গভীর রাত।হেডফোনে সাউন্ড কমিয়ে স্মৃতির গানগুলো শোনা।এইটা সম্ভবত পৃথিবীর অন্যতম বাজে সময়ের একটা,অনুভূতির বেলায় মধুর।স্কুল লাইফের প্রেমটা যেন তখন আরও বেশি জীবন্ত হয়ে উঠে।যেই গানগুলো শুনতে শুনতে তার প্রেমে পড়া হয় সেই গানগুলো যেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এবং মধুর।যে যত কিছুই বলুক,আমার কাছে তো ঐ গানগুলাই সেরা।কারণ আমি চাই আরও জীবন্ত স্মৃতি।আর আরও জীবন্ত স্মৃতির জন্য তো গানের বিকল্প আর কিছু নেই।পারফিউম এবং ছবিও স্মৃতিগুলোকে আরও জীবন্ত করে তোলে।কিন্তু ওয়ান সাইডেড লাভে আর ছবির সুযোগ কই?
প্রিয় স্কুলের কথাটা চিন্তা করি।কারণ আমি আর সে তো ঐ একই স্কুলের।এমনিতেই স্কুলের কথা মনে পড়লে তার কথা মনে পড়ে।বারান্দায় তার হাঁটা,ক্যান্টিনে যাওয়া,ব্যাগ নিয়ে ক্লাসে ঢুকা,বান্ধবীদের দিকে তাকিয়ে স্কুলের মাঠের মাঝখান থেকে হাসা।সাথে ওই গানগুলা হলে তো আর কোনো কথা-ই নেই।সবকিছুই ভালোভাবে চলে।কিন্তু খারাপটা শুরু হয় তখন,যখন স্মৃতিগুলো বেশি জীবন্ত হয়ে পড়ে।দম বন্ধ হয়ে যায়,হাত পা কাঁপতে থাকে।খারাপ লাগে যখন বুঝতে পারি যে, কিছুই করার ক্ষমতা নেই।ওই সময়টাতে তো আর ফিরে যেতে পারবো না।না পারবো তাকে আগের রূপে দেখতে।কতই না ভালো হতো যদি ঐসময়টাতে ফিরে যেতে পারতাম,হোক খারাপ দিনগুলোতে। ঐসময়ের খারাপ সময়গুলাও তো মধুর,স্মৃতিময়।কাঁদতে ইচ্ছে করে।কিন্তু কাঁদার অধিকার তো ওয়ান সাইডেড লাভ দেয় না
মাঝেমধ্যে ভাবি তার প্রাপককে নিয়ে।তার সাথে তো আমার তেমন পার্থক্য নেই।সৃষ্টিকর্তার কোনো সৃষ্টিই খারাপ না।অই হিসাবে তার সবচেয়ে বাজে সৃষ্টিকে শুন্য ধরলে তার প্রেমিক হয়তো লুকসে আমার থেকে ১০ এগিয়ে থাকবে, বা কেউ চাইলে ইচ্ছামত ডিজিটও বসাতে পারেন।উচ্চতায় সমান।ফ্যামিলি স্ট্যান্ডার্ড,টাকাপয়সা,আত্মীয়সজন ইত্যাদিতেও হয়তো তার প্রেমিক গড়ে ১০ কিংবা ২০ এগিয়ে থাকবে।কিন্তু তার প্রাপ্তি?
সেটাতো অমূল্য।যেন গোটা পৃথিবীর ওজনের সমান।এই হালকা তফাতের জন্য সৃষ্টিকর্তা আমাকে আর তার প্রাপককে প্রাপ্তিতে এত উঁচুনিচু করবেন?হয়তো উনার কাছে কোনো মহৎ প্ল্যান আছে।তা না হলে প্রাপ্তিতে এমন বৈষম্য তো প্রাচীন রোমের দাস এবং সিনেটরদের মধ্যেও ছিল না
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬