস্তব ধারনা নেয়া কঠিন ছিল। তাই বিশেষ করে আল-কোরআনের (৫৫:১৭) নং আয়াত ও এরূপ অন্যান্য আয়াতের বক্তব্যকে শুধু এই পৃথিবীর সাথে সম্পর্কিত ভেবে বিভিন্ন জনে বিভিন্নভাবে অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু বিষয়টি অজ্ঞাত ছিল, তাই যে যেভাবেই বলে থাকুক না কেন, সেক্ষেত্রে কেউ ভুল বললেও এক কথায় তাকে দোষ দেবার পক্ষে আমি নই। বরং নিজের জ্ঞান মাফিক চেষ্টা করার জন্য অন্তত তারা প্রশংসা পাবার যোগ্য। তাছাড়া সৃষ্টিজগৎ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে আল্লাহতায়ালা বিশ্বাসীদের জন্য যোগ্য পুরষ্কারের ঘোষনা করেছেন।

কিন্তু যারা বিশ্বাস তো করেই না, বরং সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালার বাণীকে অবাস্তব কল্পকাহীনি আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করে- স্রষ্টা তাদেরকে মোক্ষম জবাব দেবার ব্যবস্থা করেছেন। যতই দিন যাবে, তাদের কটাক্ষের কড়া প্রত্যুত্তর বিজ্ঞানের মাধ্যমেই তারা পেয়ে যাবে।

এবার দেখা যাক আল-কোরআনে দুই নক্ষত্র/সূর্য উদয় ও দুই নক্ষত্র/সূর্যের অস্তগমন সম্পর্কে আদৌ কোন ইংগিত আছে কি?

আল-কোরআন (Al-Quran) -
সূরা আর রহমান ( মদীনায় অবতীর্ণ )
رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ
(৫৫:১৭) রাব্বুল মাশরিকাইনি ওয়া রাব্বুল মাগরিবাইন
(৫৫:১৭) অর্থ- তিনি দুই (নক্ষত্র/সূর্য) উদয়ের (স্থানের) পালন-কর্তা এবং তিনি দুই (নক্ষত্র/সূর্য) অস্তগমনেরও (স্থানেরও)পালন-কর্তা।
(55:17) [He is] Lord of the (place of) two/double (Star/Sun) risings and Lord of the (place of) two/double (Star/Sun) settings.

(৫৫:১৭) নং আয়াতে 'মাশরিকাইন' ও 'মাগরিবাইন' শব্দ দুটি 'দ্বি-বচন' এবং দ্বৈত ভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। 'মাশরিক' শব্দের অর্থ সাধারনত (এক) সূর্যোদয়ের স্থান/দিক হিসেবেই করা হয়ে থাকে। (০২:২৫৮) নং আয়াতের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, এখানে 'মাশরিক' শব্দটির অর্থ 'পূর্ব দিক' হিসেবে করা হয়ে থাকে। মূলত 'শার্ক' ও 'গার্ব' এই দুটি শব্দের অর্থ হলো 'পূর্ব' ও 'পশ্চিম'। কাজেই 'শার্কাইন' ও 'গার্বাইন' শব্দ দুটির অর্থ 'দুই পূর্ব' ও 'দুইপশ্চিম'। (০২:২৫৮) নং আয়াতে 'মাশরিক' ও 'মাগরিব' শব্দ দুটির সাথে যেহেতু 'শামসু' অর্থ 'সূর্য' শব্দটি এসেছে এবং 'পূর্ব দিক থেকে সূর্য উদয়' এবং 'পশ্চিম দিক থেকে সূর্যকে আবার ফিরিয়ে আনার' প্রসঙ্গটি এসেছে। তাই অন্যান্য আয়াতেও 'মাশরিক' ও 'মাগরিব' শব্দ দুটিকে 'সুর্যোদয়' ও 'সূর্যাস্ত' হিসেবেই সরাসরি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। কিন্তু মৌলিক ভাবে 'মাশরিক' ও 'মাগরিব' শব্দ দুটি দ্বারা শুধু সূর্য নয়, বরং যে কোন নক্ষত্রের 'উদয়ের দিক/স্থান' ও 'অস্তগমনের দিক/স্থান' -কে বোঝানো যেতে পারে।

বিজ্ঞানের চমকপ্রদ আবিষ্কার- দুটি নক্ষত্র/সূর্য-কেন্দ্রিক জগতের মাঝে অবস্থিত 'কেপলার-১৬বি' এমনি একটি গ্রহ যেখানে একই দিনে দুটি নক্ষত্র/সূর্য উদিত হয় ও অস্তগমন করে। তাই এই গ্রহটিকে তো বটেই এবং এরই মত আরও যে সব গ্রহ আবিষ্কৃত হবে সেগুলোকে 'দুই নক্ষত্র/সূর্য উদয়ের ও দুই নক্ষত্র/সূর্য অস্তগমনের স্থান' বলা হলে নিশ্চয় অযৌক্তিক হবে না।

শুধু তাই নয, আল-কোরআনে দুইয়ের অধিক নক্ষত্র/সূর্য উদয় ও দুইয়ের অধিক নক্ষত্র/সূর্য অস্তগমন সম্পর্কেও ইংগিত দেয়া হয়েছে-

আল-কোরআন (Al-Quran) -
সূরা আস-সাফফাত (মক্কায় অবতীর্ণ)
رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ
(৩৭:০৫) অর্থ- তিনি আসমান সমূহ, পৃথিবী/ভূমির ও এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা বহু (নক্ষত্র/সূর্য) উদয়েরও (স্থানেরও)।
(37:05) Lord of the heavens and the earth and that between them and Lord of the multiple (Star/Sun) risings.

সূরা আল মা’আরিজ (মক্কায় অবতীর্ণ)
فَلَا أُقْسِمُ بِرَبِّ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ إِنَّا لَقَادِرُونَ
(৭০:৪০) আমি শপথ করছি বহু (নক্ষত্র/সূর্য) উদয়ের (স্থানের) এবং বহু (নক্ষত্র/সূর্য) অস্তগমনের (স্থানের) পালন-কর্তার, নিশ্চয়ই আমরা সক্ষম-
(70:40) So, I swear by the Lord of the (place of) multiple (Star/Sun) risings and the (place of) multiple (Star/Sun) settings, that indeed We are able.

বিশেষভাবে লক্ষণীয় এই যে, (৫৫:১৭) নং আযাতে 'মাশরিকাইনি'-(দুই উদয়) ও 'মাগরিবাইনি'- (দুই অস্ত) এবং (৩৭:০৫) ও (৭০:৪০) নং আয়াতে 'মাশারিকি'- (বহু উদয়) ও 'মাগারিবি'- (বহু অস্ত) এর সাথে সরাসরি 'শামসু'- (সূর্য)- কে সংশ্লিষ্ট রাখা হয় নাই। আর এ কারনেই (৫৫:১৭) নং আযাতের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সূর্য ছাড়াও এরই মত কোন অঞ্চলের/স্থানের দুই সূর্য/নক্ষত্রের উদয় ও অস্তকে বোঝানোর ইংগিতই স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

একই ভাবে (৩৭:০৫) ও (৭০:৪০) নং আয়াতে 'আল-মাশারিকি' ও 'আল-মাগারিবি' এর অর্থ শুধুমাত্র আমাদের এই পৃথিবীতে এক সূর্যের উদয় ও অস্তের সাথেই সম্পৃক্ত নয়। বরং মৌলিকভাবে অনুবাদ করলে এর মাধ্যমে বহু-বচন বোঝায় এবং মহাবিশ্বের যে কোন স্থানে 'বহু নক্ষত্র/সূর্যের উদয়'('আল-মাশারিকি') এবং 'বহু নক্ষত্র/সূর্যের অস্তগমনের'('আল-মাগারিবি') ভাবই প্রকাশ পায়। কাজেই শুধুমাত্র পৃথিবীর সাথে সম্পৃক্ত করে অনুবাদ করা হলে, মহান স্রষ্টা এই আযাতগুলোর মাধ্যমে যে ব্যাপক অর্থ প্রকাশ করতে চেয়েছেন তা ব্যহত হতে পারে। যেহেতু (৫৫:১৭) নং আয়াতে বিশেষ ভাবে দুই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বক্তব্য এসেছে। সুতরাং (৩৭:০৫) ও (৭০:৪০) নং অয়াতে 'বহু' বলতে ২ এর অধিক অর্থাৎ ৩, ৪, ৫ বা তার অধিক সংখ্যক বুঝতে হবে।

বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে তিন সূর্যকে প্রদক্ষিণরত গ্রহও খুঁজে পেয়েছেন-

Triple Sunset: Planet Discovered in 3-Star System-
A newly discovered planet has bountiful sunshine, with not one, not two, but three suns glowing in its sky.

The triple-star system, HD 188753, is located 149 light-years away in the constellation Cygnus. The primary star is like our Sun, weighing 1.06 solar masses. The other two stars form a tightly bound pair, which is separated from the primary by approximately the Sun-Saturn distance.

First Planet Under Three Suns Is Discovered-

This artist's animation shows the view from a hypothetical moon in orbit around the first known planet to reside in a tight-knit triple-star system. The gas giant planet, discovered using the Keck I telescope atop Mauna Kea in Hawaii, zips around a single star that is orbited by a nearby pair of pirouetting stars. (Image credit: NASA/JPL-Caltech)

In other words, a viewer there would see three bright suns in the sky. In fact, the sun that the planet orbits would be a very large object in the sky indeed, given that the planet's "year" is only three and a half days long. And it would be yellow, because the main star of HD 188753 is very similar to our own sun. The larger of the other two suns would be orange, and the smaller red.

"How that planet formed in such a complicated setting is very puzzling. I believe there is yet much to be learned about how giant planets are formed," Konacki said.

ভবিষ্যতে যে ৪, ৫ কিংবা আরও অধিক সংখ্যক নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণরত গ্রহও আবিষ্কৃত হতে পারে তা সময়ই বলে দেবে।

তেমনি তিনটা, চরটা বা কয়েকটি নক্ষত্রের মাঝখানে যদি কোন গ্রহ থাকে এবং তারা যদি মেইন-সিকোয়েন্স নক্ষত্র বা কোন ক্ষুদ্র ব্ল্যাকহোলকে কেন্দ্র করে ভারসাম্যপূর্ণ গতিতে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। তাহলে অবস্থানগত কারনে মেইন সিকোয়েন্স নক্ষত্র এবং অন্যান্য নক্ষত্রগুলো দ্বারা সর্বদিকে সব সময়ই আলোকিত হতে থাকায় সেই গ্রহটিতে কখনো রাতের আবির্ভাব ঘটবে না অর্থাৎ এ অবস্থা চলতে থাকলে সেই গ্রহের দিন কিয়ামত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। ঠিক তমনি কোন গ্রহ যদি তার সূর্য/নক্ষত্র কেন্দ্রিক কক্ষপথ থেকে ছুটে গিয়ে কোন ক্ষুদ্র ব্ল্যাকহোলের আকর্ষণের ভারসাম্যপূর্ণ আওতার মধ্যে এসে পড়ায় ব্ল্যাকহোলটিকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, তাহলে সেই গ্রহে কিয়ামত পর্যন্ত রাত বিস্তৃত হবে অর্থাৎ সখানে কখনোই দিনের উন্মেষ ঘটবে না। যদিও এরূপ কোন ঘটনা বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করত পারনি, কিন্তু তাই বলে এমটি আদৌ সম্ভব নয় বলে উড়িয়ে দেয়া কি ঠিক হবে? কয়েকটি নক্ষত্রের মাঝে অবস্থানরত কোন গ্রহকে খুঁজে পাওয়া কিংবা ব্ল্যাকহোলকে প্রদক্ষিণরত কোন গ্রহকে খুঁজে পাওয়া যদিও খুবই কঠিন। কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতি যে গতিতে এগুচ্ছে তাতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া এমনটি যে অসম্ভব নয় তা অনেকে বিজ্ঞানী মনে করেন-

Astronomer Dr. Cathy Imhoff of the Space Telescope Science Institute-
That depends on how much matter has been pulled into the black hole. The more matter, the stronger the gravity (just like everything else). It also depends on how something is moving near the hole. A planet could be in orbit around the black hole and not be pulled in. For instance, suppose the sun suddenly became a black hole (couldn't happen, but just suppose). It has the same amount of matter, so it has the same gravity. All the planets would continue to orbit it. It just would get pretty dark!!!

A Race Round a Black Hole-

This animation depicts three hot blobs of matter orbiting a black hole. If placed in our Solar System, this black hole would appear like a dark abyss spread out nearly as wide as Mercury's orbit. And the three blobs (each as large as the Sun) would be as far out as Jupiter. They orbit the black hole in a lightning-quick 20,000 miles per second, over a tenth of the speed of light. Click on image to view animation. Click here for a high resolution still from the animation (9.8 MB) Credit: NASA/Dana Berry, SkyWorks Digital

They glow in X-ray light, which is thousands of times more energetic that the visible light our eyes can detect.

XMM-Newton is a special kind of telescope that can detect X-ray light, but not visible light. The Hubble Space Telescope, on the other hand, detects visible and ultraviolet light, but not X rays.

আসুন তবে এবার চোখ মেলে দেখি যে, আল-কোরআনে জগৎসমূহের স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালা এ বিষয়ে কি কি ইংগিত দিয়ে রেখেছেন-

আল-কোরআন-
সূরা আল কাসাস ( মক্কায় অবতীর্ণ )
(২৮:৭১) অর্থ- বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি রাত্রিকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে আলোক দান করতে পারে? তোমরা কি তবুও কর্ণপাত করবে না?
(২৮:৭২) অর্থ- বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি দিনকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে যে, তোমাদেরকে রাত্রি দান করতে পারে, যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে ? তোমরা কি তবুও ভেবে দেখবে না ?

আপাতত এটুকুই তুলে ধরলাম। পরবর্তিতে এ সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, ইনশাল্লাহ-

আমরা যারা বিশ্বাস করি, তাদের কোন সমস্যা যেমন আগেও ছিল না, তেমনি এখনও নেই। কারন স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালা বিশ্বাসীদের জন্য অনেক আগেই এই অকাট্য বৈজ্ঞানিক তথ্যটি তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে জানিয়ে দিয়েছেন। যা বিজ্ঞান সম্প্রতি আবিষ্কার করল, আমরা কিন্তু তা অনকে আগে থেকেই জানতাম এবং বিশ্বাস করতাম। কারন আমাদের জানবার সোর্সটি তো স্বয়ং স্রষ্টা নিজেই। ওরা আগে বিশ্বাস না করলেও এখন আর না করে তো উপায় নেই।

‘মহান স্রষ্টা যে আছেন’ এ পৃথিবীতে আল-কোরআনই তার নিরন্তর জ্জ্বলন্ত প্রমাণ। এই অকাট্য সত্য তথ্যগুলোকে যে স্বয়ং মহান স্রষ্টাই তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আগে থেকেই সংযোজন করে রেখেছেন তা ঈমানদারেরা সহজেই বুঝে নেবে ও একবাক্যে বিশ্বাস করে নেবে। এই ঐশী তথ্যগুলোর অছিলায় অনেক নীরহংকার জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিবর্গ যে ইমানের আলোয় আলোকিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে এপরও যারা অহংকার বশত বে-ইমানের পথে পা বাড়াবে তাদের ফায়সালার জন্য তো মহান আল্লাহই যথেষ্ট।
---------------------------------------------------
বিঃ দ্রঃ - 'মাশরিকাইনি' ও 'মাগরিবাইনি'- এই শব্দ দুটি দ্বারা Dual অর্থাৎ দ্বৈত ভাব প্রকাশ করে (l-mashriqayni- nominative masculine dual noun) এবং এর দ্বারা শুধুমাত্র এই সৌরমন্ডলের একটি সূর্যের দুটি বা বিভিন্ন পয়েন্টে বিভিন্ন সময়ে উদয় ও অস্ত নয়, বরং প্রকৃত অর্থে একসাথে যে কোন দুটি অর্থাৎ একজোড়া নক্ষত্রের উদয় এবং অস্তকেই নির্দেশ করে। আর একসাথে দুই উদয় বা দুই অস্ত হতে হলে তো একটি নয়, বরং দুটি সূর্য বা নক্ষত্র থাকা চাই-
অনেকে সূর্যের সাথে চাঁদকেও টেনে নিয়ে এসে দুই পূর্ব ও দুই পশ্চিমকে মেলানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যা মোটেই ঠিক নয়-
তাছাড়া শুধু দুই নয়, বহু অর্থাৎ দুই এর অধিক উদয় ও অস্তের বক্তব্যও কোরআনে এসেছে এবং বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে তিনটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘোরা গ্রহও আবিষ্কার করেছেন। যা মহান স্রষ্টার বাণীর সত্যায়ন করছে-
এতদিন এই পৃথিবীতে বসে মানুষ সহসা এমনটি ভাবতে পারেনি বলে বিভিন্ন জনে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন। আল-কোরআনের বাণী যে ক্রমান্বয়ে সত্য হিসেবে প্রমাণিত হতে থাকবে, তা যারা মানে এবং যারা মানে না, তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যই মহান স্রষ্টা এই ইংগিতটি অনেক আগেই দিয়ে রেখেছেন-
ধন্যবাদ-









সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১২
৪৮টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×