ছবিঃ- ইন্টারনেট থেকে নেওয়া..
-
আজ তো পহেলা বৈশাখ।
অনেকে বাসায় বসে আসিফ এর পহেলা বৈশাখ নিয়ে গাওয়া গান শুনছেন, কেউবা বাসায় বসে প্ল্যান করছেন আজ বন্ধুবান্ধবী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে ঘুরবেন, ফিরবেন মজা করবেন, আরও কত কী ভেবে রেখেছেন। আবার অনেকে কাল রাতেই ভেবে রেখেছেন যে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে পান্তা-ইলিশ খাবেন, তারপর বৈশাখের নতুন কাপড় পড়ে বের হবেন ঘুরতে। এখানে,সেখানে কতখানেই না আজ ঘুরবেন। হাতে থাকবে অনেক পয়সা, নিজের জন্য কিছু কিনবেন এবং সাথে বন্ধু-বান্ধব অথবা প্রেমিকা থাকলে তাদের বা তাঁর পছন্দের জিনিসটিও কিনে দিবেন। তখন টাকার দিকে তাকাবেন না বা ভাববেন না। কারণ আপনি যথেষ্ট টাকা-পয়সা নিয়ে বেড়িয়েছেন, কেনোনা আজ “আজ পহেলা বৈশাখ”। আজ বাসা থেকে বেরুনোর পর চেনা-অচেনা মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা পরিচয় হবে। পুরাতন বন্ধুর সাথে দেখা হলে থাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাবেন খেতে।
-
আজ কিছু মানুষদের কাছে মনে হবেনা যে আজ কোনো উৎসব আছে কী না। তারা কাল রাতে ভেবে রেখেছে যে, প্রত্যেকদিনের মতো কালকের সকালটাও যেন আমাদের জন্য ভালো হয়। যে যার কাজে বেড়িয়ে পড়ছে। কাজে যাওয়ার পর দেখা গেলো যে, রঙিন পোষাক পড়া মানুষ ছাড়া আজ কোনো কাজ-ই নেই। বড় বড় ব্যবসায়ীরা আজ তাদের স্ত্রী এবং বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাবে তাদের ব্যবসা রেখে। আনন্দ ও উৎসবের জন্য তারা ভাববে না গরীব মানুষদের কথা; যারা উৎসব রেখে পেটের দায়ে আসছে কাজ করতে।
-
আজ দেখা যাবে কিছু মাছুম এতীম বাচ্চাদের। যাদের হাতে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ফুল। অতিরিক্ত মানুষ হওয়ায় আজ রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকবে। তাই গাড়িও দাঁড়িয়ে থাকবে, সেই বাচ্চাগুলো গাড়ির কাছে গিয়ে বলবে,- “আপু/ভাইয়া একটা ফুল নিবেন। দয়া করে একটা ফুল নেন না, নিয়ে বাসায় সাজিয়ে রাখবেন অথবা আপনার প্রিয় মানুষটিকে দিবেন। দেখবেন অনেক খুশি হবে।” এই মাছুম বাচ্চাদের আকুতি মিনতি কেউ-ই দেখবে না বা শুনবে না। আজ তারা ভীষণ ব্যস্ত। তাই এঁদেরকে চোখে লাগছেনা। বাচ্চাগুলো একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যাচ্ছে হাতে ফুল নিয়ে।
-
এরপর আরও কিছু বাচ্চাদের দেখা যাবে, যাদের গায়ে ছেড়া জামা-কাপড়। হাঁটছে আপন মনে। পেটে ক্ষুধার জ্বালা। সহ্য হয়না, তাই ভালো পোষাক পরিহিত মানুষের কাছে হাত পেতে বলবে,- “কিছু পয়সা দিবেন, খুব খুধা লাগছে। খেতে না পেয়ে মারা যাব।” কিন্তু না সে টাকা পাবেনা। কারণ তাকে শুনতে হয়েছে,- “যাহ তো, এখন হাতে টাকা নেই।” কিন্তু তারপরেই দেখা যাচ্ছে যে, বন্ধু-বান্ধবী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে এমন একটা রেস্টুরেন্টে ডুকছে, সে রেস্টুরেন্টে কমপক্ষে ১,০০০ (এক হাজার) টাকা ছাড়া কেউ ডুকতে পারবে না।
আবার সেই অবহেলিত বাচ্চটা শুধু একটু বেশি-ই জেদ করে কিছু পয়সার জন্য, তাহলে তাকে খেতে হচ্ছে কিল-গুতা, নয়তো দামী জুতোর লাথি।
-
আসুন না আমরা সবাই মিলে শপথ করি,
“ আমাদের কাছে প্রতিটি শিশুই হবে সুন্দর ও আদরের ছোট ভাই/বোন। আমাদের সামনে যদি কখনো কোনো শিশু তার ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার চেয়ে বা পয়সা চেয়ে হাত পাতে তাহলে আমরা ফিরিয়ে দিব না। যার যতটুকু সামর্থ্য সে ততটুকুই সাহায্য করব। কখনো ধমক দিব না। তাদের দিকে আমরা একটু মমতার হাত বাড়িয়ে দিব। দেখবেন তার মুখে কী সুন্দর হাসি যে, যে হাসি আপনাকে করে তুলবে আনন্দের চেয়ে অনেক আনন্দিত...”আজ তো পহেলা বৈশাখ।
অনেকে বাসায় বসে আসিফ এর পহেলা বৈশাখ নিয়ে গাওয়া গান শুনছেন, কেউবা বাসায় বসে প্ল্যান করছেন আজ বন্ধুবান্ধবী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে ঘুরবেন, ফিরবেন মজা করবেন, আরও কত কী ভেবে রেখেছেন। আবার অনেকে কাল রাতেই ভেবে রেখেছেন যে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে পান্তা-ইলিশ খাবেন, তারপর বৈশাখের নতুন কাপড় পড়ে বের হবেন ঘুরতে। এখানে,সেখানে কতখানেই না আজ ঘুরবেন। হাতে থাকবে অনেক পয়সা, নিজের জন্য কিছু কিনবেন এবং সাথে বন্ধু-বান্ধব অথবা প্রেমিকা থাকলে তাদের বা তাঁর পছন্দের জিনিসটিও কিনে দিবেন। তখন টাকার দিকে তাকাবেন না বা ভাববেন না। কারণ আপনি যথেষ্ট টাকা-পয়সা নিয়ে বেড়িয়েছেন, কেনোনা আজ “আজ পহেলা বৈশাখ”। আজ বাসা থেকে বেরুনোর পর চেনা-অচেনা মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা পরিচয় হবে। পুরাতন বন্ধুর সাথে দেখা হলে থাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাবেন খেতে।
-
আজ কিছু মানুষদের কাছে মনে হবেনা যে আজ কোনো উৎসব আছে কী না। তারা কাল রাতে ভেবে রেখেছে যে, প্রত্যেকদিনের মতো কালকের সকালটাও যেন আমাদের জন্য ভালো হয়। যে যার কাজে বেড়িয়ে পড়ছে। কাজে যাওয়ার পর দেখা গেলো যে, রঙিন পোষাক পড়া মানুষ ছাড়া আজ কোনো কাজ-ই নেই। বড় বড় ব্যবসায়ীরা আজ তাদের স্ত্রী এবং বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে যাবে তাদের ব্যবসা রেখে। আনন্দ ও উৎসবের জন্য তারা ভাববে না গরীব মানুষদের কথা; যারা উৎসব রেখে পেটের দায়ে আসছে কাজ করতে।
-
আজ দেখা যাবে কিছু মাছুম এতীম বাচ্চাদের। যাদের হাতে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ফুল। অতিরিক্ত মানুষ হওয়ায় আজ রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকবে। তাই গাড়িও দাঁড়িয়ে থাকবে, সেই বাচ্চাগুলো গাড়ির কাছে গিয়ে বলবে,- “আপু/ভাইয়া একটা ফুল নিবেন। দয়া করে একটা ফুল নেন না, নিয়ে বাসায় সাজিয়ে রাখবেন অথবা আপনার প্রিয় মানুষটিকে দিবেন। দেখবেন অনেক খুশি হবে।” এই মাছুম বাচ্চাদের আকুতি মিনতি কেউ-ই দেখবে না বা শুনবে না। আজ তারা ভীষণ ব্যস্ত। তাই এঁদেরকে চোখে লাগছেনা। বাচ্চাগুলো একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যাচ্ছে হাতে ফুল নিয়ে।
-
এরপর আরও কিছু বাচ্চাদের দেখা যাবে, যাদের গায়ে ছেড়া জামা-কাপড়। হাঁটছে আপন মনে। পেটে ক্ষুধার জ্বালা। সহ্য হয়না, তাই ভালো পোষাক পরিহিত মানুষের কাছে হাত পেতে বলবে,- “কিছু পয়সা দিবেন, খুব খুধা লাগছে। খেতে না পেয়ে মারা যাব।” কিন্তু না সে টাকা পাবেনা। কারণ তাকে শুনতে হয়েছে,- “যাহ তো, এখন হাতে টাকা নেই।” কিন্তু তারপরেই দেখা যাচ্ছে যে, বন্ধু-বান্ধবী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে এমন একটা রেস্টুরেন্টে ডুকছে, সে রেস্টুরেন্টে কমপক্ষে ১,০০০ (এক হাজার) টাকা ছাড়া কেউ ডুকতে পারবে না।
আবার সেই অবহেলিত বাচ্চটা শুধু একটু বেশি-ই জেদ করে কিছু পয়সার জন্য, তাহলে তাকে খেতে হচ্ছে কিল-গুতা, নয়তো দামী জুতোর লাথি।
-
আসুন না আমরা সবাই মিলে শপথ করি,
“ আমাদের কাছে প্রতিটি শিশুই হবে সুন্দর ও আদরের ছোট ভাই/বোন। আমাদের সামনে যদি কখনো কোনো শিশু তার ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার চেয়ে বা পয়সা চেয়ে হাত পাতে তাহলে আমরা ফিরিয়ে দিব না। যার যতটুকু সামর্থ্য সে ততটুকুই সাহায্য করব। কখনো ধমক দিব না। তাদের দিকে আমরা একটু মমতার হাত বাড়িয়ে দিব। দেখবেন তার মুখে কী সুন্দর হাসি যে, যে হাসি আপনাকে করে তুলবে আনন্দের চেয়ে অনেক আনন্দিত...”
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮