somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গতকালকের ইফতার কাম আড্ডার গল্প আর চারপাশের কিছু ছবি....

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


( বেবাকতে আড্ডা পোষ্ট দিছে, আমি বাদ পড়ি কেন, আড্ডার গল্প আর আড্ডার চারপাশের দু একটা ফটু দিয়া পোষ্টায় ফেললাম আরকি:D )

ঘটনার শুরু বেশ কদিন আগে, অফিসের একটা ইফতার পার্টি আছিলো, ইফতারের মাঝ থেকেই একটা নাম্বার থেকে কল আসছিলো, রিসিভ করি নাই। বাসায় ঢোকার সময় আবার সেই নাম্বার, রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কেউ বললো আমি দেবদূত। প্রথমে ক্ষেইপা গেলাম, ফাইজলামি করে নাকি কেউ, আননোন নাম্বার থেকে ফুন দিয়া কয় দেবদূত X(( হটাৎ ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো আর শান্তির দেবদূতের সেই সব পোষ্ট.... চিৎকার দিয়ে উঠলাম আরে আপনি, শান্তির দেবদূত !!!! প্রস্তাবটা দেবদূতেরই ছিলো, ব্লগের অনেকের সাথেই দেখা করার ইচ্ছা আমারও অনেকদিনের। মুহিব ভাই কিংবা যীশু ভাই এর পোষ্ট ঘুরছিলো সবারই এই রোজায় এক হবার ইচ্ছা প্রবল। আইডিয়াটা পোষ্টে দেবার সাথেই রাতমজুর ভাই লুফে নিলেন। ক্যামেরাম্যান ভাই এর কথাও না বললেই নয়। আর সবার শেষে মনসুর ভাই এর একের পর এক রিপোষ্ট :) সব মিলিয়ে ব্যাটে বলে মিলে হয়ে গেলো গতকাল ছবির হাটে ইফতারীয় আড্ডা....

সকাল থেকেই প্রকৃতির মুখ গোমড়া ভাব যখন পরিস্কার আমার তখন জ্যামে পড়ে শোচনীয় অবস্থা। দেবদূত ভাই ফোনে জানায় রওনা হয়ে গেছে, রাতমজুর রওনা হয়ে গেছে আর আমি তখনও জ্যামে বসে ঘামছি, সময় মতো যেতে পারবো তো। তবে কপাল কাল থেকেই রাজপথে ট্রাফিকের ভূমিকায় আর্মীর আবির্ভাব আর ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তা একদম ফকফকা.... ছবির হাটে নেমেই চশমা পরা ভদ্রগোছের এক ভদ্রলোককে আরও অনেকের মাঝে দেখেই কেনো যেনো মনে হলো উনিই দেবদূত ;) হলোও তাই, উনিই সেলিব্রেটী শান্তির দেবদূত। পাশেই ক্যামেরাম্যান উইদআউট ক্যামেরা, আরও আছেন মুহীব, ছন্নছাড়ার পেন্সিল। হামা মানে হাসান মাহবুব রে দেইখা কেউ বিশ্বাস করে না এইটা হামা :D লেখা আর ফিগারে মারাত্মক অমিল ;) পারভেজ ভাই এলেন আর গেলে যতক্ষন থাকলেন ভালো লাগা রেখে গেলেন। দেবদূত রে নিয়া তখন আড্ডা জমে উঠেছে, ভাবীর হাত কি এমনি ভাঙ্গছে না বেচারারে মারতে গিয়া ভাঙ্গছে সেই নিয়া বিশাল আলুচনা। এর মাঝে যোগ দিলেন মাতব্বর, একরামুল হক শামীম, বৃত্তবন্দী, মেযবাহ যায়াদ, স্পর্শহীন কিছুদিন, দূর্ভাষী, সবার প্রিয়, বানিয়াবন্ধু আর নীল ভমরা। রাতমজুর ভাই এর টাকা কালেকশনের আগে আগে ভেবে ভেবে বলি এসে হাজির আর তার একটু আগে যোগ দিলেন বাংলাদেশ সাইকেল ভ্রমনকারী, চাঁচামিয়া আর কালপুরুষ দা। শামসু নানা মানে শামসীর ভাই ইফতারের একদম আগে আগে অন্ধ দাঁড়কাকরে নিয়া হাজির। আইসাই দেবদূতের লগে কুলাকুলি কইরা নিলো ( দেবদূতের লগে কুলাকুলি কইরাও যদি বিয়ার ভাগ্য খুলে ;) ) আর হাজার হাজার রিপোষ্ট দেওয়া মনসুর ভাই আইসাই সবার তোপের মুখে, হোষ্ট যদি ঘোষ্ট হইয়া যায় তো এরাম হইতেই পারে :D

ইফাতার মাখানো থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত শামীম ভাইএর প্রতিভা ছিলো মারাত্মক পর্যায়ে। কলা নিয়া মনসুর ভাইয়ের ফটু তো বৃত্ত ফাঁস কইরা দিছে আগেই ;) আফটার ইফতার চা পর্ব, এইখানে ছোট ছোট গ্রুপে নানা আলোচনা। জানা গেলো দেবদূত ভাই শুধু বউ না শালী এবং শ্বাশুড়ীর অত্যাচারে জর্জরিত :| এই পর্বে আবার শামসু নানার ব্যাপক উৎসাহ আর আগ্রহ দেখা গেলো। কালপূরুষদা ভেবে ভেবে বলির সাথেই বেশী গল্প করলেন আর আমাদের সবাইকে আফটার ঈদ দাওয়াত দিলেন উনার বাসার আড্ডায়। চা খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আশেপাশের পিচ্চিদের ভীড় লেগে গেলো ছবি তোলার আর আমার আর বৃত্তের ক্যামেরায় ওদের অনেক ছবি উঠে গেলো..... পিচ্চিদের কয়েকটা ছবি শেয়ার করি...









পিচ্চিগুলারে দেইখা এতো ভালো লাগছিলো, এতো এতো কষ্টের মাঝেও ওদের মুখে কি প্রানোচ্ছল হাসি খেলা করে, সামান্য একটা কাগজ, ফেলে দেওয়া ব্যানারেও ওরা কতো আনন্দ খুঁজে নেয়....

অত:পর আলবিদা, যে যার মতো গ্রুপ বেঁধে চলে গেলো, পড়ে রইলো কিছু পানির বোতল, কাগজের টুকরো, জ্যুসের প্যাকেট, কলার খোঁসা আর রামুদার পকেটে তিনশো দশ টাকা ;) পরের আড্ডায় এই টাকা আদায় করে নিতে ভুইলেন না কেউ....

ভার্চুয়াল সম্পর্কের আরেক রূপ দেখে অসম্ভব এক ভালো লাগা নিয়ে রিকশা করে বাসার দিকে রওনা হলাম.....
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৩
৪৩টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×