যদিও শুরুতে আয়োজনের নামটি মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। প্রথমবার সেটির নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা বা বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। ১৯৮০’র দশকে স্বৈরাচারী শাসনের বিরূদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য এবং একইসঙ্গে শান্তির বিজয় ও অপশক্তির অবসান কামনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রবর্তন হয়।
জানা যায়, ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে চারুপীঠ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। যার উদ্যোক্তারা ঢাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনে ভূমিকা রাখেন এবং সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চারুকলায়ও মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরু হয়।
বর্তমানে ওই শোভাযাত্রা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।
এই মঙ্গল শোভাযাত্রার অন্যতম একটি বিশ্বাস হলো, “মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে অশুভকে তাড়িত করে একটি নতুন বছরের শুভাগমন ঘটানো।” মূলত এই বিশ্বাসের ভীতেই গড়ে ওঠে, মঙ্গল শোভাযাত্রা নামটি। এটাই যদি হয়, তাহলে বর্তমানে উদ্ভূত করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনমানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই। এই ভাইরাসের অপশক্তি কিংবা অশুভ ঠেকাতে সম্মিলিতভাবে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে কি বৈধ বলা যায়?
যদি বৈধ না-ই বলা যায়, তাহলে এটি কি আদৌ অপশক্তি বা অশুভের তাড়না থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো মন্ত্র হতে পারে?
উত্তর আপনার বিবেক বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬