শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী, তাই বলে কি উনি সমালোচনা বা রসিকতার উর্ধ্বে? খালেদাজিয়া আড়াইবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাই বলে উনাকে নিয়ে ট্রল করা বা রসিকতা করা যাবে না এই নিয়ম কে তৈরী করেছে ভাই?
আপনারা পশ্চিম থেকে ফ্যাশন/ফুড/টেকনোলজি/সিনেমা সব নেন, তাহলে এদের থেকে একটু সেন্স অব হিউমার নিলে দোষ কি? এদের মতো সমালোচনা সহ্য করার মন মানষিকতা তৈরী করতে পারেন না কেনো? বাংলাদেশকে প্যারিস লন্ডনের সাথে তুলনা করেন, একবার একটু খুঁজ নিয়েন প্যারিসের প্রেসিডেন্টকে তার সমালোচকেরা কিভাবে দিগম্বর করে৷
ট্রেভর নোহা'র সু ভাল্লাগে...সে ট্রাম্পকে খুব পঁচায়, সেটা খুব ভালো ইনজয় করেন। কিন্তু বাংলাদেশের কোন রাজনীতিবিদকে নিয়ে একটু রসিকতা করলেই আপনাদের মুনাফেকি চেহারা দেখা যায় "না না, উনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, উনাকে নিয়ে রসিকতা করা ঠিক হচ্ছেনা"।
পশ্চিমে শুধু রাজনীতিবিদ না, তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সমালোচনা/মিম/ট্রল থেকে রেহাই দেওয়া হয়না, এজন্য কাউকে জেলে যেতে হয়না অথবা তাকে কেউ বলেনা যে উনি একজন মুরব্বি বা সে একটা বাচ্চা একে নিয়ে ট্রল করো না৷
বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে বা সংসদে দেখবেন শেখ হাসিনা যথেষ্ট রসিকতা করেন৷ কিন্তু আপনারা তেলবাজ আমলা সুবিধাভোগী পুলিশ আর চালচোর নেতা, আপনাদের কেনো উনার মতো একটু সেন্স অব হিউমার নাই?
বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় "ভাত দে হারামজাদা" লিখা হয়েছিল, সেজন্য রফিক আজাদ'কে জেলে যেতে হয়নি, আজ কেনো সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বাসায় ডিবি/র্যাব হাজির হয়?
এই বিষয়ে একমত যে ট্রল করার একটা লিমিট থাকা দরকার। সমালোচনার নামে যারা গুজব ছড়ায় তাদেরকে দমন করা উচিত, ট্রল যাতে সুস্থ হয় সমালোচনা যেনো গঠনমূলক হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর আমাদেরও সুস্থ ট্রলকে গ্রহণ করার মানষিকতা তৈরী করা উচিত।