`বাঙালি' এবং `বাংলা ভাষা'-এই দু’টি শব্দ একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালি ছাড়া যেমন বাংলা কল্পনা করা যায় না,তেমন বাংলা ছাড়া বাঙালি কল্পনা করা যায় না। শুধু তাই নয় এর একটি ছাড়া অন্যটি অস্তিত্বের সংকটে ভোগে। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে,বাঙালি তার প্রিয় মাতৃভাষাকে নিজেরাই ক্রমান্বয়ে অস্তিত্বের সংকটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। যা বিশ্বের বুকে বাংলা ভাষাকে চতুর্থ স্থানে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের ভাষা বাংলা হলেও হিন্দির আগ্রাসনে সেখানে বাংলা ভাষা প্রতিমূহুর্তে অবহেলার স্বীকার হচ্ছে! সেই সাথে ইংরেজী তো রয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে অফিস-আদালতে সবখানে হিন্দির দৌরাত্ম্য। অথচ আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস সহ বিভিন্ন দিবসে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চর্চার কথা বলা হলেও সেটার কার্যকরিতা ম্লান। ভারতের অন্য রাজ্য গুলোতে প্রশাসনিক কাজ মাতৃভাষায় হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা হয় না। হিন্দি আর ইংরেজীতে চলে সব প্রশাসনিক কার্যক্রম। যার ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বাংলা ভাষার।
তবে কি বিলুপ্তি হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলা ভাষা? এই প্রশ্নটি এখন সবথেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে। যে ভাষার জন্য এতো আত্মবলিদান,সেই ভাষাকে অবহেলা করে কেনো হিন্দির ভাষার চর্চা করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কলকাতার নিউ মার্কেটের কাপড় বিক্রেতা মিতালি দাস বলেন, ‘আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা হওয়াতে হিন্দি বেশী বলা হয়।’ পুনরায় প্রশ্ন করলাম, মাতৃভাষা বড় না হিন্দি ভাষা? কিছুটা বিব্রত হয়ে তিনি বললেন,‘অবশ্যই মাতৃভাষা। কি করবো বলুন? অভ্যাস হয়ে গিয়েছে তো।’
একই রকম প্রশ্ন করা হয়েছিলো চিত্রগ্রাহক অভি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি কিছুটা কৌশলী উত্তরের আশ্রয় নিয়ে বললেন,‘আগেও বাংলায় হিন্দির প্রভাব ছিলো। এখনো আছে। হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য। হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা হওয়াতে কাজের সুবিধার জন্য বাংলার মানুষ হিন্দি শিখছে। সাথে ইংরেজীও শিখছে। হিন্দি শুধু কাজ চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এর বাদে আমরা সবাই বাঙালি। মাটি,বায়ু,জল সব বাঙালি।’ কৌতুহলি হয়ে আবার প্রশ্ন করলাম,পশ্চিমবঙ্গে কি কাজ চালানোর জন্য বাংলা ব্যবহার করা যায় না? উত্তরে বললেন,‘যায়। তবে সবাই বাংলা বোঝে না। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কাজের পরিধি বাড়াতে হিন্দি বলতে হবে। কারন বাংলা সবাই না বুঝলেও হিন্দি বোঝে।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গবাসী কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ স্বপন সাহার কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি মূলত বাংলার অধ্যাপক ছিলাম। তাই বাংলার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রচুর। আজকাল দেখছি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে মেয়েরা বাংলা,হিন্দি এবং ইংরেজী একত্রে করে মিশ্র ভাষায় কথা বলছে। এটি খুবই বিরক্তিকর! যে কোন একটি ভাষায় তাদের কথা বলা উচিত। বাংলায় বলতে চাইলে পুরোটা বাংলায় বলতে হবে। হিন্দি বলতে চাইলে পুরোটা হিন্দিতে। ইংরেজীর ক্ষেত্রেও তাই। এখন যেভাবে চলছে এভাবে চলতে থাকলে বাংলা ভাষা হুমকির মুখে পড়বে। অনেক শব্দ হারিয়ে যাবে।’
কিভাবে এই মিশ্র আগ্রাসন থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করা যায়? প্রশ্নের উত্তরে বাংলার এই অধ্যাপক আরো বলেন,‘আমি তো একজন শিক্ষক,সেই দৃষ্টিকোন থেকে বলবো-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উচিত বাংলা ভাষা ব্যবহারে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করা। মা-মাসীরা যদি বাংলা বলতে পারে,তারা কেনো পারবে না? রবীন্দ্রনাথ,নজরুলের ভাষা বাংলা। বাংলার জন্য ১৯৫২ সালে মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এসব তাদের বোঝাতে হবে।’
এছাড়া অনেকে হিন্দির ভাষার বহু ব্যবহারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়গুলোতে বাধ্যতামূলক বাংলা শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ী করছেন। সেই সাথে বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসারে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। তবে আশার কথা হলো সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে উদাসীন ভাব কাটিয়ে উঠছেন। প্রথম থেকে দ্বদশ শ্রেনী পর্যন্ত বাংলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ইংরেজী মাধ্যমের স্কুল গুলোতে বাংলা ভাষায় পড়াশোনা করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রীর একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছিলো। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমাদের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে৷ একটি ছাত্রের মধ্যে গোড়া থেকে এই শ্রদ্ধার বোধ গড়ে তুলতে হবে৷ আগে মাতৃভাষা, তারপর অন্য কোনও ভাষা- রাজ্য সরকার এই আবেগটাকে গুরুত্ব দিতে চায়৷ যদি কেরালা, কর্নাটকে সে রাজ্যের ভাষা পড়া বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে, তাহলে এ রাজ্যে বাংলা পড়তে সমস্যা কোথায়? সরকারের ধারণা, ইংরেজি শিক্ষার নামে এ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল যাবতীয় পরিষেবা ও পরিকাঠামো ব্যবহার করে বাংলা ভাষাকেই অবহেলা করছে৷ এর ফলে মাতৃভাষা চর্চাই শুধু অবহেলিত হচ্ছে না, বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও সঙ্কটে পড়ছে৷ একটা জাতি তার শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে৷’
এখন দেখার বিষয়ে সরকারের এমন পদক্ষেপ বাস্তবে কতোটা কার্যকর হয়। কার্যকর হলে সেটা বাংলা ভাষা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। নতুবা কালের গহ্বওে হারিয়ে যাবে মধুর এই বাংলা ভাষা। `বাঙালি' এবং `বাংলা ভাষা'-এই দু’টি শব্দ একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালি ছাড়া যেমন বাংলা কল্পনা করা যায় না,তেমন বাংলা ছাড়া বাঙালি কল্পনা করা যায় না। শুধু তাই নয় এর একটি ছাড়া অন্যটি অস্তিত্বের সংকটে ভোগে। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে,বাঙালি তার প্রিয় মাতৃভাষাকে নিজেরাই ক্রমান্বয়ে অস্তিত্বের সংকটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। যা বিশ্বের বুকে বাংলা ভাষাকে চতুর্থ স্থানে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের ভাষা বাংলা হলেও হিন্দির আগ্রাসনে সেখানে বাংলা ভাষা প্রতিমূহুর্তে অবহেলার স্বীকার হচ্ছে! সেই সাথে ইংরেজী তো রয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে অফিস-আদালতে সবখানে হিন্দির দৌরাত্ম্য। অথচ আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস সহ বিভিন্ন দিবসে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চর্চার কথা বলা হলেও সেটার কার্যকরিতা ম্লান। ভারতের অন্য রাজ্য গুলোতে প্রশাসনিক কাজ মাতৃভাষায় হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা হয় না। হিন্দি আর ইংরেজীতে চলে সব প্রশাসনিক কার্যক্রম। যার ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বাংলা ভাষার।
তবে কি বিলুপ্তি হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলা ভাষা? এই প্রশ্নটি এখন সবথেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে। যে ভাষার জন্য এতো আত্মবলিদান,সেই ভাষাকে অবহেলা করে কেনো হিন্দির ভাষার চর্চা করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কলকাতার নিউ মার্কেটের কাপড় বিক্রেতা মিতালি দাস বলেন, ‘আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা হওয়াতে হিন্দি বেশী বলা হয়।’ পুনরায় প্রশ্ন করলাম, মাতৃভাষা বড় না হিন্দি ভাষা? কিছুটা বিব্রত হয়ে তিনি বললেন,‘অবশ্যই মাতৃভাষা। কি করবো বলুন? অভ্যাস হয়ে গিয়েছে তো।’
একই রকম প্রশ্ন করা হয়েছিলো চিত্রগ্রাহক অভি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি কিছুটা কৌশলী উত্তরের আশ্রয় নিয়ে বললেন,‘আগেও বাংলায় হিন্দির প্রভাব ছিলো। এখনো আছে। হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য। হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা হওয়াতে কাজের সুবিধার জন্য বাংলার মানুষ হিন্দি শিখছে। সাথে ইংরেজীও শিখছে। হিন্দি শুধু কাজ চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এর বাদে আমরা সবাই বাঙালি। মাটি,বায়ু,জল সব বাঙালি।’ কৌতুহলি হয়ে আবার প্রশ্ন করলাম,পশ্চিমবঙ্গে কি কাজ চালানোর জন্য বাংলা ব্যবহার করা যায় না? উত্তরে বললেন,‘যায়। তবে সবাই বাংলা বোঝে না। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কাজের পরিধি বাড়াতে হিন্দি বলতে হবে। কারন বাংলা সবাই না বুঝলেও হিন্দি বোঝে।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গবাসী কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ স্বপন সাহার কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি মূলত বাংলার অধ্যাপক ছিলাম। তাই বাংলার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রচুর। আজকাল দেখছি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে মেয়েরা বাংলা,হিন্দি এবং ইংরেজী একত্রে করে মিশ্র ভাষায় কথা বলছে। এটি খুবই বিরক্তিকর! যে কোন একটি ভাষায় তাদের কথা বলা উচিত। বাংলায় বলতে চাইলে পুরোটা বাংলায় বলতে হবে। হিন্দি বলতে চাইলে পুরোটা হিন্দিতে। ইংরেজীর ক্ষেত্রেও তাই। এখন যেভাবে চলছে এভাবে চলতে থাকলে বাংলা ভাষা হুমকির মুখে পড়বে। অনেক শব্দ হারিয়ে যাবে।’
কিভাবে এই মিশ্র আগ্রাসন থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করা যায়? প্রশ্নের উত্তরে বাংলার এই অধ্যাপক আরো বলেন,‘আমি তো একজন শিক্ষক,সেই দৃষ্টিকোন থেকে বলবো-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উচিত বাংলা ভাষা ব্যবহারে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করা। মা-মাসীরা যদি বাংলা বলতে পারে,তারা কেনো পারবে না? রবীন্দ্রনাথ,নজরুলের ভাষা বাংলা। বাংলার জন্য ১৯৫২ সালে মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এসব তাদের বোঝাতে হবে।’
এছাড়া অনেকে হিন্দির ভাষার বহু ব্যবহারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়গুলোতে বাধ্যতামূলক বাংলা শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ী করছেন। সেই সাথে বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসারে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। তবে আশার কথা হলো সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে উদাসীন ভাব কাটিয়ে উঠছেন। প্রথম থেকে দ্বদশ শ্রেনী পর্যন্ত বাংলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ইংরেজী মাধ্যমের স্কুল গুলোতে বাংলা ভাষায় পড়াশোনা করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রীর একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছিলো। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমাদের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে৷ একটি ছাত্রের মধ্যে গোড়া থেকে এই শ্রদ্ধার বোধ গড়ে তুলতে হবে৷ আগে মাতৃভাষা, তারপর অন্য কোনও ভাষা- রাজ্য সরকার এই আবেগটাকে গুরুত্ব দিতে চায়৷ যদি কেরালা, কর্নাটকে সে রাজ্যের ভাষা পড়া বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে, তাহলে এ রাজ্যে বাংলা পড়তে সমস্যা কোথায়? সরকারের ধারণা, ইংরেজি শিক্ষার নামে এ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল যাবতীয় পরিষেবা ও পরিকাঠামো ব্যবহার করে বাংলা ভাষাকেই অবহেলা করছে৷ এর ফলে মাতৃভাষা চর্চাই শুধু অবহেলিত হচ্ছে না, বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও সঙ্কটে পড়ছে৷ একটা জাতি তার শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে৷’
এখন দেখার বিষয়ে সরকারের এমন পদক্ষেপ বাস্তবে কতোটা কার্যকর হয়। কার্যকর হলে সেটা বাংলা ভাষা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। নতুবা কালের গহ্বওে হারিয়ে যাবে মধুর এই বাংলা ভাষা। [
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৪