যে কোন হত্যাকাণ্ড অপ্রত্যাশিত। ব্লগার রাজীব হায়দার এর হত্যাকাণ্ডের জন্য আমরা যারা ক্ষুদ্র থেকে বড় পরিসরে ব্লগিং করে থাকি সবাই দুঃখিত। তার প্রতি অন্য ব্লগারদের অনুভূতি দেখে আমার এমন মনে হয়েছে। সত্যি বলতে এমনটি হওয়া উচিত হয়নি। দেশে তো একটা আইন-কানুন বলে কিছু একটা আছে, সেটাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অবশ্য এই হত্যাকাণ্ডের পর বিচার কতদূর এগিয়ে ছিলো সেটার প্রতি আমার ব্যক্তি কৌতুহল ছিলো না। কেন ছিলো না? সেটাও বুঝতে পারি না। আজও না।
কিন্তু আমি সেসময় তার লেখাগুলো খুব গুরুত্বের সাথে পড়েছি। বুঝার চেষ্টা করেছি। তিনি যা লিখেছিলেন সেটা যদি "ফ্রিডম অব স্পিচ" হয়, বা সমালোচনা হয়, বা এতে তিনি যদি মুক্তমনা মনের অধিকারী হিসেবে গণ্য হোন তাহলে একটা প্রশ্ন মনে জাগে সেটা হলো, "তবে কটুক্তি ও গালি-গালাজ কাকে বলে?" এবং কটুক্তি/গালিগালাজ ও ফ্রিডম অব স্পিচের মধ্যে পার্থক্য কি? এই প্রশ্নটা বারবার মাথায় পাক খেয়ে গেছে। তবে আমার এই কথার দ্বারা তার হত্যাকাণ্ডকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছি না। বরং "ফ্রিডম অব স্পিচ" কি? সেটা জানার কৌতুহল ব্যক্ত করছি। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে এই অতীত বারবার অনেকে টেনে আনছেন। চেষ্টা করছেন বাংলাদেশে একেবারেই "ফ্রিডম অব স্পিচ" নেই, আমি অন্তত সেটা মানতে নারাজ। অনেকটা ব্যহত হচ্ছে বললেও স্বীকার করতাম, কিন্তু একেবারেই নেই কথাটি আমি স্বীকার করতে চাইনি কখনো। আজও চাই না। আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা যথেষ্ট সাহস নিয়ে ফিল্ডে গিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন, এবং কিছুটা সত্যর ছিটেফোঁটা হলেও বেঁচে আছে আজও আমাদের নিউজপেপারে পাতায় পাতায়। খুঁজে দেখুন, পাবেন।
বাংলাদেশ এখনো কোন দেশের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেয়নি বলে আমার বিশ্বাস, এবং এখনো স্বপ্ন দেখি সব ঠিক হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:১১