আজকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে অফিস থেকে বাসায় আসছিলাম। যখন থেকে আসার নাম মুখে নিয়েছি তখন থেকেই বিপত্তি। অফিসে বসের ঘ্যানঘ্যান... কেন এক্সট্রা টাইম থাকি না... কেন আরো বেশি কাজ করি না ইত্যাদি ইত্যাদি...। সন্ধ্যা ৬.৩০ এর দিকে অফিস থেকে বের হয়ে আগারগাও মোড়ে (মহাখালি থেকে মিরপুর রুটে) হালকা জ্যামে থামা মাত্র এক আনসার/পুলিশ গাড়ি আটকাল।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আর বাইকের কাগজ চাইল। গত মাসে বাইক কিনেছি। বাইকের পিছনে রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দেয়ার রশিদ লাগানো আছে আর সাথে আছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের টাকা জমা দেয়ার রশিদ। পুলিশ এগুলা দেখে বাইকসহ পাঠিয়ে দিল আগারগাও ডাম্পিং সেন্টারে। বাইকটা আজ রাতে সেখানে পড়ে আছে। জরিমানা করা হয়েছে ১২০০/- রেকার ফী হিসেবে।
হয়ত কাল বাইক ছাড়া পাবে। শুনিয়ে দিয়েছে দুই আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। অথচ আমার কি করার ছিল... আমি সব জায়গায় টাকা দিয়ে রাখছি যেখানে যা দিতে হয়। এদিকে তারা প্রসেসিং টাইম লাগাবে মাসখানেক আবার পুলিশ দিয়ে বাইক ধরাবে।
পালিত কুত্তার মত ব্যবহার করা হচ্ছে এই সেক্টরের জনবলকে। কোন জুলুমের শক্তি চিরদিন টিকে না।
অনশ্চিত হয়ে পড়ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। একনায়কতন্ত্র দূর করে বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রে উন্নয়ন ধীরগতির হলেও সমাজ শান্তিতে থাকে
১১।০৫।১৬ ইং
সকালে মোহাম্মদপুর ডি।এম।পি অফিসে আজ ১০ টার দিকে গেলাম। তারপর ২৫০ টাকার স্ট্যাম্প এ নাম ঠিকানা লিখে ২৪৫০/- টাকার ফাও মামলা দিল। মামলার টাকা দেয়ার পর আরো ১২০০/- রেকার ফি নিল। তারপর বাইক ছাড়ার পারমিশন দিল। পরে আগারগাও এসে কাগজ দেখিয়ে গেট পাশ মিলল।
সরকার যখন বাটপারি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৪০০০/- জুলুম করে নিয়ে নিচ্ছে তখন এই বিষয় দেখার জন্য দেশে কোন ক্ষমতাশালী মানুষ নাই। দেশ নষ্টাদের দখলে চলে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২০