somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে নাস্তিক ও অন্নান্যধর্মের অপপ্রচার চালনাকারীদের দাঁতভাংগা জবাব দিতে চাইলে পড়ুন (শেষ পর্ব)

১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এবারে দেখা যাক ইতিহাসের প্রকৃত সব ঘটনাগুলো আসলে কি ছিল আর বিকৃত হয়ে তা কি হয়েছেঃ-যেমন বিভিন্ন ধর্ম ও ইতিহাস পর্যালোচনা হতে দেখা যায় পৃথিবীর বুকে মানুষের আবির্ভাব হওয়ার পর হতে কেবলমাত্র ১টি ধর্মই ছিল এবং তখন মানুষও কম ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে ভূলোকে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং মানুষের পাপ করার প্রবনতাও বাড়তে থাকে, অবশেষে মানুষ এত নিচু পর্যায়ে চলে যায় যে ভগবানের উপাসনার চেয়ে মৃত মানুষের আত্মার মাধ্যমে উপাসনার গুরুত্ব বেশী দিতে থাকে আর পাপ কাজ এত বেশী ছিল যে মনুষ্য জাতির আবির্ভাবের পূর্বে আর এত বেশী পাপ কখনও হত না, কেউ যদি মানুষদের এসব পাপকাজ করতে বাধা দিত তবে সবাই মিলে তাকে ভীষন নির্যাতন করত। তখন ভগবান প্রাচ্যের দিকে নুহ নামে এক অবতার পাঠান, সবাইকে সতর্ক করার পর যখন তিনিও ব্যার্থ হলেন তখন ঈশ্বর সীদ্ধান্ত নিলেন পাপিষ্ঠদের সবাইকে বধ করে অল্প যে কয়েকজন পূণ্যবান থাকবে তাদেরকে দিয়ে সত্যযুগের সূচনা করবেন। এজন্য ঈশ্বর পৃথিবীতে প্রলয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং নূহকে তাঁর দূত মারফত বললেন একটি বিশাল জাহাজ বানিয়ে তার মধ্যে পুন্যবান লোকদের এবং সমস্ত পশুপাখিদের ১টি করে জোড়া ও বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ তুলতে, আর ভগবানের সেই দূত সম্ভবত নুহের সামনে ১মে একটি মাছ রুপে আবির্ভাব হয়ে পরে অর্ধেক মানুষ রুপ ধারন করে এসব বলেন এমনকি মহাপ্লাবন চলাকালে সেই দূত আবারও মাছরুপে হয়ত জাহাজকে চলাচলে সাহায্য করার পাশাপাশি ইশ্বরের বিভিন্ন উপদেশও প্রদান করেন। কিন্তু বর্তমান হিন্দুরা ঈশ্বরের সেই দুতকেই স্বয়ং ভগবান বানিয়ে দিলেন যেটা কিনা হিন্দুধর্মগ্রন্থের মৎস্যপুরানে বিকৃতভাবে উল্লেখ রয়েছে যে সে ছিল স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু বা তার মৎস্যাবতার। বিঃদ্রঃ "বর্তমান হিন্দুরা অবতারের অর্থ বিকৃত করে ফেলেছে যেমন- অবতার এর অর্থ উপর হতে অবতীর্ন হয় যে তাকে বুঝায় অর্থাৎ এর সঠিক অর্থ হবে ভগবান কর্তৃক কারও নিচে বা ভূলোকে বিশেষ উদ্দেশ্যে জনম দেয়াকে বুঝায় কিন্তু হিন্দুরা বলে স্বয়ং ভগবানই অন্য রুপে নিচে নেমে এসেছে। তাদের এমন ভুল করার কারন ভ্রান্ত অদ্বৈত মতবাদ, যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে"। ইহুদি খ্রীস্টান ইসলাম ধর্মে নাম উল্লেখ আছে নুহ বা নোয়াহ যার অর্থ মানবের পাপে শংকিত ক্রন্দনকারী,যেটি হতে পারে গুনবাচক বা আসল নাম আর হিন্দুমৎস্যপুরানে উল্লেখ আছে সত্যব্রত এটিও হতে পারে তার গুনবাচক নাম কারন তিনিই সত্যযুগের ১ম অবতার। সুতারাং নামে এবং মূল ঘটনায় তেমন বিকৃতি আজও সম্ভব হয়নি ঈশ্বরের ইচ্ছায় যাতে সৎ মানুষগুলো বুঝতে পারে জগতের ভগবান ১জন এবং ধর্মও পূর্ব হতে ১টাই ছিল যেমন- সেই প্রলয়ের পর রাজা সত্যব্রতই পরিচিত হন বৈভ্যত্বসৎ মনু বা নুহ নামে। একই কাহিনী ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সুমেরিও, ব্যবিলনীও, গ্রীক, মায়ান, য়রুবা(আফ্রিকা)এর প্রাচীন লোকসাহিত্যে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে বেশীরভাগ ধর্মানুসারে তিনিই নুহ নবী বা সত্য যুগে ঈশ্বরের অবতার সত্যব্রত। হিন্দুধর্মগ্রন্থসহ সব ধর্মগ্রন্থ এমনকি ইতিহাসগ্রন্থানুযায়ি মহাপ্লাবনের পরে জল শুকিয়ে গেলে জাহাজ হতে নুহ সহ তার তিন স্ত্রীপুত্র ও অন্যান্ন মানুষ ও প্রানীসকল নামল আর তারা নিজেদের পছন্দনুযায়ি পৃথিবীর বিভিন্ন দিকে ছরিয়ে পরল এবং ভূমিতে চাষবাস এবং বংশবিস্তার করতে থাকল। পৃথিবীর ৩টি প্রান্তে নূহের ৩ছেলে নেতৃত্ব দিতে থাকল তার ৩ছেলের ১ছেলের নাম শাম,তাঁর বংশধররা সেমেটিক জাতি(আরব, ইহুদী)২য় ছেলে হামের বংশধররা হ্যামিটিক(মিশরীয়, বার্বার)৩য় ছেলে ইয়াফাসের বংশধররা হল ইন্দো-ইউরোপীয়(ইউরোপীয়,ইরানী,ভারতবর্ষীয়) আর এই ইয়াফাসের বংশকেই ইয়ারিয়া বা আর্য জাতি বলা হত, কিছু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (Aryan)জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দে, কিন্তু আর্য জাতির বাস নুহের মহাপ্লাবনের পর হতেই কেননা নুহ বা সত্যব্রতই "আর্যপিতা"মনু নামে পরিচিত ছিল।
সেই হিসাবে ইহুদী, মিশরী ও আরবরা আর্যদের বংশগতভাবে পরস্পর ভাই কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সত্য না বুঝায় তারাই আজ পরস্পরের বড়ধরনের শত্রু, ইহুদিরা আরবদের সতেলা ভাইও স্বিকার করে না বরং বলে তাদের আদি পিতা ইব্রাহিমের দাসীর পুত্র, আর হিন্দুদের আর্য গোষ্ঠী তো এসব তথ্য জানেই না। যাইহোক প্রলয়ের পর অনেক যুগ মানুষ শান্তিতেই ভূলোকে বাস করলেও মানুষের মাঝে আবার পাপ কাজের শুরু হল যদিও তা পূর্বের চেয়ে কম ছিল কিন্তু এবার মনুষ্য জাতির উপর শুরু হল জ্বীন জাতির উপদ্রপ যারা হিন্দুদের কাছে অসুর, নাগ, কিন্নর, বানর,ভূত, ডাইনী, পরী নামে পরিচিত আর এদের উপদ্রপ ভারতবর্ষেই বেশী হলেও প্রাচ্যের মিশরের দিকেও শুরু হয়। তখনকার যুগকে ক্রেতাযুগ বলা হত সেসময় ভগবান জ্বীনদের সায়েস্তা করতে এবং মনুষ্যকে সুপথ প্রদর্শন করতে ভারতবর্ষে রামকে এবং মিশরের দিকে কিং সলোমন নামে অবতারদের জন্ম দেন, এই দুজনেরই কাজকর্ম এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলী একই রকমের যেমন- ভারতবর্ষে ক্ষত্রীয় রাজা দশোরথের ঔরষে রামের জন্ম হয়, আর মিশরে যোদ্ধা রাজা দাউদের ঔরষে সলোমনের জন্ম হয়, দাউদকে ঈশ্বর এমন শক্তি দিয়েছিলেন যে তার হাত লোহার উপর রাখলে লোহা গলে বল্লম হয়ে যেত যেটা দিয়ে তারা যুদ্ধ করত, তার ছেলে সলোমন যুবক বয়সেই ন্যায় বিচারের মূর্ত প্রতিক ছিল আর রামও এমন ন্যায় বিচারের প্রতিক বহন করত যে পিতার বিচারকে প্রাধান্য দিতে রাজ্যের মায়া ত্যাগ করে স্ত্রী সহ বনে গিয়ে বাস করে, আর সলোমন এক নারীকে বিয়ে করে যার বাবা জ্বীনদের নিয়ন্ত্রন করত ১মে সে রাজকন্যা ছিল তার পিতার মৃত্যুর পরে সে ঐ রাজ্যের রানী হয় তখন সলোমন তার সিংহাসন অলৌকিকভাবে জয় করে তাকে বিয়ে করে। আর রামও মিথিলা রাজ্যের রাজা জনকের কন্যা সীতাকে জয় করেছিলেন শীবের বিশাল হর ধনুককে অলৌকিকভাবে হাতে তুলে ভেংগে । ধনুক ভাংগার ২য় কারন হয়ত ছিল মিথিলায় ভগবানকে বাদ দিয়ে শীবের পুজা শুরু হয়ে গিয়েছিল কারন শীব জ্বীনদের মধ্যে সাহসী বীর ছিল, ধনুক ভেংগে রাম, শীবের শক্তির চেয়ে ভগবানের শক্তিই বড় প্রমান করেন এবং বিজয়ী হিসাবে সীতাকে বিয়ে করেন। এছারাও রাম ধার্মিক লোকদের বাঁচাতে দুষ্ট জ্বীন তথা রাক্ষসদের বধ করেন। অন্যদিকে কিং সলোমনও তার এলাকার দুষ্ট জ্বীনদের বধ করেন এমনকি অনেক জ্বিনকে কলশীতে বন্দি করে নদীর জলে নিক্ষেপ করেন। তার রাজ্যের অনেক ভাল জ্বীন তার আনুগত্য করত ও সাহায্যও করত যথা এসব জ্বীনরাই তার আদেশে জেরুজালেমে একটি সুন্দর উপাসনালয় তৈরী করে দেন যেটা আজও বিদ্যমান। ঠিক একইভাবে রামকেও রাবনের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য জ্বীনদের মধ্যে বানর রুপধারি জাত তাকে সাহায্য করে তন্মধ্যে ধার্মিক বীর হনুমান এর অবদান ছিল বেশ উল্লেখযোগ্য। আবার কিং সলোমন আকাশপথে তার সিংহাসন উরিয়ে চলাচল করতেন আবার রামও রাবনকে বধ করলে তার ভাই বিভীসন রাবনের বাহন উরন্ত পুস্পক উপহার দেন যাতে করে রাম সিংহাসনে বসে লক্ষন ও সীতাকে নিয়ে আকাশ পথে নিজ রাজ্যে ফিরেন। অথচ হিন্দু ধর্মে রামকে স্বয়ং ভগমানের মনুষ্য রুপ বলা হয়েছে এবং যে শীবের দ্বারা শক্তিশালী হয়ে রাবন সীতাকে হরন করেছিল হনুমানকে সেই শীবেরই অবতার বানিয়ে দেয়া হয়েছে অথচ রাম যদি শীবকে ভগবানই মানবেন তবে শীবের ধনুকের পুজা না করে ভেঙ্গে ফেললেন কেন? এসব গাজাখুরি গল্প হিন্দু ধর্মগ্রন্থে অনেক পরে স্থান পেয়েছে শীব পুজারীদের দ্বারা যাদেরকে শৈবিক বলা হয় তারা আসলে ক্রেতার যুগে রামের বিরোধী ছিল পরে তারা বৈষ্ণবদের সংগে মিশে গিয়ে ধর্ম বিকৃত করে তাদের পুজারী শীবকে ব্রম্মাবিষ্ণুর সমকক্ষ প্রচার করেছে অথচ কিছু তথ্য এমন পাওয়া যায় যে শীব স্বয়ং নিজেও বিষ্ণুর আরাধনা করতেন সুতারাং ভগবানের সমকক্ষ তো দুরের কথা।
যাইহোক রাম এবং সলোমন এই ২অবতারের দ্বারা ধরনীতে শান্তি শৃংখলা ফিরে আসার পর বেশকিছুদিন মানুষ শান্তিতে বসবাস করছিল, কিছুকাল পরে মানুষ পূর্ববর্তী অবতারদের অনুকরনের সীমা ছারিয়ে জ্বীনজাতিদের নিয়ন্ত্রন করার বিদ্যা বা জাদুবিদ্যার প্রতি আসক্ত হয়ে পরে এবং আবারও পাপিষ্টদের অত্যাচারের সীমা ছারিয়ে যায় যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকে ধার্মিক ও সাধু ব্যাক্তিরা হতে থাকে নির্জাতিত। তখনকার যুগকে বলা হয় দ্বাপরযুগ সেই যুগে আবারও ঈশ্বর পূর্বের মত পৃথিবীর ২ প্রান্তে পর পর ২জন অবতারের জন্ম দেন এজন্যে ভারতবর্ষে ১মে কৃষ্ণকে এবং একই যুগে এর কিছুদিন পরে মিশরের দিকে মোছেসকে ভগবানের বিশেষ বার্তাবাহক ও পাপিষ্ঠদের বিনাশকারী হিসাবে জন্ম দেন। যেমন-ভারতবর্ষে মথুরায় তখন মহাদেব শীবের পুজারী অত্যাচারী রাজা কংসের রাজত্ব চলছিল সে ভবিষ্যতবানী শুনতে পায় যে অচিরিই তাকে শেষ করার জন্য একজনের জন্ম হবে এমনকি সে তারই বোন দ্বেবগীর গর্ভে আসবে বলেও সে জানতে পারে তাই সে তার বোনকে বন্দী করে রাখে আর দ্বেবগীর গর্ভের সমস্ত সন্তানদের হত্যা করতে থাকে কিন্তু ৭ম ও ৮ম গর্ভ সরাসরি নষ্ট না করতে পারায় সন্দেহে পতিত হয় যে কৃষ্ণ বোধ হয় জন্ম নিয়ে ফেলেছে তাই সে তার সেনাবাহিনীদের নির্দেশ দেয় তার রাজ্যের সমস্ত ছেলে শিশুদের হত্যা করতে কিন্তু কৃষ্ণ, ভগবান এর কৃপায় যসোধা নামে এক পালিত মায়ের কাছে সুন্দরভাবে বড় হতে থাকে। ঠিক একই ভাবে মিশরে তখন সূর্যদেবতা রা এর পুজারী অত্যাচারী ও ধর্মের শত্রু ফারাওদের রাজত্ব চলছিল সে ভবিষ্যতবানী শুনতে পায় যে অচিরিই তাকে শেষ করার জন্য একজনের জন্ম হবে বনী ইসরাইল বংশে, একথা শুনে ফেরাউন নির্দেশ দেয় তার রাজ্যের সমস্ত ছেলে শিশুদের হত্যা করতে কিন্তু মোছেসও ভগবান এর কৃপায় আছিয়া নামে এক পালিত মায়ের কাছে সুন্দরভাবে বড় হতে থাকে যে কিনা ছিল ফেরাউনেরই ধার্মিক স্ত্রী, ঈশ্বর শত্রুর ঘরেই মোছেসকে লালন পালন করার ব্যাবস্থা করেন। যাইহোক হিন্দু ইতিহাস কিন্তু বলে যে পূর্বে হিন্দুরা এক ঈশ্বরেরই পুজা করত এবং তখনকার যুগে বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা সব উপাদানই আছে তাই তখনকার সভ্যতাকে বলা হয় বৈদিক সভ্যতা। এই বৈদিক সভ্যতায় অর্থাৎ ঐ আমলে কোন মূর্তি পুজা করা হত না এবং কোন মূর্তি বা এরকম মন্দিরও ছিল না। পরে মানূষ ভ্রান্ত হয়ে ভগবানের অবতারদের ঈশ্বরেরই আরেকটি রুপ মনে করে পুজা করা শুরু করে এমনকি ভগবানের দূত ও সেনাবাহিনী/ফেরেশতা,জ্বীন,দেবতাদেরও পুজা শুরু হয়ে যায়, তবু সংখ্যায় কম ছিল
যেমন-সেই সময় হিন্দুদের প্রধান দেবতা ছিল ইন্দ্র, বরুন, অগ্নি এবং সোম। কৃষ্ণ যখন একটু বড় হল তখন দেখল তাদের গ্রামের সবাই বৃষ্টির জন্য ইন্দ্রের পুজোর আয়োজন করছে তখন সবাইকে সে বুঝাল যে ইন্দ্রের কোন ক্ষমতা নেই সকল ক্ষমতার মালিক একমাত্র ভগবান, তার কথায় সবাই একমত হয়ে ইন্দ্রের পুজা বাদ দিল তারপর দেখল পুজো না করেও বৃষ্টি হচ্ছে এতে সবাই খুশি হলেও অতিবৃষ্টি ও তার সাথে ঝড়ের কারনে সবাই বিপদগ্রস্ত ও আতংকিত হয়ে ভাবল পুজা না করায় ইন্দ্রের রাগের জন্যই ঝর বৃষ্টি বজ্রপাত হচ্ছে, তখন কৃষ্ণ তার ১হাতের আঙ্গুলে ভগবান এর কৃপায় বিশাল পর্বত তুলে ছাতা হিসাবে ব্যাবহার করল এবং সবাই তার নিচে আশ্রয় নিল ঝড় না থামা পর্যন্ত আর সকলে স্বিকার করতে বাধ্য হল ভগবানের হাতেই সব ক্ষমতা । কিন্তু পরবর্তিতে মূর্তিপুজারীরা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা ও মহাভারতে যে যগাখিচুরি ঢুকিয়েছে তা সত্যিই হাস্যকর যেমনঃ কৃষ্ণ নাকি বলেছেন তোমরা গবরধন পর্বতের পুজো কর, পরে নাকি দেখা গেছে গবরধন পর্বতই কৃষ্ণ এবং কৃষ্ণই নাকি স্বয়ং ভগবান ইত্যাদি। অথচ এগুলো বাস্তবে তো ঘটেইনি বরং আবেগপ্রবন মানুষের অবাস্তব কল্পনা ছারা আর কিছু না। ঠিক একই ভাবে মিশরে মোছেসও ফেরাউন ও তার জাতিকে একেশ্বরের পূজো করতে বলে কিন্তু ফেরাউন তা অস্বিকার করে এবং মোছেস বা মুসাকে জাদুকরদের দ্বারা সাপ বানিয়ে খোলা ময়দানে আক্রমন করে তখন মুসা ঈশ্বরের আদেশে তার হাতের লাঠি মাটিতে ছুরে মারলে সংগে সংগেই ১বিশাল অজগর সাপে পরিনত হয় এবং জাদুকরদের তৈরী সমস্ত সাপই খেয়ে ফেলে সবাইকে ধাওয়া করতে থাকে মুসা তখন অজগরকে ধরলে আবার পূর্বের মতই লাঠি হয়ে যায়। মুসার এই অলৌকিক কান্ড দেখে সবাই বুঝে ফেলে এটা জাদু হতে পারে না, জাদুর তৈরী সমস্ত জিনিসকে ভক্ষনকারী নিশ্চয় ভগবানেরই খেলা ছারা আর কিছু নয় তাই ফেরাউন বাদে সবাই একেশ্বরবাদী হয়ে গেল। ভারতবর্ষেও তখন জাদুর প্রচলন ছিল কিন্তু তার চেয়ে অনেক বড় বড় চমৎকার কৃষ্ণ দেখিয়েছিলেন এবং তাকে সাহায্য করত তারই আপন আরেক ভাই বলরাম ঠিক একইভাবে মুসাকেও সাহায্য করত তারই আপন ভাই হারুন। কৃষ্ণ শক্তিশালী রাজা কংসকে হত্যা করে মুসাও প্রতাপশালী ফেরাউনকে বধ করে পানিতে ডুবিয়ে যার লাশ আজও আছে মিশরের পিরামিডে। আর ঐদিকে ভারতবর্ষে কৃষ্ণ ধার্মিক বংশ পান্ডব পুত্রদের বাঁচাতে কুরুক্ষেত্র নামক যুদ্ধে তাদের রক্ষা করেন ঠিক তেমনি ধার্মিক বনী ইসরাইল বংশের লোকদের ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা করতে মুসা ফেরাউনের বিশাল বাহিনীকে সুমুদ্রের জলে ডুবিয়ে মারেন। শুধু তাই না মুসা ছাগল মেষ চরাতেন কৃষ্ণও গাভী চরাতেন, তারপর কৃষ্ণকে মারার সব চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে যখন শীবের ভক্ত কংস শীব ধনুকের যজ্ঞের আয়োজন করল তখন কৃষ্ণ সেই শীব ধনুককে রামের মতই আবারও ভেঙ্গে প্রমান করে কৃষ্ণ শীব পুজার বিরোধী ছিল এবং ১ভগবানের পুজা প্রতিষ্ঠিত করে ছিল তাইতো কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনকে শান্তনা দিয়ে বলেছিল –"জগতে যখনি অধর্মের অভ্যুত্থানে এরকম বিপর্যয় নেমে আসবে তখনই এসব দুস্কৃতিকে বিনাশ করতে, সৎ ব্যাক্তিদের পরিত্রান দিতে এবং সত্য ধর্মকে পুনঃস্থাপনের জন্য আমার ন্যায় মহাপুরুষদের আবির্ভাব ঘটতেই থাকবে যুগে যুগে"। আর ভবিষ্যতে সত্যিই তাই হয়েছে কিন্তু তৎকালীন বৈষ্ণবদের লক্ষী সম্প্রদায় বাদে সব হিন্দুরাই মূর্খের মত ভাবে ভবিষ্যতে স্বয়ং কৃষ্ণই আসবে এমনকি অতীতে যেসব অবতার এসেছিল তারাও নাকি কৃষ্ণই ছিল, আর হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হবার কথা হল কৃষ্ণই নাকি স্বয়ং ভগবান। কৃষ্ণ জন্মগ্রহন করে প্রায় ৩ হাজার খ্রিস্টপুর্বে মুসাও কাছাকাছি সময়ে, যাইহোক এরপর ভারতবর্ষের বেশীরভাগ হিন্দুরাই আবেগের বসে কৃষ্ণকে ভগবান মেনে পুজা করতে থাকে এবং কৃষ্ণ এর জন্মভুমিকে পুজার কেন্দ্র বানিয়ে ফেলে তাই ভগবান রাগান্বিত হয়ে ঐ এলাকা সূমদ্রের জলে ডুবিয়ে দেন। কিন্তু মুসার মৃত্যুর পরই বনী ইসরাইল জাতি বা ইহুদীরা মুসাকেই ঈশ্বর ভেবে পুজা করেনি কারন তারা ভারতের লোকদের মত এতটা আবেগপ্রবন নয় তবু তারা মুসার অনুপস্থিতিতে অনেকেই বাছুর পুজা শুরু করেছিল ফলে ঈশ্বর রাগান্বিত হয়ে বাছুর পুজারিদের উপর গজব বর্ষন করেন। এরপর কিছুকাল ইহুদিরা ভালই ছিল কিন্তু আরও কিছুদিন পর তারা ধর্মকে বিকৃত করতে থাকে তখন ঈশ্বর আবারও ইহুদিদের সুপথে আনতে বিভিন্ন অবতার পাঠাতে থাকেন কিন্তু তাদের বেশিরভাগই মুসার পর আর কাউকেই মেনে নিতে পারছিল না, আর এদিকে হিন্দুরা বিভিন্ন দেবদেবী এবং বংশীবাদক রুপে কৃষ্ণ এর সাথে রাধারও মুর্তি বানিয়ে পুজো শুরু করে আর ইহুদীদের মতই বেশীরভাগ হিন্দুরাও কৃষ্ণ এর পরে আর কাউকেই অবতার স্বিকার করছিল না যদিও কৃষ্ণ এর ভবিষ্যতবানী ছিল যে যুগে যুগে অবতারদের আবির্ভাব হবে।
তাই হিন্দুদের অধর্মের পথ হতে রক্ষার্ত্রে ভগবান Rishabha বা Adinatha নামের অবতারকে পাঠালে কিছু হিন্দু তাকে মানল আর অনেকেই মানল না এরপরও ঈশ্বর পর্যায়ক্রমে সম্ভবত Rishabha সহ তীর্থঙ্কর নামে চব্বিশ জন অবতার পাঠান। এঁদের মধ্যে ত্রাবিংশ তীর্থঙ্কর ছিলেন পার্শ্বনাথ(খ্রিষ্টপূর্ব নবম শতাব্দী) ও সর্বশেষ তীর্থঙ্কর ছিলেন মহাবীর(খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী) যাদেরকে বর্তমানে জৈনধর্মের প্রবক্তা বলা হয়। হিন্দুদের ভগবানকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারনে এবং তাঁকে নিয়ে আযগুবি সব গল্পের অবতারনা করার কারনে বিশেষ করে ঈশ্বরের প্রতিমুর্তি বানানোর জন্যে এসব অবতারগন ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে বেশী না ভেবে তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে ভাবতে বলেন এবং নিজস্ব দায়িত্ব কর্ম সম্পর্কে সজাগ থাকতে বলেন আর অন্তরের শত্রুকে জয় করে সকল জীবের প্রতি শান্তি ও অহিংসার পথ গ্রহণ করতে বলেন। আর হিন্দুদের ভ্রান্ত মতবাদ অনুযায়ি এই বিশ্ব পরিচালনার জন্য হাজারও দেবদেবী নিয়োজিত তারা ছারা ভগবান বা পরমাত্মাও অসহায় যার ফলে হিন্দুদের মধ্যে শুরু হয় গনহারে দেবতা,জ্বিন,ফেরেশতা বা ঈশ্বরের দূতদের পুজা আর্চনা। তাই এসব অবতারগন মানূষদেরকে বুঝান বিশ্ব পরিচালনার জন্য ভগবান কিছু নিয়ম তৈরী করে দিয়ছেন আর সেই নিয়মানুযায়িই এই বিশ্ব সংসার চলছে আর সকল ক্ষমতার ১মাত্র মালিক শুধু ভগবানই আর ফেরেশতাদের কোন ক্ষমতা নেই তারা শুধু ঈশ্বরের আদেশ পালন করে মাত্র। কিন্তু বর্তমানের জৈনরা সেই ধর্মকে এতই বিকৃত করে ফেলেছে যে এতে ঈশ্বরের কোন কথাই আজ পাওয়া যায় না সঠিক পথ তো দূরের কথা। যাইহোক এরপর ঈশ্বর ভারতবর্ষে ১ মহাপুরুষকে অবতার হিসাবে পাঠান যার নাম গৌতম বুদ্ধ, বুদ্ধের শিক্ষাগুলো অনেকটা জৈনদের শিক্ষার অনুরুপ হলেও বর্তমানে বিকৃত বৌদ্ধ ধর্মেও কিন্তু ঈশ্বরের কিছু ধারনা এবং স্বর্গ নরকেরও কথা পাওয়া যায়, বুদ্ধের জন্ম গুপ্তযুগে অর্থাৎ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে , এর কিছুকাল পরে ইহুদীদের মধ্যেও ভগবান বুদ্ধের মতই আরেক মহাপুরুষ যিশু খ্রিষ্টকে অবতাররুপে পাঠান, ইতিহাসের এই ২জন মহাপুরুষের ধর্মে এত মিল যে সবাই অবাক হয়। এর কারন ধরনীতে তখন একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছিল বলে ঈশ্বর একই ধরনের শিক্ষা দিয়ে পৃথিবীর দুপ্রান্তে দুজন মহাপুরুষের আবির্ভাব ঘটান, যেমন- প্রায় ৩৫ বছর বয়সে তপস্যারত অবস্থায় বুদ্ধের শয়তান কর্তৃক পরীক্ষা হয় এবং বুদ্ধ তাতে পাশ করে এসময় বুদ্ধ ৪০দিন রোজাও রেখেছিল, ঠিক তেমনি যিশু খ্রিষ্টকেও শয়তান দ্বারা পরীক্ষা করা হয় ইবাদতরত অবস্থায় তখন যিশুরও বয়স ছিল ৩৫বছর এবং তিনিও সে সময় রোজা রেখেছিলেন এবং শয়তানের ধোকায় পাশ করেন। তাছারা বাইবেলে যিশুকে নুর বা জ্যোতি বলা হয়েছে তেমনী গৌতমকেও বুদ্ধ আখ্যা দেয়া হয়েছে সংস্কৃত ভাষায় যার অর্থ জ্যোতি , যিশুর ১টি উপাধী হল শিক্ষক তেমনী গৌতম বুদ্ধের ১টি উপাধী হল শাস্তা বা শিক্ষক। ধর্মীয় শিক্ষায় মিলসহ এরকম অনেক মিলই রয়েছে গুপ্তযুগে প্রেরিত এই ২অবতার এর মধ্যে। শুধু তাই না বুদ্ধ এসেছিলেন হিন্দুদের সুপথে আনতে কিন্তু তারা তাকে মানল না তবে পরবর্তীতে অন্য জাতি তিব্বত হতে শুরু করে চীন-জাপানের লোকেরা গনহারে তার ধর্ম গ্রহন করে, কিন্তু এধর্ম ছিল হিন্দু জাতির জন্যে,তাদের জন্য ছিল না। ঠিক তেমনি যিশু এসেছিলেন ইহুদীদের সুপথে আনতে কিন্তু তারা তাকে শুধু প্রত্যাখ্যানই করল না বরং হত্যা করারও চেষ্টা করে, পরবর্তীতে পলের মাধ্যমে যিশুর ধর্ম অন্যজাতি ইউরোপিয়ানরা গ্রহন করে গনহারে, কিন্তু যিশুকে ঈশ্বর তাদের জন্য পাঠাননি পাঠিয়েছিলেন শুধুই ইহুদী জাতির জন্যে। আবার গৌতম বুদ্ধ নিজেকে ভগবান বলেনি এবং নিজের মুর্তিও বানাতে বলেনি কিন্তু বর্তমানে বৌদ্ধরা ভুলবশত ঈশ্বর ভেবে মুর্তি বানিয়ে তার পুজা করে এবং এরাই আজ পৃথিবীর বুকে বৃহত্তম ধর্মীয় জাতি একই ভাবে বাইবেলে যিশু নিজের মুখে নিজেকে ১বারও ঈশ্বর দাবী করেনি কিন্তু খ্রিস্টানরা তাকে ঈশ্বর ভেবে পুজা করছে আর এরাও পৃথিবীর বুকে বৃহত্তম ধর্মীয় জাতি। এখন উপরোক্ত ইতিহাসগুলো নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, জগতে যখনি এমন অশান্তি ও অধর্মের সৃষ্ট হয়েছে যা দূর করা সাধারন মানুষের পক্ষে অসম্ভব তখনি ঈশ্বর যুগে যুগে পরিস্থিতিনুযায়ি বিভিন্ন ধরনের অবতার পাঠিয়েছেন কিছু সৎ মানুষ তাদের চিনতে পেরে সাদরে গ্রহন করে সুপথে ফিরে আসলেও বেশীরভাগ মানুষই তাদের বিরোধীতা করে এসেছে কারন মুর্খ মানুষের চিরচারিত ১টি স্বভাব বাপ দাদার অন্ধ অনুসরন, নতুন সবকিছুরই বিরোধীতা করা, পুরাতনকে আঁকরে পরে থাকা একেই বলা হয় গোঁরামী। আর তাই বিরোধীদের মধ্যে বেশিরভাগই পূর্বে ঈশ্বর প্রেরীত অবতারদের অন্ধ ও বিকৃত অনুসরন করত। কিন্তু পরিস্থিতিনুযায়ি পুর্ববর্তী অবতারদের কর্মকান্ড ও নির্দেশনা পরবর্তি পরিস্থিতিতেও তা মানতে চাইলে, তা বিপথে নিয়ে যেতে বাধ্য, যেমন- কৃষ্ণ ও মুসার যুগে যুদ্ধ করার পরিস্থিতি তাই তখন যুদ্ধ করাই পুন্যের কাজ ছিল, কিন্তু বুদ্ধ ও যিশুর যুগে যুদ্ধ পাপ তো বটেই বরং কেউ এক গালে চর দিলে অন্য গাল এগিয়ে দেয়াই পুন্যের কাজ, তাই বুদ্ধের আবির্ভাবের পর কৃষ্ণ ভক্তরা কৃষ্ণ এর বিধান মানলে তারা রসাতলে যেতে বাধ্য, তারমানে এই না যে কৃষ্ণবিরোধি হবে বরং কৃষ্ণকে সম্মান করবে তার কাহিনীও জানবে কিন্তু বিধান মানবে তার সময়কার অবতারের। অর্থাৎ সত্যযুগে সত্যব্রতকে, ক্রেতারযুগে রামকে, দ্বাপরযুগে কৃষ্ণকে না মেনে কেউ সুপথ পেতে পারত না ঠিক তেমনি গুপ্তযুগে বুদ্ধকে না মেনে শুধুই কৃষ্ণ ভক্ত হলে ভগবানের নিকট সে ঠিকই বিপথগামী বলে পরিগনিত হবে আর একই ভাবে কলির যুগে কল্কি অবতারকে না মেনে কেউ যদি শুধুই বুদ্ধের ভক্ত হয় তবে সেও বিপথগামী, আর কল্কি যেহেতু পৃথিবীর অন্তিমকালে আসবেন তাই সকলের জন্যেই তিনি আসবেন এবং হিন্দুগ্রন্থানুযায়ি প্রধান দশাবতারের শেষাবতার হল এই কল্কি তাই পৃথিবীর সকল মানুষকেই কল্কিকে মানা অপরিহার্য। তাই কলির যুগে কল্কিকে না মানলে বৌদ্ধ, খ্রিস্টান,হিন্দু,ইহুদী ইত্যাদি যত ধর্মের লোকই থাকুক না কেন সবাই ভগবানের নিকট হবে চরম অপরাধী আর তারা সত্যিকারের শান্তিতে থাকতে পারবে না।
আর মজার ব্যাপার হল এক অবতার এসে তার পরবর্তী অবতার কে এবং কবে আসবে তাও বলে যেতেন মানুষের চেনার সুবিধার্তে যেমন- কৃষ্ণ বলেছেন যুগে যুগে অবতারদের আসার কথা আবার হিন্দুগ্রন্থে জৈন ধর্মের জনক Rishabha বা Adinatha এর কথাও পুর্ব হতে উল্লেখ ছিল ঠিক তেমনি মুসা বলেছিলেন যিশুর কথা যে মাসিহা আসবে একইভাবে বুদ্ধও বলেছেন যিশু সম্পর্কে যে, বাগওয়া মুতিয়া আসবে বা শ্বেতবর্নের মাসিহা আসবে আমার পরে। আর শেষ জামানায় বা কলির যুগে কল্কির আগমনের কথা সব অবতারই বলে গেছেন এবং সব ধর্মগ্রন্থেই স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে সুতারাং কল্কিকে মানার নিশ্চয় অনেক গুরুত্ব আছে, কল্কি সম্পর্কে হিন্দুধর্মগ্রন্থে বিস্তারিত বলা হয়েছে এবং তার আবির্ভাবের পর তাকে মানার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বও দেয়া হয়েছে, কিন্তু অতিব আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে সব হিন্দুই এটা জানে যে আজ কতকাল হয়ে গেল কলি যুগের শুরু হয়েছে এবং এখন কলি যুগের অন্তিম পর্ব চলে প্রায়, তবুও আজও কল্কিকে খুজে পেল না বোকা হিন্দুরা ! আর পাবেই বা কিভাবে? চোখে চশমা পরেই কেউ যদি তার চশমা সারাদিন খুজে বেরায় তবে তার চশমা পাবার সম্ভবনা কতটুকু? অর্থাৎ আমরা আজও কল্কির অপেক্ষায় দিন গুনছি অথচ কল্কি অনেক পূর্বেই এসে গেছে, আর অপ্রিয় হলেও চরম সত্য এটি যে, শেষ নবী মুহাম্মদ ছল্লুল্লোহি আলাইহিস অছছালামই সেই কল্কি অবতার যিনি হিন্দুধর্মগ্রন্থ অনুযায়ি ঠিক কলির যুগেই এসেছিলেন। কিন্তু সংকীর্ন দৃষ্টিভংগীর দরুন অনেক হিন্দু তাকে না চিনলেও হাজার হাজার হিন্দু শুধুমাত্র কল্কির অনুসারিদের দেখেই মুসলমান হয়েছিল আজও হচ্ছে। কল্কি অবতারই যে মুহাম্মদ সঃ এটা কোন কল্প কাহিনী নয় হিন্দুদের সর্বচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদসহ পুরান ও অন্যান্ন গ্রন্থে যে ভবিষ্যতবানী আছে তা দেখলে যে কেউই স্বিকার করতে বাধ্য যে তিনিই কল্কি অবতার। কিন্তু আমার ধারনা যখন এসব তথ্য পাবার পর অনেক সচেতন হিন্দু যখন মুসলমান হওয়া শুরু করবে তখন আর্য সমাজিরা নিশ্চয় বসে থাকবে না তারা নিশ্চয় এসব দলিলের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া বা দলিল বিকৃত করার চেষ্টা করবে (বিঃ দ্রঃ সনাতন ধর্মের ধর্মগ্রন্থ গুলো এযাবত অনেকবারই সংস্করন বা পরিবর্তন করেছে তারা )কেননা সংস্কৃত ভাষা ও ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে তারা ব্যাতীত সাধারন মানুষ খুব কমই জানে । এক্ষেত্রে তারা দুটো পথ অবলম্বন করতে পারে- ১মত যেসব জায়গায় তারা মুহাম্মদের নাম বা এ সম্পর্কিত যা কিছু থাকবে সেখানে তারা সংস্কৃত ভাষা র ভুল অর্থ করার চেষ্টা চালাবে আর যেসব জায়গায় একেবারে সম্ভবই না গজামিল দেয়ার সেখানে তারা যুক্তি দেখাতে পারে যে যেহেতু মুসলমানরা অনেকদিন হিন্দুস্থান শাষন করেছে সেসময় তারা হয়ত চুরি করে এসব তথ্য বেদ পুরানে ঢুকিয়েছে । আমার প্রশ্ন হল মুসলমানদের শাষনের পরে বা সেসময় আর্য জাতিরা কি তখন হাতে আংগুল চুসছিল ? তারা সেসব সত্য তথ্য বাদ দিতে পারেনি কিন্তু সত্যকে ঢাকতে অনেক মিথ্যা ঠিকই ঢুকিয়েছে যেমন-যখন হিন্দুদের কিছু জ্ঞানী আর্য সমাজিদের মধ্যে হতেই যখন মুহাম্মদ সা কে বেদ-পুরান হতে দলিল বের করে আর্য সমাজিদেরও অনেকেই মুসলমান হতে লাগল তখন আর্য সমাজিদের ধর্ম ব্যাবসায়িদের মধ্য হতে ভবিষ্য পুরানে কিছু কিছু জায়গায় মুহাম্মদের নাম বসিয়ে পিশাচ নামে অবিভহিত করে এবং তিনি নাকি অধর্ম প্রচার করবেন এইসব লিপিবদ্ধ করা শুরু করে, ব্যাপকভাবে মুসলিম হওয়া ঠেকাতে । কেননা তারা ভেবেছিল এটি প্রচার করার দ্বারা তিনারা ধর্মকে বাচাচ্ছেন অর্থাৎ অনেক সময় সত্যকে বাচাতে একটু মিথ্যার আশ্রয় নেয়া মার্জনিয় পাপ বলে গন্য হয়। কারন তারা মনে মনে এতই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে ইসলাম ধর্ম কিছুতেই ঠিক নয় কেননা যেসব রাজারা আর্য জাতিদের ভক্তি শ্রদ্ধা করত নিচু জাতদের অত্যাচার করলেও সেসব রাজাদের মুসলমানরা এসে উতখাত করেছিল আর তারা এসে উচু নিচু জাত সবাইকে সমান বলে প্রচার করে সমাজে আর্য জাতিদের পূর্বের সম্মানে আঘাত এনেছিল আর ভগবানের মুখ হতে জন্ম নেয়া আর্য সমাজিদের যারা নিচু করে তারা যতই সুবিচার কায়েম করুক , তারা অবশ্যই অধর্মই প্রচার করছে। যাইহোক এখন তাদের সংস্করন হতেই প্রমান দেয়া হচ্ছে যেমনঃ-হিন্দুদের প্রধান এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হল বেদ, হিন্দুদের মতে বেদ হল সরাসরি ঈশ্বর প্রেরীত তাই কোন হিন্দুর বেদকে অমান্য করা মানে ঈশ্বরকে অমান্য করা তথা ধর্ম ত্যাগ করার সমতুল্য।
বেদের চারটি মূল অংশ রয়েছে:ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সাম বেদ ও অথর্ব বেদ। বেদের অপর নাম সংহিতা এবং বেদের ২য় অংশ জ্ঞানকাণ্ডের ১টি রুপকে বলা হয় উপনিষদ, আর এই উপমহাদেশে সামবেদ অনুযায়ী ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করা হয়। এখন দেখা যাক বেদ কি বলছে-"মদৌ বর্তিতা দেবা দকারান্তে প্রকৃত্তিতা। বৃষানাং বক্ষয়েত্‍ সদা মেদা শাস্ত্রেচস্মৃতা"(সামবেদ সংহিতা)অর্থঃ "যে দেবের নামের প্রথম অক্ষর "ম" ও শেষ অক্ষর "দ" এবং যিনি বৃষমাংস (গরুর মাংস) ভক্ষণ সর্বকালের জন্য পুনঃ বৈধ করবেন, তিনিই হবেন বেদানুযায়ী ঋষি।" হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর প্রেরীত মহাপুরুষকে বলে অবতার বা মনু, ঋষি আর আরবীতে তাকেই বলা হয় নবী বা রসুল, নবী মুহাম্মদ এর নামের ১ম অক্ষর "ম" ও শেষ অক্ষর "দ" ।ঋগবেদ ১/৫৩/৯- সেই ঋষিকে বলা হয়েছে সুশ্রবস বা সুশ্রম ,সুশ্রবস যদি হয় তবে তার অর্থ বিশ্বাশযোগ্য সহচর আর এর আরবী অর্থ দ্বারায় আল আমিন আর মুহাম্মদ খুব সত্যবাদী হওয়ায় মক্কার সবাই তাকে আল আমিন বলে ডাকত, আর যদি সুশ্রম বুঝানো হয়ে থাকে যার অর্থ প্রশংসিত, আরবীতে মুহম্মদ শব্দের অর্থও প্রশংসিত। আবার অথর্ববেদ ২০/২১/৬- মন্ত্রটিতে KARAVE নামে ১টি শব্দের দ্বারা একজনকে বুঝানো হয়েছে যার অর্থ 'কর্মদক্ষ' আর কল্কি বা মুহাম্মদ তিনিও খুবই কর্মদক্ষ ছিলেন। ডা জাকির নায়েক বলেছিলেন শব্দটি Karo ও বুঝায় যার অর্থ প্রশংসাকারী বা Praying one আরবীতে যার অর্থ আহমদ, যেটা কল্কি মুহম্মদ এর জন্মগত নাম। এছারা সামবেদ ২.৬.৮ এতে- একটি অংশ আছে Ahm At Hi নাম দিয়ে যেটা আসলে সংস্কৃত ভাষী পন্ডিতগন এর আরবী নামের ভূল উচ্চারন ! এটা আসলে হবে Ahmed ! বিঃ দ্রঃ "আরবী ভাষার বড় হা, আইন, ক্বফ ইত্যাদি উচ্চারন প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষাভাষির জন্য ভীষন কষ্টের, আর আহম্মদ নামের হ অক্ষরটি সেই বড় হা দ্বারা উচ্চারিত। তাছারা মুহাম্মদের নাম এভাবে সরাসরি বেদে উল্লেখ থাকায় তৎকালীন কিছু আর্যরা মুসলমান হওয়ায় আর্য জাতিরা বেদ সংস্করনে এই মন্ত্রসহ অনেক কিছুই বাদ দেয় তাই ১৯৫২ বা তার পুর্বের সংস্করনে এই দলিলটি সামবেদ ২.৬.৮ পাওয়া যাবে হুবহু।" এছারা অথর্ববেদ ২০/১২৭/১;এ বলা হয়েছে তিনি নরসংশ যার অর্থ প্রশংসিত, তিনি কৈরামা অর্থ শান্তির রাজপুত্র বা যিনি শান্তির সাথে পৃথিবীতে বসবাস করেন । - যিনি ৬০০৯৯ জন শত্রুর মধ্যেও নিরাপদ ছিলেন; যেহেতু মুহম্মদ শব্দের অর্থও প্রশংসিত আর তখনকার সময়ে মক্কার অধিবাসী সংখ্যাও ছিল প্রায় ৬০০০০ সেহেতু এটা কল্কি মুহম্মদ এর ব্যাপারে ভবিষ্যতবানী। কিন্তু আর্য সমাজীরা বলছে নরসংশ শব্দের অর্থ কোনভাবেই 'প্রশংসিত' নয় বরং প্রশংসাকারী। তারা জানে না যে নবীর জন্মগত আরেকটি নাম আহম্মদ, এর অর্থ প্রশংসাকারী আর এই নামে বাইবেলেও মুহম্মদ এর ব্যাপারে ভবিষ্যতবানী আছে, এটা জানলে হয়ত তারা নরসংশ এর অন্য অর্থ দ্বার করাত, অন্নান্য ভাষার মত সংষ্কৃত ভাষা সম্পর্কে সাধারনের অত জ্ঞান নেই বলে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তারা তাদের সুবিধামত শব্দের অর্থ দ্বার করিয়ে তাদের ধর্ম ব্যাবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে কেননা ১জন হিন্দুও যদি মুসলিম হয় তবু যে তাদের ব্যাবসায় লছ। কিন্তু সত্যকে তো আর চিরদিন মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না যেমন-"লিঙ্গচ্ছেদী শিখাহীনঃ শ্মশ্রুধারী সে দূষকঃ। উচ্চালাপী সর্বভক্ষী ভবিষ্যতি জমোমম(২৫)বিনা কৌলংচ পশবস্তেষাং ভক্ষ্যা মতা মম। মুসলেনৈব সংস্কারঃ কুশৈরিব ভবিষ্যতি(২৬)তম্মান্মুসলবন্তো হি জাতয়ো ধর্ম্ম দূষকাঃ। ইতি পৈশাচধমশ্চ ভবিষ্যতি ময়াকৃতঃ ।২৭"( ভবিষ্য পুরাণ, শ্লোকঃ ১০-২৭)অর্থঃ " আমার অনুসরণকারী লিঙ্গের ত্বকছেদন (খতনা) করিবে। সে শিখাহীন (মাথায় টিকিহীন) ও দাড়ি বিশিষ্ট হইবে; সে এক বিপ্লব আনয়ন করিবে। সে উচ্চস্বরে প্রার্থনা ধ্বনি (আজান) করিবে। সে সর্ব প্রকার ভক্ষ্যদ্রব্য (হালাল দ্রব্য) আহার করিবে; সে শূকর মাংস ভক্ষণ করিবে না। সে তৃণলতা দ্বারা পূত পবিত্র হইবে। ধর্মদ্রোহী জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া সে মুসলমান নামে পরিচিত হইবে। আমার দ্বারা এই মাংসহারীদের ধর্ম স্থাপিত হইবে। এছারা কল্কি পুরাণে-২, শ্লোক-৪ এ "শম্ভুলে বিষুত্‍ যশাসো গৃহে প্রাদূর্ভবাসত্বম। সমুত্যাং মাতরি বিভো কন্যায়াং ত্বনি্নদেশতঃ"অর্থঃ "আমি শম্ভুল (আরব) নগরে বিষ্ণুযশা (আব্দুল্লাহ) নামক গৃহে সুমতি (আমিনা) নাম্মী ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে আবির্ভূত হইব।" ভারতের বৈদিক যুগের পন্ডিতরা পৃথিবীর স্থলভাগকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করেছিলেন।তার মধ্যে ১ম ভাগ ছিল জম্বুঃ ভারত, তিব্বত ও চীন অঞ্চল আর ৭ম ভাগ ছিল শম্ভুলঃ আরব অঞ্চল কিন্তু ভন্ড আর্যরা বলে শম্ভুল হল যমুনা ও গঙ্গার মাঝামাঝি গ্রামের নাম, এটা তাদের হাস্যকর বিরোধীতা কারন অন্যান্ন জায়গায় যেখানে স্পষ্ট আরব দেশ এমনকি মক্কার কথাও বলা হচ্ছে যেটা নিম্নে উল্লেখ আছে সেখানে এহেন ভুল ধরা সত্যিই হাস্যকর আর তাছারা কোন বিশেষ এলাকার হুবুহু নামেই অনেক গ্রামের নামকরন থাকতেই পারে যেমন শেরপুর নামে জেলাও আছে আবার থানাও আছে এখন যদি কেউ বলে শেরপুরে জেলা অফিসারকে প্রত্যহ দেখা যায়, এটা শুনে শেরপুর থানায় বাসকারী কেউ যদি ভাবে তাদের শেরপুর থানাতেই ঐ জেলা অফিসারকে প্রত্যহ আসে তবে তাকে আমরা কি বলতে পারি? আবার বলা আছে তার বাবার হবে বিষ্ণুযশ(ঈশ্বরের গর্ব) বা বিষ্ণুইয়াসি( যার অর্থ ঈশ্বরের গোলাম। আব্দুল্লাহ শব্দের অর্থও সৃষ্টিকর্তার গোলাম) শুধু তাই না ১ম অর্থ অনুযায়িও মুহম্মদের বাবা আব্দুল্লাহ ঈশ্বরের গর্ব ছিলেন কারন তিনি তার বাবার মানত করা বলি হতে ঈশ্বর অলৌকিকভাবে রক্ষা করেছিলেন কেননা তার ঔরষেই ঈশ্বরের প্রিয় বন্ধু বা হাবিব কল্কি আসবে তাই তিনি প্রকৃতভাবে ঈশ্বরের গর্ব ছিলেন আর নামে ঈশ্বরের গোলাম বা আব্দুল্লাহ ছিলেন। আর মাতার নাম সুমতিঃ “সু” অর্থ শান্ত এবং “মতি” অর্থ আত্মা বা হৃদয়। অর্থাৎ “সুমতি” শব্দের অর্থ পরিতুষ্ট আত্মা। আরবীতে “আমিনা” শব্দের অর্থও শান্ত বা পরিতুষ্ট আত্মা। এছারা ভাগবত পুরাণ; ১২ খন্ড; ২য় অধ্যায়, ১৮-২০ শ্লোকে , “বিষ্ণুয়াস নামে একজনের ঘরে যে মহৎ হৃদয়ের ব্রাহ্মন এবং সাম্বালা নামের একটি গ্রামের প্রধান, তাঁর ঘরে জন্মাবেন কল্কি। তাকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী আর ইশ্বর তাকে দেবেন আটটি অলৌকিক শক্তি। তিনি চড়বেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তার ডান হাতে থাকবে তরবারি”সংস্কৃত ভাষায় সাম্বালা শব্দের অর্থ প্রশান্ত বা শান্তির জায়গা। মক্কায় রাসুল(সা) জন্মগ্রহন করেছিলেন, আর আমরা জানি মক্কাকে দারুল আমান বা শান্তির জায়গা বলা হয়। রাসুল(সা) মক্কার প্রধান বংশের ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। কল্কিকে ইশ্বর দেবেন উতকৃষ্ট গুনাবলী। মাইকেল এইচ হার্ট তাঁর বইয়ে বিশ্বের সৃষ্টির সময়কাল থেকে যত মহান মনীষির জন্ম হয়েছে তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ট ১০০ জনকে বাছতে গিয়ে মুহাম্মাদ(সা)কে প্রথম স্থানে রেখেছেন। কল্কিকে ইশ্বর দেবেন অটটি অলৌকিক শক্তি। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী এই আটটি শক্তি হল ১.জ্ঞান ২.সংযম ৩.জ্ঞান বিতরণ ৪.অভিজাত বংশ ৫.সাহসিকতা ৬.কম কথা বলা ৭.মহানুভতা ৮. পরোপকারিতা। এই আটটি গুনের সবগুলো হুবহু মুহাম্মাদ(সা) এর মধ্যে ছিল। যারা মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে জানেন বা তাঁর জীবনি পড়েছেন তারা সহজেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। কল্কি চরবেন একটি সাদা ঘোড়ায় এবং তাঁর ডান হাতে থাকবে তরবারি। আমরা জানি যে মুহাম্মাদ(সা) একবার সাদা রংগের খচ্চর বা ঘোড়া উপহার পেয়েছিলেন এছারাও তিনি মিরাজে সাদা বোরাকে চড়েছিলেন, তাঁর ডান হাতে যুদ্ধের সময় তরবারি থাকত। তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছিলেন যদিও সবগুলো যুদ্ধই ছিল আত্মরক্ষার জন্য। শুধু তাই না "দ্বাদশ্যাং শুক্ল পক্ষস্য মাধবে মাঝি মাধবঃজাতে দদৃতঃ পুত্রং পিতরৌ হৃষ্টমানষৌ"(1:2:15 Kalki Purna)অর্থঃ "বৈশাখ মাসের শুস্কপক্ষীয় দ্বাদশীতে (১২ তারিখে) কলির অবতার জন্ম গ্রহণ করিলে তদ্দর্শনে তাঁহার পিতৃকূল হৃষ্টচিত্ত হইবে।" অর্থাৎ, বৈশাখ মাসকে ইন্ডিয়ান বিক্রামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বসন্ত বলা হয় অপরদিকে, আরবীতে বসন্তকে বলা হয় 'রাবি'। নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্ম গ্রহণ করেন ১২-ই রাবিউল-আওয়াল মাসের সোমবারে । কিন্তু ভন্ড আর্যরা বলছে না না এখানে চৈত্র মাষের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু চৈত্র মাষও যে বষন্ত কালেই পরছে? তখন তারা হাস্যকার ভাবে বলছে চৈত্রের ১২ তাং যা ইংরেজী ফেব্রুয়ারী মাসের সমান্তরাল কিন্তু রবিউল আউয়ালের ১২ইংরেজী ক্যালেন্ডারের ২০ই এপ্রিল ছিল যেদিন মুহম্মদ জন্মগ্রহন করেন। আর এটা সবাই জানে যে চন্দ্র মাস ইংরেজী মাসের ১০দিনের মত কম থাকায় চন্দ্রমাসের তারিখের সাথে ইংলিশ তারিখ জীবনেও মিলে না যেমন চৈত্র মাস ইংরেজী মাসের যেকোন মাসেই পরতে পারে এইতো কিছুদিন পুর্বে চৈত্র মাস ডিসেম্বারেও পরেছিল কিছুদিন পর জুন মাসে চৈত্র মাস মিলবে এভাবে ইংরেজী মাসের সাথে চন্দ্রমাস বা এদেশের মাসগুলো পরিবর্তিত হয়ে সারাবছর ঘূরতেই থাকবে, আর সেই ইংরেজী মাসের দোহাই দিয়ে যারা সাধারন হিন্দুদের বোকা বানাতে চায় তারা যে কতকাল হতে হিন্দুদের সাথে ছলনা করে ধর্ম ব্যাবসা করে আসছে এটা সহজেই বুঝা যায়। শুধু তাই না ২০ই এপ্রিল ছিল যেদিন মুহম্মদ জন্মগ্রহন করেন এটা বষন্তের চৈত্র ও বৈশাখ এই ২মাসের সাথেই সাধারনভাবে সমান্তরাল কিন্তু বাস্তবে ইংরেজী মাসের সাথে চন্দ্রমাস পরিবর্তিত হয়ে সারাবছর ঘূরতেই থাকবে।আবার 'ভবিষ্য পুরাণ'-এ আছেএতস্লিন্নন্তরে ম্লেচ্ছ আচার্যেন সবন্বিতমহামদ ইতি খ্যাত শিষ্যশাখাসমন্বিত (৫)নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থলনিবাসিনম গঙ্গাজলৈশ্চ সংস্নাপাপ্য পঞ্চগব্যসমন্বিতৈ চন্দনাদিভিরভ্যর্চ তুষ্টাব মনসা হরম (৬) নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থলনিবাসিনে ত্রিপুরাসুর্নাশায় বহুমায়াপ্রবর্তিনে(৭) ভাবার্থঃ ঠিক সেই সময় 'মহামদ' নামক এক ব্যাক্তি-যাঁহার বাস 'মরুস্থলে' (আরব দেশে) আপন সঙ্গপাঙ্গসহ আবির্ভুত হবেন। হে আরবের প্রভু,হে জগদগুরু, তোমার প্রতি আমার স্তুতিবাদ। তুমি জগতের সমদয় কলুষ নাশ করিবার বহু উপায় জান, তোমাকে নমস্কার। হে পবিত্র পুরুষ!আমি তোমার দাস।আমাকে তোমার চরন তলে স্থান দাও। এছারা অথর্ববেদ ২০.১২৭.২- তিনি উট আরোহনকারী ঋষি যার রথ স্বর্গ স্পর্শ করে- যেহেতু উটের কথা বলা হয়েছে সেহেতু এটা মরুভুমির কথা । আর যারা বলে কল্কি এখনো আসেনি আরো পরে আসবে তাদের বলি এখন তো মটর গাড়ির যুগ, ঘোরা ঊট এর যুগেই মুহাম্মদ সা এসেছিলেন, কয়দিন পর মানুষ ঘোরা ঊট এ তো দূরে থাক গাড়ির চেয়ে উন্নত কিছুতে চরে বেরাবে তখন ঘোরা ঊট এ হয়ত কেউ শখ করে চরতে পারে কিন্তু তখন কল্কি এসে ঊটে চরে মানুষকে কি সার্কাস দেখাবেন নাকি? শুধু তাই না আর্যরা বলে মরুভুমি শুধু আরবে নেই ভারতেও আছে (রাজস্থান) কিন্তু মনুসংহিতা (১১.২০২) মতে, একজন ব্রাক্ষ্মন এর উটে চরা নিষিদ্ধ সেহেতু এখানে কোন ভারতীয় এর কথা বলা হয়নি । তখন ভন্ড আর্যরা হাস্যকরভাবে বলে, ব্রাক্ষ্মন এর উট আরোহন নিষিদ্ধ কিন্তু বেদের এই সুক্তটি একজন রাজর্ষি বা ক্ষত্রিয় ঋষির জন্যও তো হতে পারে, হ্যা পারত কিন্তু যেখানে ভাগবত পুরাণ এবলা হচ্ছে এবং বিষ্ণুয়াস নামে একজনের ঘরে সেই ঋষির জন্ম হবে যে মহৎ হৃদয়ের ব্রাহ্মন হবে।এছারা কল্কি পুরাণে-আমি সুমতি (আমিনা) নাম্মী ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে আবির্ভূত হব। আর মুহাম্মদ এর পিতা মাতারা ছিল ঈশ্বরের মুখপাত্র(ব্রাহ্মন)তথা ধর্মের ধারক কুরাইশ বংশের সুতারাং এখানে আর্যরা কল্কিকে রাজর্ষি বা ক্ষত্রিয় ঋষি বলে ভন্ডামির চুরান্ত পর্যায়ে পৌছে যাচ্ছে, আর্য জাতিরা তাদের পূর্ববংশীয় ভাই ইহুদী জাতির ন্যায় আচরন করছে , যেমনঃ ইহুদী জাতি মুহম্মদকে শেষ নবী মেনে না নেয়ার কারন ১টিই ছিল যে শেষ নবী তাদের বংশে জন্ম গ্রহন করেনি, যদিও তাদের ধর্ম গ্রন্থেই স্পষ্ট মুহাম্মাদিম নাম দিয়ে ভবিষ্যতবানী ছিল। আর আর্য জাতিও ইহুদিদের মত ধর্মগ্রন্থ অনেকবার পরিবর্তন করে নিজেদের সুবিধামত যেমন-মহাভারতের বনপর্ব্ব এ বর্ণিত-" বেদা বিভিন্না, শ্রুতুয়ে বিভিন্না নাসো মুনিযাস্যং মতং বিভিন্না ধর্ন্মাসং তত্তং নিহিতং গুহায়ং মহাজেন যেন গতঃ স পন্থা"। অর্থঃ "বিভিন্ন প্রকার বেদশাস্ত্রগুলো বিভিন্ন। মুনি-ঋষিগণের মতবাদও ভিন্ন ভিন্ন। ধর্মের নিগূঢ় রহস্য গুহায় নিহিত। সে ধর্মপথ অবলম্বনকারীগণই মহাজন বা শ্রেষ্ঠ মানুষ।" অর্থাৎ জিব্রাইল ফেরেশতা কল্কি মুহাম্মদ সঃ কে ১ম মহাগ্রন্থ আল কোরান শিক্ষা দেন হেরা নামক পর্বতের গুহায় আর হিন্দুদের বর্তমানের বেদ অনেকটাই হারিয়ে গেছে আর্য জাতির সংস্করনের কারনে, ঈশ্বরের গ্রন্থ যদি মানুষ সংস্করন করে তবে বলতেই হয় ঈশ্বরের ভুল সংশোধন করছে মানুষ তাই মানুষই ধর্মের জন্ম দিয়েছে ঈশ্বর বলতে কিছু নেই, আর এই ধারনার উপরই বশবর্তী হয়ে অনেক হিন্দুই আজ নাস্তিক। বর্তমান ইন্টানেটের যুগে আর্যদের ধর্ম ব্যাবসার ১ মাত্র সম্বল বেদ পুরানগুলি যখন সবাই পড়তে পারছে তখনি তারা মুসলমান হওয়া এবং নাস্তিকতা ঠেকাতে উঠে পরে লেগেছে আর তাইতো আজ ব্রাক্ষনদের মুখ দিয়েই বের হচ্ছে যে ধর্মশাস্ত্র(নিজেদের সুবিধানুযায়ি পরিবর্তন করে ও বিভিন্ন সংস্কৃত শব্দের সুবিধামত অর্থ করে বলছে) সবারই পড়া উচিত, অথচ এই ব্রাক্ষনরাই কিছুকাল পুর্বেও বলে এসেছে যে ধর্মশাস্ত্র চর্চার অধিকার শুধুই ব্রাক্ষনদের, এখানেই এদের ভন্ডামির বড় পরিচয় মেলে।
আর সত্যিকারের বেদ এখন কল্কিবতারের কাছেই আছে, কারন কল্কি পুরানে ৩য় অধ্যায়ের ৪৩নং শ্লোকে আছে -কল্কিকে তার গুরু রামদেব বেদ শেখাবেন। আর সত্যিই মুহম্মদ সাঃ কে বেদ শিখানো হয়েছিল, এখানে গুরু মানে শিক্ষক রাম মানে বড়, দেব মানে ফেরেশতা আর সবাই জানে যে জিব্রাইল ফেরেশতা নবীর শিক্ষক ছিলেন আর তিনি সব ফেরেশতার বড় অর্থাৎ রামদেব, আর বেদ অর্থ জ্ঞান, যা জিব্রাইল ফেরেশতা কল্কি মুহাম্মদ সঃ কে শিক্ষা দিয়েছেন যেটার নাম মহাগ্রন্থ আল কোরান সত্যিকারের জ্ঞানের ভান্ডার । যেমনঃ কল্কিপুরাণে উল্লেখআছে –কল্কি জ্ঞান প্রাপ্ত হবেন ১মবার রাতের বেলায় ১টা গুহার ভেতরে। তারপর তিনি উত্তরদিকে রওনা হয়ে ফিরে আসবেন। আর মুহাম্মদ সঃ হেরা গুহাতেই কদরের রাত্রে ১ম জ্ঞান কুরানের ৫টি আয়াত পান এর পর উত্তরদিকে মদীনায় হিজরত করে আবার মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে ফিরে আসেন। তারপর কল্কি পুরাণে কল্কি সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে যে তিনি অজ্ঞলোকদের পরিচালিত করবেন সরলপথে। এছারা ভাগবত পূরাণ;১-৩-২৫ এ আছে-কলি যুগে যখন রাজারা হবে ডাকাতের মত সেই সময় বিষ্ণুয়াসের ঘরে জন্মগ্রহন করবে কল্কি। আরবের সেই সময়কে আয়্যামে জাহিলিয়াত বা অজ্ঞযুগ বলা হত। মুহাম্মাদ(সা)ই আরবদের সুপথ দেখিয়েছিলেন। আর তখনকার রাজারা ছিল ডাকাতের মতই। আবার এও বলা আছে কল্কিঅবতারকে যুদ্ধক্ষেত্রে দেবদূতরা সাহায্য করবেন।(কল্কিপুরাণ,২য়অধ্যায়, মন্ত্র-৭)বদর যুদ্ধে মুহাম্মাদ(স.)কে যুদ্ধক্ষেত্রে দেবদুত বা ফেরেস্তারা সাহায্য করেছিলেন। কল্কি পূরান,২য়অধ্যায়, মন্ত্র-৫ এ আছে-কল্কিকে সাহায্য করবেন চার জন সহচর, পাপীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। মুহাম্মাদ(সা) কেও চার জন সাহাবী, সাথী বা সহচর সাহায্য করেছিলেন জালিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। যাদের বলা হয় প্রধান ৪ সাহাবী ও ১ম ৪ খলিফা। আর একটি কথা জানা দরকার সেটি হল, কলির যুগে যে অবতার আসবে তাকেই বলা হয় কল্কিবতার, সেই অনুযায়ি মুহাম্মদ সা কল্কিবতার এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু মুহাম্মদ সা আবার বলে গেছেন যে তার পর আর কোন নবী বা রসুল না আসলেও কলি যুগের অন্তিমকালে আবারও অধর্মের আবির্ভাব হলে ঈসা (যিশুর পুনরাগমন) এবং মাহদি এই দুজন মহাপুরুষকে ঈশ্বর পাঠাবেন যারা পুরো পৃথিবীর সকলকেই সুপথে আনবেন। ইনারা ঈশ্বরের অবতার হলেও মুহম্মদ সঃ এরই প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং নতুন কোন ধর্মীয় বিধান আনবেন না পবিত্র কুরান হবে তাদেরও কিতাব, তখন যদি কোন মুসলমান তাদের না মানে তবে মুসলমানরাও হবে হিন্দুদের মত বিভ্রান্ত জাতি, বর্তমানে কল্কিকে না মেনে যেভাবে হিন্দুরা বিপথগামী। আর হিন্দুধর্মগ্রন্থে এদের আসারও ভবিষ্যতবানী করা আছে কিন্তু তাদের আসার সময়কালও যেহেতু কলির যুগ তাই বেশিরভাগ হিন্দু পন্ডিতই ঐ দুজন এবং মুহাম্মদ সঃ সহ এই তিনজন কে একই ব্যাক্তি তথা কল্কিবতার মনে করে তালগোল পাঁকিয়ে ফেলেছে কেননা হিন্দুরা ইতিহাস লেখায় সর্বদাই অপরিপক্কের পরিচয় দিয়ে এসেছে। তাই কল্কি সম্পর্কে প্রায় সব ভবিষ্যতবানীই মুহাম্মদ সঃ এর সাথে হুবহু মিললেও কিছু কিছু তথ্য মিলে না, কারন এসব ভবিষ্যতবানী মাহদি ও ইসা আঃ এর জন্য করা আছে। আর কলি যুগের শেষের দিকে তারা যখন আসবে তখন এসব তথ্যও তাদের সাথে হুবহু মিলে যেতে পারে। যেমন- কল্কি অবতার এর পিতা ও মাতা উভয়েই সে সময় জীবিত ছিল অথচ মুহম্মদ এর পিতা তার জন্মের আগেই মৃত্যুবরন করেন। (কল্কি পুরান ১.২.১৫)ব্রহ্মান্ড পুরান(১/২/৩১/৭৬-১০৬),বায়ু পুরান(৫৮/৭৫-১১০) হতে জানা যায় যে কল্কি পৃথিবীর প্রত্যেকটি প্রান্তে যাবেন এবং সেখানকার খারাপ লোকদের হত্যা করবেন,এতে আর খুব কম লোক ই অবশিষ্ট থাকবে এবং তাদের মাধ্যমে আবার সত্যযুগ শুরু হবে। কল্কির চীন-দক্ষিন কোরিয়া এলাকায় যুদ্ধের কথা কল্কি পুরানে স্পষ্ট ভবিষ্যত্‍বানী করা আছে।এছারাও কল্কি পুরান ৩.৪৬ এ দেয়া হয়েছে কল্কি এবং তার স্ত্রী নিরামিষভোজী এবং কল্কি এর স্ত্রী একজনই এবং তিনি"সিংহল" এর অধিবাসী যা একটি সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ। ইত্যাদি কিছু তথ্য (কল্কিপুরান ১.৩.৯)। এগুলো ঈসা মসিহ ও মাহদি এদের কর্মকান্ডের সাথে মিলে যায় যেহেতু ইনারা কলির যুগেই আসছেন তাই এনারাও কল্কি। কিন্তু বেশীরভাগ তথ্য ১ম এবং প্রধান কল্কি মুহাম্মদ সঃ সম্পর্কেই আছে যেমনঃ অথর্ববেদ ২০/১২৭/৩; এ আছে তিনি একজন 'MAMAH' ঋষি যাকে দেয়া হয়েছে ১০০ টি স্বর্নমুদ্রা, ১০টি হার, ৩০০টা অশ্ব, ১০০০০ গাভী । এখানে MAMAH শব্দটি MUHAMMAD আরবি শব্দের বিকৃতভাবে সংস্কৃত উচ্চারন তাছারাও এর অর্থ দ্বারায় উচ্চ শ্রদ্ধাযুক্ত যা মুহাম্মদ নামেরই অর্থপ্রকাশ করছে, আর মুহাম্মদ সা কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজা বাদশারা বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধেও তিনি গনিমতের মাল পেতেন যা পরে অন্যদের মাঝে বন্টন করতেন। আর এসব উপহার যদি ঈশ্বর কর্তৃক দেয়া বুঝায় তবে উপহারগুলো এখানে রুপক অর্থে বলা হয়েছে অর্থাৎ স্বর্নমুদ্রা ,হার ,অশ্ব ও গাভী দিয়ে এই ধরনের গুনাগুন বিশিষ্ট সাহাবীকেও বোঝানো হতে পারে । আর আর্য সমাজীদের ভন্ডামি দেখুন- MAMAH(মমহ) শব্দটিকে তারা MAMAHE অখ্যা দিয়ে খন্ড খন্ড করে উচ্চারন করে যে অর্থ দ্বার করানোর চেষ্টা করছে সেখানে মন্ত্রে উল্লেখিত একজন ঋষিকে কখনই নির্দেশ করা সম্ভব নয় অথচ বলা হচ্ছে-তিনি একজন "MAMAH(উচ্চ শ্রদ্ধাযুক্ত)" ঋষি যাকে দেয়া হয়েছে ১০০ টি স্বর্নমুদ্রা, আর তারা বলে এখানে হবে MAMAHE(মম-আমি ,অহে-দেই) তাদের এই অর্থ ধরলে মন্ত্রটি দ্বারায় -তিনি একজন 'আমি দেই' ঋষি যাকে দেয়া হয়েছে ১০০ টি স্বর্নমুদ্রা, এটাকি কোন সার্থক বাক্য হয়? বুঝিনা হাস্যকরভাবে এসব ভুল ধরে মুসলমানদের হাসাতে হাসাতে মেরে ফেলার, আর্য জাতির এটা নতুন পরিকল্পনা কিনা? তাছারা যেকোন বড় শব্দকে খন্ড খন্ড করে উচ্চারন করে অন্য অর্থ দ্বার করান যায় আর যদি শব্দটি হয় সংস্কৃত তবে তো কথাই নেই, যা ইচ্ছা গোজামিল দেয়ার সম্ভাবনা ব্রাক্ষনদের দ্বারা যেমন- নির্দেশ= নীর(ঠিকানা) + দেশ(এলাকা)।বাস্তবে এটা ঠিক না যদিও।
আরেকটি গুরুত্বপুর্ন তথ্য হল স্রষ্টা বা পরমেশ্বরের দুইধরনের নাম আছে একটি হল তার আসল নাম আর অন্যগুলো হল তাঁর গুনবাচক নাম যেমনঃ স্রষ্টা(ব্রক্ষা), প্রতিপালক(বিষ্ণু), বিধাতা, ভগবান, ঈশ্বর ইত্যাদি আর এই গুনবাচক নামগুলো বিভিন্ন ভাষা ও বিভিন্ন ধর্ম অনুযায়ি বিভিন্ন যেমন একই নামই বলবে মুসলমান= রব, হিন্দু=প্রতিপালক(বিষ্ণু), খ্রীষ্টান= পিতা(গড), ইহুদী= Avinu ইত্যাদি, কিন্তু ঈশ্বরের একটি আসল নাম আছে যেটি সব ধর্মগ্রন্থেই দেয়া আছে আর তা হল- আল্লোহ। কিন্তু ৩টি কারনে প্রায় সব ধর্মেই আসল নামে না ডেকে শুধু গুনবাচক নামেই বেশী ডাকে, ১ম কারন- মানুষের পার্থিব প্রয়োজনের তাগিদে ঈশ্বরের গুনবাচক নামে বেশী ডাকার প্রচলন শুরু হয়, ২য় কারন- ভুল ধারনা যে, ঈশ্বর যেহেতু পবীত্র তাই পবীত্র অবস্থায় এবং পাপহীন লোকদেরই আসল নাম নেয়ার বেশী অধিকার, ৩য় কারন- শয়তানের প্ররোচনায় পরে যেমনঃ কল্কিবতারের অবির্ভাবের পর ব্যাপক সংখ্যক লোক মুসলমান হতে থাকে আর এই ধর্মান্তরিত হওয়া ঠেকাতে ১মে ইহুদী খ্রীষ্টানরা ধর্মগ্রন্থ হতে মুহাম্মদ ও আল্লাহর নাম বিকৃত করা শুরু করে, এজন্য ধর্ম ব্যাবসায়ি শ্রেনীর পাপীষ্ট ধর্মীয় নেতারা তাদের ধর্মগ্রন্থ হতে আল্লাহ নামকে এল, এলাহ, এল্লাই, এলোয়াহ বলে মুসলমানদের সাথে পার্থক্য করার চেষ্টা করে। আর ভারতবর্ষে যখন মুসলমানদের অগমন ঘটে তখন হিন্দুরাও তাদের ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত আল্লাহর নাম বিকৃত করে অল্লা, অলাত, অলা, ইলা বলে চালিয়ে দেয় আর বর্তমানে হিন্দুদের আর্য গোষ্টি তো ইহুদি খ্রিস্টানদের চেয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে কারন ইহুদি খ্রিস্টানরা তো শুধু আল্লাহর নাম বিকৃত করেছে মাত্র কিন্তু তার অর্থ ঠিকই ঈশ্বর রেখেছে কিন্তু আর্যরা ইলা, অলাতের এমন সব অর্থ করছে তা দিয়ে ঈশ্বরকে না বুঝিয়ে অন্যকিছু বুঝাচ্ছে কিন্তু সত্য তো আর চাপা থাকে না যেমনঃ বেদে একটি উপনিষদ আছে যাকে বলে আল্লো উপনিষদ যেখানে ১মাত্র ঈশ্বরের নাম হল আল্লো, এছারাও ঋগবেদ ২.১.১১,৩.৩০.১০,৯.৬৭.৩০,১.১৩.৩ এই চারটি মন্ত্রে 'আল্লাহ' শব্দটি রয়েছে। আর উপনিষদে-"হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রাঃ । অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্যক্ষণং অল্লাম। অল্লো রসূল মহামদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাম। আদল্লাং বুকমেকং অল্লাবুকংল্লান লিখার্তকম।"(অল্লোপনিষদের ৭মপরিচ্ছেদ) অর্থঃ "দেবাতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড় ইন্দ্রের শুরু। আল্লাহ পূর্ণ ব্রক্ষ্মা; মোহাম্মদ আল্লাহর রুসূল পরম বরনীয়, আল্লাই আল্লাহ। তাঁর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেহ নেই। আল্লাহ অক্ষয়, অব্যয়, স্বয়ম্ভু। আবার উত্তরণ বেদে বলা হয়েছেঃ"লা-ইলাহা হরতি পাপম ইল্লা ইলহা পরম পদম জন্ম বৈকুন্ঠ অপ সুতি তজপি নাম মুহামদম " সূত্রঃ উত্তরণ বেদ। আনকাহি, পঞ্চম অধ্যায়ঃ অর্থঃ " লা ইলাহা কহিলে পাপ মোচন হয়। ইল্লাল্লা কহিলে উচ্চ পদবী যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করিতে চাও, তবে মোহাম্মদ নাম জপ কর।"অথর্ববেদীয় উপনীষদ'-এ আছেঃ অস্য ইল্ললে মিত্রাবরুণো রাজা তম্মাৎ তানি দিব্যানি পুনস্তং দুধ্যু হবয়ামি মিলং কবর ইল্ললাঅং অল্লোরসুলমহমদকং বরস্য অল্লো অল্লাম ইল্লল্লেতি ইল্লাল্লা। (৯) ঈশ্বরের আসল নাম আল্লাহ হবার কারন হল- God থেকে god's ভগবান থেকে ভগবতি হয়। কিন্তু ঈশ্বরের কোনো লিংগ নেই,বাবা মা নেই, তিনি একজনই বহুবচন যুক্ত নাম তার নয়। তাই ইসলাম ধর্মে ঈশ্বরের আসল নামে ডাকা হয়
আর কল্কির এই সত্য ধর্মে কিন্তু হিন্দুদের পুর্ব অবতারদের কথাও বলা আছে যেমনঃ কুরানে আদি মনুকে আদম, মনু সত্যব্রতকে নুহ বলা হয়েছে আর মুহাম্মদ সঃ হাদিসে কৃষ্ণকে হিন্দুস্থানের অবতার বলেছেন, যেমন তিনি বলেন- "হিন্দুস্থানের এক নবী(অবতার) ছিল যার শরীরের রং ছিল কৃষ্ণ বর্নের এবং তাঁর নাম ছিল কাহিনা বা কানাইয়া।"- Taarikh-i-Hamdaan Dailami" Baab-ul-Kaaf. by Malik Abdur Rehman Khadim 6th edition Published in 1952.Pocket book p: 854 আর হিন্দুরা সবাই জানে যে কৃষ্ণের বাল্য নাম বা ২য় নাম ছিল কানাই। এছারা ইহুদী খ্রিস্টানদের যিশু ও মোছেস এর নাম তো আছেই এমনকি গৌতম বুদ্ধের কথাও বলা হয়েছে Dhul-Kifl(জুল কাফিল) হিসাবে। আর সবাই জানে যে বুদ্ধ ছিলেন ইন্ডিয়া এবং নেপাল বর্ডারের সীমান্তে অবস্থিত ১টি ছোট রাষ্ট্রের রাজধানী কাপিলের অধিবাসি। বুদ্ধ যে শুধু কাপিলের লোক ছিলেন তাই না বরং তাকে তার এলাকার নামানুসারে কাপিলও ডাকা হত। আর আরবি ভাষায় প না থাকায় তারা প জাতিয় কোন শব্দকে ফ দ্বারা উচ্চারন করে তাই কাপিল এর স্থানে কাফিল বলা আছে। যাইহোক এসব কিছু কিন্তু ১টি জিনিসকেই প্রমান করছে আর তা হল পৃথিবীতে পুর্ব হতেই ধর্ম ১টিই ছিল, ঈশ্বরও ১জনই কিন্তু অঞ্চলভেদে বিভিন্ন মানুষ তাকে বিভিন্ন নামে ডাকে।ঋগবেদ গ্রন্থ ১, পরিচ্ছেদ ১৬৪, অনুচ্ছেদ ৪৬ "সত্য একটাই। ঈশ্বর একজনই। জ্ঞানীরা এক ঈশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।" আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল-ভাগবত পুরান, কল্কি পুরান এবং আরও অনান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে জানতে পারি যে কল্কি হলেন শেষ ঋষি বা নবী। তাঁর পর আর কোন ঋষি আসবেনা। আমরা জানি যে শেষ নবী বা দূত হলেন মুহাম্মাদ(সা)। আর কল্কিবতার বা মুহাম্মদসঃ কে না মানলে সে অবশ্যই নরকে যাবে যেরকম কৃষ্ণ এর সময় কৃষ্ণকে না মেনে নরকী হয়েছে অনেক হিন্দু। আর কারও নিকট ইসলাম ধর্মের খবর পৌছে যাবার পর মহান ঈশ্বর শুধু ইসলাম ধর্মকেই গ্রহন করবেন অন্য ধর্ম নয় কারন মানুষ অন্যান্ন ধর্মকে বিকৃত করার পর, ঈশ্বর কল্কির দ্বারা ইসলাম ধর্ম দিয়েছেন সবাইকে শুধরাবার শেষ সুযোগ হিসেবে, আর তাই এই ধর্মকে ঈশ্বর আর বিকৃত হতে দিবেন না কেননা আর কিছুকাল পরে দুনিয়াই ধংস করে ফেলবেন, এখন আমরা সেই মহাপ্রলয়ের নিকটবর্তী প্রায়(বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমানিত)। কিন্তু মানুষদের সত্যের পথে যেতে সর্বসময়ই সমাজের কিছু খারাপ মানুষ বাধা দিয়ে আসছে অতীতকাল হতেই আর বর্তমান কলির যুগে খারাপ মানুষের সংখ্যা গেছে আরো বেড়ে। হিন্দুগ্রন্থানুযায়ি সত্যের যুগে সত্য মিথ্যার লড়াইয়ে সত্য ১০০ বারই জিতেছে আর কলির যুগে সত্য মিথ্যার লড়াইয়ে সত্য ১০০ বারই পরাজিত হবে, তাইতো হিন্দুদের আর্য সমাজীসহ, ইহুদি, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ ও নাস্তিকরা সবাই মিলে ইসলামের বিরূদ্ধে চক্রান্ত করেই যাচ্ছে, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী বই লিখা হয়েছে আবার পুরস্কারও দেয়া হয় আর মিডিয়া তো ইসলামের বিরূদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে, মানুষের মস্তিষ্ক ধোলাই করা হচ্ছে যে, মুসলিমরা হল জংগী, সন্ত্রাসী। অনেকে কুরান হতে কিছু কথা নিজেদের মত সাজিয়ে ভুলভাবে মানুষদের সামনে তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে, এটা সত্য যে বর্তমানে নামমাত্র মুসলিমরা এবং বিভ্রান্ত দলের মুসলিমরা অনেক খারাপ কিন্তু কোন ধর্মের অনুসারিদের দেখে সেই ধর্মের বিচার করা নিশ্চয় বোকামী। তাই সত্য জানতে সেই ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পড়া উচিত এবং সত্যিকারের মুসলিমদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত এবং কল্কিবতারকে মেনে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করা উচিত। এতে কিন্তু নিজ ধর্মকে ত্যাগ করা হচ্ছে না বরং সত্যিকারের সনাতনধর্মী হচ্ছে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মে যে গজামিল ও ভ্রান্ত মতবাদ ছিল তাকে ছুরে ফেলে কল্কির আনিত শুদ্ধ ও সঠিক মতবাদে ফিরে যাওয়া হচ্ছে আর এতেই মানব জাতির শান্তি নিহিত বলেই এই ধর্মের নাম শান্তির ধর্ম বা আরবীতে ইসলাম ধর্ম। তাছারা সব হিন্দুদেরই দেখা যায় পুরাতন অনেক কিছুই তারা যুগানুযায়ি পরিবর্তন করেছে এমনকি নিজেদের পোশাক বাড়িঘরে পর্যন্ত তারা নতুনত্ব এনেছে কিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে তারা সেই কুসংস্কারকেই কালচার রুপে লালন করে আসছে অথচ ঈশ্বর কিন্তু যুগে যুগে বিভিন্ন অবতারের মাধ্যমে ধর্মকে ঠিকই আপডেট রেখেছে আর কল্কি মুহাম্মদ সঃ হল সর্বশেষ অবতার। হিন্দুরা অন্নান্য সকল ক্ষেত্রেই কিন্তু ঠিকই যাচাই বাছাই করে সবকিছু করে থাকে কিন্তু অতিব গুরুত্বপুর্ন এই ধর্মের ক্ষেত্রেই শুধু গোড়ামী। আমি মুসলামান হলেও আমার পরিবার যদি না হয় বা বড় ধরনের বাধা বিপত্তি আসে এসব ভেবে সত্য গ্রহন হতে বিরত থাকলে পরবর্তিতে আমাকেই পস্তাতে হবে আমার পরিবারের নয়। তাছারা আর্থিক ক্ষতির পরোয়া করা উচিত নয় বরং ঈশ্বরের উপর আস্থা রাখা উচিত, তিনি নিশ্চয় ১টা ব্যাবস্থা করবেন আর একেবারেই ঘর ছারা ও নিস্ব হবার সম্ভাবনা থাকলে আমাদের আই,কে,এস এ যোগাযোগ করুন আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব ঈশ্বর যতটুকু সমর্থ দেয়। আর এক্ষুনি সত্যিকারের সনাতনধর্মে ধর্মান্তর না হলেও এখন হতে গবেষনা করতেই হবে কেননা আমি ও আমার বাপ দাদারা যে ধর্মের উপর আছি সেটা কতটুকু ঠিক আর অন্যরা যে ধর্মের উপর আছে সেটা যে মিথ্যা সেটাও তো অন্তত্য জানা উচিত আর কিছু না হলেও তো এতে আমার ধর্মীয় বিশ্বাষের উপর মনবল বৃদ্ধি পাবে আর কোন দিধা দ্বন্দে দুলতে হবে না। একটু চেষ্টা করলেই সত্য প্রকাশ পাবে যেমন- এক গনেশের মাথা কাটার কাহিনীই হিন্দুধর্মগ্রন্থে অনেকগুলো বর্ননা করা হয়েছে একটি কাহিনীর সংগে অন্য কাহিনীর কোন মিল তো নেই ই বরং সম্পুর্ন বিপরীতধর্মী কাহিনী উল্লেখ আছে তবে মানুষ সত্য জানবে কিভাবে আর সত্য কাহিনী তো ঘটেছিল যেকোন ১টি অথচ এতগুলো কাহিনী উল্লেখ থাকায় যে কারোরই বুঝার আর বাকি থাকার কথা না যে এইসব কাহিনীর বেশিরভাগই ভ্রান্ত ও কাল্পনিক। তাই মৃত্যু মানুষের যেকোন সময়ই যে আসতে পারে সেটাতে সবাই একমত সুতারাং এর পূর্বেই যত তারাতারি সিদ্ধান্ত নেয়া যায় ততোই লাভ এবং আশংকামুক্ত থাকা যায়। সবশেষে একমাত্র মহান ঈশ্বরের প্রশংসা করে এখানেই ইতি টানছি।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৪
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×