উত্তর কোরিয়ার প্রতি ট্রাম্পের হম্বি তম্বি দেখে অনেকেই মনে করছেন উত্তর কোরিয়ার সাথে আমেরিকার এই বুঝি যুদ্ধ শুরু হল ! কিন্তু ঘটনা তা নয় । ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেও তিনি কিন্তু নিজেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নয় বরং আমেরিকা নামক একটা কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনে করেন ! কারণ ট্রাম্প একজন ঝানু ব্যবসায়ী। তিনি রাজনীতি নন, রাজনীতিকে পরিমাপ করেন ব্যবসার দ্বারা।
ঘটনা হল উত্তর কোরিয়ার কথিত হামলা থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষার জন্য ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম থার্ড স্থাপন করে দক্ষিণ কোরিয়াকে বলছে-তোমাকে রক্ষার জন্য তোমার দেশে মিসাইল সিস্টেম বসালাম। এখন একশত কোটি ডলার দাও !
মেক্সিকো-আমেরিকা সীমান্তে ট্রাম্প যে দেয়াল তৈরি করত চেয়েছিলেন তার সমুদয় খরচ তিনি মেক্সিকোর কাছ থেকে আদায় করবেন বলেছিলেন এবং মেক্সিকোকে সে কথা বলেছিলেন! মেক্সিকো কোনো টাকা দিবে না বলে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।
সিরিয়ায় তথাকথিত সেইফ জোন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প কিন্তু তার খরচ তিনি সৌদি আরব, তুর্কি ও কাতারকে দিতে বলেছিলেন কিন্তু রাশিয়ার চরম বিরোধীতায় সেটার বাস্তবায়ন হয়নি।
কিছুদিন আগে সিরিয়ার একটি বিমান ঘাটিতে ট্রাম্প ২৩ টা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত নিক্ষেপ করে সৌদির কাছে ৫৯ টার ভাউচার ধরিয়ে দিয়ে ডলার আদায় করেছে। আবার গত পরশু ট্রাম্প সৌদিকে বলেছে, তোমার রাজত্বকে আমরা রক্ষা করছি।কিন্তু তোমরা সে অনুযায়ী আমাদেরকে ডলার দিচ্ছ না। এর আগে ট্রাম্প সৌদি আরবকে বলেছিলেন, তোমাদের তেলের ভাগ আমাদের দিতে হবে !
জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কোনো অর্থ আদায়ের নিশ্চিৎ প্রতিশ্রুতি না পেলে ( পাবে না তো বটেই) উত্তর কোরিয়াকে সামরিক হামলার মাধ্যমে সামান্য একটা আঁচড়ও দেবে না ট্রাম্প ! উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধের ক্ষয় ক্ষতি নিয়ে বিশ্লেষণ করতেই থাকেন
উত্তর কোরিয়ার প্রতি এত্তসব হম্বিতম্বির ও সমর সজ্জার পর ট্রাম্প এখন বলছেন, কিম জং উন খুবই একজন বুদ্ধিমান মানুষ। আমি যদি তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারি তাহলে নিজেকে সম্মানিত ও গর্ববোধ অনুভব করব !!!