দেশের আর কোথাও এত অপ্রয়োজনীয় স্পিডব্রেকার আছে কিনা জানা নেই। আমি বাংলাদেশের এ পর্যন্ত ৪৪ টা জেলা শহর ঘুরেছি। কিন্তু আর কোথাও দেখিনি এমন টা।
সিলেটে শহরের বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এর সামনে থেকে মির্জাজাঙ্গাল রোড দিয়ে ভাতালিয়া হয়ে ওসমানি মেডিকেলের সামনে দিয়ে বাগবাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারে মাত্র ৩৩ টা স্পিডব্রেকার। শুধু এ সড়কেই নয়, শহরতলীর যে কোন সড়কেই প্রতি তিন কিমি এ ১০+ স্পিড ব্রেকার দেখা যায়।
কোন স্পিড ব্রেকারেই কোন সাদা কালি বা সাইন বোর্ড নির্দেশনা নেই। যে যেখানে পেরেছে, একটু টাকা ওয়ালা বা পলিটিক্যাল লিডার, তার বাসার সামনেই স্পিড ব্রেকার। কিন্তু কেন ?
মজার বিষয় হল, প্রধানমন্ত্রী/ অর্থমন্ত্রী/ যোগাযোগ মন্ত্রী সিলেট ভ্রমনে আসলে, তার আগে সিলেট বিজিবি ক্যাম্প, সেনানিবাস, এয়ারপোর্ট রোড এবং প্রধান প্রধান আন্ত সড়কের স্পিড ব্রেকার হাওয়া হয়ে যায়। মন্ত্রীরা সিলেট ছাড়া মাত্রই আবার আগের জায়গায় স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়। শুধু মন্ত্রীদের শরীর আছে, আর সাধারন মানুষের বোধায় শরীর নেই। সাধারন মানুষের ব্যাথা হয় না। তাদের আঘাত লাগে না বোধায় ।
সিলেটে যে কোন দুই চাকা / তিন চাকা বা হালকা যান বাহন এ ১ ঘন্টা ঘুরলেই মাজা-কমর ব্যাথা ধরে যায়। তাছাড়া এত এত অপ্রয়োজনীয় স্পিড ব্রেকার শহরের গতি কমিয়ে দিচ্ছে। সারা শহর এখন জ্যাম লেগে থাকে। ট্রাফিক কে সিগনাল দেবার চাইতে ট্রাক থেকে চাঁদ তুলতেই বেশি দেখা যায়।
সিলেট এমন একটা বিভাগীয় শহর, যেখানে কোন ইলেকট্রিক ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট নেই। কয়েকটা ডাস্টবিন ছাড়া সারা শহর ময়লায় ভরা। কিছু আবাসিক এলাকায় ময়লার ভ্যান আছে। এছাড়া মানুষ বাধ্য হয়ে ড্রেনে, খালে-নদীতে ব্যাগ ভর্তি ময়লা ফেলে। উপায় নেই নগরবাসীর।
ধন্যবাদ জানাই রাজশাহী, বরিশাল আর নোয়াখালির পৌর চেয়ারম্যান/মেয়র কে। আপনাদের শহর দেখে অন্যদের শেখা উচিত।
বিদ্র: কাউকে হেয় করার জন্যে এই লেখা নয়। এটা নাগরিক আকাঙ্খা থেকে লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫