somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

হঠাৎ করেই কি পশ্চিমে সূর্য উঠা সম্ভব?

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবী অবিরামভাবে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে চলছে। প্রতি ঘন্টায় ১৬৭০ কিলোমিটার বেগে। এ কারণেই দিন রাত হয়। আমাদের মনে হয়, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত ঘটছে। বাস্তবিক সূর্যের উদয় বা অস্ত যাওয়া বলতে কিছু নেই। পৃথিবীই আমাদের ঘুরাতে ঘুরাতে সূর্যের কাছে আনে আবার দূরে সরিয়ে দেয়।
বাসে চলার সময় আমরা টের পাইনা এতো জোড়ে চলছি। কারণ বাসটি আমাদের নিয়েই চলতে থাকে। যদি হঠাৎ ব্রেক করে তবে সামনের দিকে ধাক্কা খাই।
যদি পৃথিবীর ঘুর্ণন হঠাৎ থেমে যায় কি হবে? এটি পৃথিবীতে বসবাসরত সমস্তকিছুর জন্য হবে এক মহা ভয়ানক বিপর্যয়। প্রথমেই মুহুর্তের মধ্যে পৃথিবীর পৃষ্ঠে থাকা সবকিছু ছিটকে গিয়ে কমপক্ষে ঘন্টায় ১৬৭০ কি.মি বেগে পূর্ব দিকে উড়তে শুরু করবে। মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি, রাস্তাঘাট, বিল্ডিং, পাহাড় পর্বত এমনকি মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যাবে সবকিছু। সমুদ্রের পানি পর্যন্ত পূর্ব দিকে প্রবাহিত হতে শুরু করবে! এতে করে প্রথমত সকল সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে বিশাল আকৃতির ঢেউ সৃষ্টি হবে। যার ফলে সমুদ্র উপকূলীয় শহরগুলো নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যাবে। পানি চলে যাবে দুই মেরুর দিকে। এসময় পুরো পৃথিবীর বায়ুমন্ডল প্রচন্ড গতিবেগের সাথে সম্পূর্ণ পৃথিবী পর্যায়ক্রমে ঘুরতে থাকবে। পৃথিবীর এই অ্যাটমোসফিয়ার এত জোরে ঘুরবে যে পৃথিবীতে সেসময় প্রচন্ড গতিতে বাতাস প্রবাহিত হবে। আর বাতাসের সাথে সাথে কিছুক্ষন পরপর আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে ফলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুরু হবে ভয়ানক ধুলোর মেঘ জমা। যা শুরু করবে বর্তমানের প্রচণ্ড ঝড়গুলোর চেয়ে দশগুণ প্রচন্ড ঝড় এবং বজ্রপাত। সেই বজ্রপাতের ফলে প্রচন্ড বিদ্যুতায়নের সৃষ্টি হবে। এর সাথে সাথে, হঠাৎ করে পৃথিবী থেমে যাওয়ায় প্রচন্ড ধাক্কার কারনে বাতাসে যে বিশাল ঢেউ বা শকওয়েভের সৃষ্টি হবে, তা পারমানবিক বোমা বিস্ফোরনের শকওয়েভের চাইতে বহুগুন ভারী। পৃথিবীর কেন্দ্রে ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করবে। আর এতে করে প্রথমত ঘন ঘন তীব্র ভূমিকম্প হতে থাকবে। ভূমিকম্পের পাশাপাশি সেসব স্থানে আগ্নেয়গিরি দেখা যায়; সেখান থেকে ঘন ঘন অনেকক বেশি পরিমানে আগ্নেয়গিরি উত্তাল হতে থাকবে। আগ্নেয়গিরি ধীরে ধীরে অনেক বড় শহরে প্রবেশ করে শহরের যাবতীয় পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দিতে শুরু করবে। তাছাড়াও পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে হারিকেন ঘূর্নিঝড় সৃষ্টি হবে। পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্যও স্থির হয়ে যাবে। দিনরাত বলে কিছু থাকবে না। পৃথিবীর গতি থেমে যাওয়ার পর প্রচণ্ড গতির বায়ুর ঘর্ষণের ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠে আগুন লেগে যাবে। আর এই আগুন এর জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে ‘অক্সিজেন’! এই ভয়ানক আগুনের ফলে মহাপ্রলয় সৃষ্টি হবে। ওজন স্তর নষ্ট হয়ে যাবে। সৌরমন্ডলীয় বায়ু আমাদের পৃথিবীতে প্রবেশ করে মারাত্মক রেডিয়েশন এর সৃষ্টি করবে ; যার ফলে পৃথিবী আমাদের থাকার অযোগ্য হয়ে পড়বে। পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
এরপরে আসে পৃথিবীর উল্টো দিকে ঘূর্ণন। সেটা শুরু করলেই কেবল সূর্য পশ্চিম দিকে উঠতে পারবে। হঠাৎ করে পৃথিবীর আবর্তন বন্ধ হবে না। লক্ষ কোটি বছর পরে বন্ধ হলেও উল্টো দিকে ঘূর্ণন শুরু করবে না। অত দিনে মানুষ বিকল্প বাসস্থল খুঁজে পাবে যদি টিকে থাকে।
ফলে পশ্চিমে সূর্য উদয় দেখার সুযোগ কোন দিনই আসবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩৫
১৬টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×