মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে অশ্লীল উপাদানের নামকরণে "XXX" প্রতীক ব্যবহৃত হয়।
পর্নোগ্রাফি (সংক্ষেপে "পর্ন" বা "পর্নো") (ইংরেজি: Pornography) যৌন আবেগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌনসংক্রান্ত বিষয়বস্তুর প্রতিকৃতি অঙ্কন বা পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা। পর্নোগ্রাফি শব্দটি গ্রিক শব্দ "পরনোগ্রাফিয়া" থেকে নেওয়া হয়েছে। পর্নোগ্রাফি বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে উপস্থাপন করা হতে পারে, এর মধ্যে অর্ন্তভূক্ত রয়েছে, বই, সাময়িকী, পোষ্টকার্ড, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, অঙ্কন, পেইন্টিং, অ্যানিমেশন, সাউন্ড রেকর্ডিং, চলচ্চিত্র, ভিডিও এবং ভিডিও গেম।[১]
বিগত কয়েক দশকে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন তথা ভোগ্যপণ্য হিসেবে ভোগকে কেন্দ্র করে একটি বিরাট শিল্প গড়ে উঠেছে। মূলত ভিসিআর, ডিভিডি ও ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার এবং যৌন বিষয়বস্তুর প্রদর্শনে সমাজের অধিকতর উদার মনোভাব এই শিল্প গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ। পর্নোগ্রাফির অভিনেতাদের পর্নোগ্রাফিক অভিনেতা (বা অভিনেত্রী) বলা হয়ে থাকে। তারা সাধারণত পর্ন স্টার নামে পরিচিত হয়। মূলধারার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুলনায় এদের অভিনয়ের গুণমানও সাধারণত পৃথক হয়। শখের পর্নোগ্রাফি এই শিল্পের জনপ্রিয় একটি ধারা এবং তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরিত হয়ে থাকে।
পর্নোগ্রাফির মাধ্যম একাধিক হতে পারে: মুদ্রিত মাঙ্গা,সাহিত্য, ফটোগ্রাফ, ভাস্কর্য, অঙ্কন, চিত্রকলা, অ্যানিমেশন, শব্দ রেকর্ডিং, পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র, ভিডিও, অথবা ভিডিও গেম। অবশ্য সরাসরি দর্শকদের সামনে যৌন ক্রিয়াকলাপ আচরিত হলে তাকে সংজ্ঞা অনুসারে পর্নোগ্রাফি বলা হয় না। কারণ পর্নোগ্রাফি বলতে উক্ত আচরণটিকে বোঝায় না; বোঝায় উক্ত আচরণের বর্ণনাকে। এই কারণে সেক্স শো ও স্ট্রিপটিজ জাতীয় প্রদর্শনীকে পর্নোগ্রাফির পর্যায়ভুক্ত করা হয় না।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দেশভেদে পর্নোগ্রাফি তথা শিল্পে নগ্নতার প্রদর্শনী ও ফটোগ্রাফির প্রতি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও আইনগত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
সাম্প্রতিককালে পর্নোগ্রাফির আসক্তি সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে।[২]
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬