somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের ভূস্বর্গ নাফাখুমের পথে পথে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নাফাখুম। ভ্রমন পিয়াসু ও এ্যাডভেঞ্চার প্রেমিদের জন্য বান্দরবনের গহীন অরণ্যে লুকিয়ে থাকা এক গুপ্তধন! আমাদের এবারের ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্য সেই গুপ্তধনের খোজে নৈসর্গের মাঝে হারিয়ে যাওয়া।
এখানে যাওয়ার ভ্রমন গাইড বা খরচ সম্পর্কে আমি আর তেমন কিছু বলতে চাই না। ইন্টারনেটে এ সম্পর্কে অনেক লেখা রয়েছে, যাস্ট সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। আমি শুধু আমাদের এবারের ভ্রমনের গল্পটা শেয়ার করতে চাই।
পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারনে বান্দরবন পৌছাতে অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষমেশ ভালোভাবেই আমরা বান্দরবন পৌছাই। এবার নাফাখুম যাওয়ার পালা। তবে মুখে যত সহজেই বলে ফেললাম বাস্তবে সেখানে যাওয়া মোটেও ততটা সহজ নয়। নাফাখুম যেতে হলে আগে যেতে হবে থানচি, থানচির পর আর সড়ক পথ নেই।এরপর নৌকা করে তিন্দু তারপর রেমাক্রি। রেমাক্রিতে গিয়ে নৌকার পথও শেষ। তারপর কেবলি গহীন পাহাড়ের মাঝে ট্রেকিং করা। সে এক রোমাঞ্চকর যাত্রা।
যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক। কুয়াশা ঢাকা বান্দরবন শহর হতে খুব ভোরে থানচির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেই আমরা। অগ্রহায়ণের মৃদু শীতকে সঙ্গী করে পাহাড়ের উচুনিচু পথের বুকে দাগ কেটে চাঁন্দের গাড়ি করে ছুটে চলছি ভূসর্গের খোঁজে। চলতে চলতে শহর পেরিয়ে কিছুদূর যেতেই দেখা হয়ে যায় প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট শৈল প্রাপাত ঝর্ণার সাথে। অবশ্য থানচিতে যাওয়ার পথে আরো রয়েছে চিম্বুক পাহাড় এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত অপরূপা নীলগিরি।
শৈল প্রপাতে বহমান হিমশীতল পানি এবং তার চারপাশের প্রাকৃতিক মনরোম দৃশ্য দেখে ক্ষনিকের জন্য ভুলে যাই বাহ্যিক জীবনটাকে। স্রষ্টার এ অপরূপ সৃষ্টিতে এসে ডুব দেই কল্পনার রাজ্যে। না, এখানেই শেষ নয় এতো সবে শুরু মাত্র। এবার কল্পনার রাজ্যে হতে বের হতে হবে। সামনে অপেক্ষা করছে আরো স্বর্গীয় সম্রাজ্ঞ। শৈল প্রপাতে কিছুক্ষন অবস্থানের পর যথারীতি আবারো গাড়িতে এসে বসি, পরবর্তী উদ্দ্যেশ্য চিম্বুক।

পাহাড়ের উপরে রাস্তা, চলন্ত গাড়ি হতে ক্যাপচার করা।

এবার শুভ্র সাদা মেঘের কোল চিরে ছুটে চলছে গাড়ি। মেঘের মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে ফিরে যাই ছেলে বেলায়। যখন বাদলা দিনের ছড়া পড়তাম আর মেঘেদের নিয়ে কত ভাবে ভাবতাম, মনে হত ইস যদি মেঘগুলোকে হাতের মুঠোয় বন্ধি করতে পারতাম, যদি মেঘগুলোকে একটু ছুঁয়ে দিতে পারতাম! ছেলে বেলার সেই অপূর্ণ ইচ্ছেটা পূর্ণতা পেল বান্দরবনে এসে।
ধীরে ধীরে আমাদের গাড়ি সাপের মত আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে পাহাড়ের আরো উপরে উঠছে। উপর থেকে নিচের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে মনে হয়, নাম না জানা হাজারো প্রজাতির বৃক্ষরাজী পরম মমতা দিয়ে সবুজ গালিচায় ঢেকে রেখেছে নিচের পাহাড়গুলোকে। গাড়ির গতি, রাস্তার ঢাল এবং নিচে তাকিয়ে দেখা, সব মিলিয়ে মাঝেমধ্যে স্নায়ুতে হালকা চাপ অনুভূত হচ্ছিল, আর এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক ।
উপরে উঠতে উঠতে একটা সময় মেঘেদের সীমানা পেরিয়ে আমরা পৌছে যাই ২৬০০ ফিট উচ্চতায় বাংলাদেশের দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড়ে।

বাংলাদেশের দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড় হতে।

গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে উঠে যাই চিম্বুকের সব্বর্চ চূড়ায়। এখান থেকে নিচে তাকিয়ে দেখা যায় সাদা মেঘের মরুভুমি। অপলক নয়নে তাকিয়ে রই কিছুক্ষন। মনে হয় এমন বিরতিহীন দৃষ্টিতে কোন প্রেমিক তার প্রিয়তমাকেও কভু দেখেনি। আসলে এমন অপরূপ দৃশ্য দেখে চোখ ফেরানোর কোন উপায় থাকে না। তবুও ফিরতে হবে, যেতে হবে মূল গন্তব্যে। চিম্বুকের চূড়া হতে নেমে স্থানীয় বাজার হতে সম্পূর্ন ফরমালিন মুক্ত গাছ পাকা পেঁপে খেয়ে আবার পথচলা করি। চিম্বুক হতে যখন রওনা দেই ততক্ষণে রোদ উঠে গিয়েছে। এবার চলতি পথে উপর থেকে নিচে মেঘেদের দেখে রবিন্দ্রনাথের সেই দুটি'লাইন মনে পরে যায়,
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, বাদল গেছে টুটি।
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি।

মেঘেদের গায়ে জলন্ত রোদের পরশ, আহ্ সে এক অন্যরকম মন মাতানো দৃশ্য! এমন দৃশ্য দেখতে দেখতে এবং সাপের মত পাহাড়ি উচুনিচু আঁকাবাকা পথ বেয়ে চলতে চলতে পৌছে যাই সৌন্দর্য্যের আরেক স্বর্গরাজ্য নীলগিরিতে। নিচে তাকিয়ে সবুজ গিরি আর মাথার উপরে উন্মুক্ত নীল অম্বর। সবুজের চাদরে মুরে থাকা পাহাড়ের গায়ে সূর্য্যের কিরন পরে সৃষ্টি করেছে এক অপরূপ আভা, সেই সাথে মেঘ রৌদ্রের লুকোচুরি খেলা। এতসব দেখতে দেখতে বেশ ক্ষানিকটা সময় পেরিয়ে যায় সৌন্দর্য্যের স্বর্গরাজ্য নীলিগিরিতে।

নীলিগিরি হতে তোলা ছবিতে দূরের পাহাড় এবং মেঘ।

ইতিমধ্যে সূর্য্য আমাদের মাথার উপরে অবস্থান নিয়েছে। এখান থেকে মাত্র একশত টাকায় একফনা কলা কিনে আবারো চরে বসি আমাদের ভাড়া করা চাঁন্দের গাড়িতে। পাহাড়ের গা বেয়ে এবার আমাদের গাড়ি ধীরে ধীরে নিচে নামছে। আমরা দূরে তাকিয়ে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হতে হতে একটা সময় পৌছে যাই থানছি। এবার দুপুরের খাবার পালা। কাছেই একটা হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে সেখান থেকেই আরো একটা টিমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গাইড নিয়ে নেই। গাইড একটা কাগজে আমাদের নাম ঠিকানা এবং জরুরি প্রয়োজনে গার্ডিয়ানের মোবাইল নাম্বার লিখে এনআইডির ফটোকপি সহ থানচি থানায় জমা দেয়। থানায় কর্মরত ডিউটি অফিসার তা অনুমোদন করে থানা রেজিস্টারে পুনরায় আমাদের নাম ঠিকানা লিখে এবং গ্রুপ ছবি তুলে, দু-তিন মিনিট ব্রিফ করে বিদায় দেয়। এরপর সাঙ্গু নদীর ঘাটে বিজিবি ক্যাম্পে এন্ট্রি করে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় রওনা দেই রেমাক্রির উদ্দ্যেশ্যে। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে নৌকায় উঠতে উঠতে ঠিক বিকেল চারটা বেজে যায়। আসলে এতোকিছু সবই আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমাদের ঘুরিয়ে এনে আবার বিজিবির নিকট অক্ষত অবস্থায় বুঝিয়ে দেওয়ার সম্পূর্ন দায়িত্ব গাইডের উপর। এর কোন রকম ব্যত্যয় ঘটলে গাইডকে ধরা হবে। এজন্য পথে গাইড আমাদের সব্বর্চ টেক কেয়ারটাই করেছে।
আসমান ছোঁয়া পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে বয়েচলা খরস্রোতা সাঙ্গু নদীর বুকচিরে বেশ গতিতেই ছুটে চলছে আমাদের নৌকা। সাঙ্গুর দু'পাড়ের দৃশ্য দেখে মনেহয়, কোন শিল্পি তার নিপুন হাতের ছোঁয়ায় সহস্র বছর কাজ করে তৈরি করেছে এই নিখুদ কারুকর্ম। অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখতে দেখতে ঘন্টাখানিক পর পৌছাই তিন্দু বাজারে। সেখান থেকে আরেকটু সামনে এগিয়ে বড় পাথর এলাকা শুরু। সাঙ্গু নদীর সচ্ছ পানির মধ্যে দৈত্যের মত দাড়িয়ে রয়েছে একেকটা বিশাল আকৃতির বুনো পাথর। মনে হচ্ছে রূপকথার কোন রাজ্যে চলে এসেছি। এমন রাজ্য থেকে আর ফিরে আসতে ইচ্ছে হয় না। প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্য অকৃপনভাবেই এখানে বিলিয়ে দিয়েছে৷ খরস্রোতা সাঙ্গুর বুক অগোছালো ভাবে দাড়িয়ে থাকা এসব বড় বড় পাথরকে পাশ কাটিয়ে আমরা সম্মুখে এগিয়ে যাচ্ছি।

একটা বড় পাথর।

বড় পাথরের এলাকার শেষ হতেই অন্ধাকার নামতে শুরু করলো। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অন্ধকারে ঢেকে গেল সবকিছু, কিন্তু রেমাক্রি পৌছাতে আমাদের এখনো এক ঘন্টা বাকি। অন্ধকারের মধ্যে গহীন অরণ্যে দাড়িয়ে থাকা নির্জন পাহাড়কে দ্বিখণ্ডিত করে বহমান সাঙ্গুর পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। পুরো টিম নিশ্চুপ, মনে কিছুটা সঙ্কা। এমন অবস্থায় টিমের আরেকজন সতীর্থকে সঙ্গে নিয়ে এলোমেলো লিরিকে শুরু করে দিলাম ফোক। উদ্দ্যেশ্য, টিমকে চাঙ্গা রাখা এবং সাহস যোগানো। এভাবে চলতে চলতে একটা সময় রেমাক্রিতে এসে পৌছালাম। আর সামনে যাওয়া সম্ভব না, আজকের মত এখানেই ঘাটি গাড়তে হবে। গিয়ে উঠলাম স্থানীয়দের বাড়ির সাথে তৈরি এক কটেজে।

কটেজ।

কটেজে উঠে প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নেই। পাহাড়ের উপর নান্দনিক ভাবে তৈরি কাঠের দ্বিতল কটেজ। প্লান ছিলো রাতে ক্যাম্প ফায়ার করবো, কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে চা চক্রে আড্ডা দিতে দিতে সে কথা ভুলেই গেলাম। চেয়ারম্যান সাহেবের আন্তরিকতার আমরা মুগ্ধ। আমারদের একজন টিম মেম্বারের মনে এখানকার নিরাপত্তা নিয়ে খানিকটা সঙ্কা ছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলার পর তা সম্পূর্ণ রূপে কেটে গেল। তিনি আমাদের শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলো। আড্ডা শেষ করতে করতে বেশ রাত হয়ে গেল। এবার খাওয়া দাওয়া সেরে আগামীদিনের প্লান ঠিক করতে বসে পরলাম।স্থানীয়দের মুখে নাফাখুম ট্রেকিংয়ে পরিশ্রমের কথা শুনে আমাদের টিমের একজন এবং সঙ্গে আসা অন্য টিমের প্রত্যেক সদস্যই নাফাখুম যেতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা পরের দিন কটেজের নিচে অবস্থিত রেমাক্রি ফলস্এ গোসল করার সিদ্ধান্ত নেয়। সংখ্যা কমে এখন নাফাখুম যেতে ইচ্ছুক আমরা মাত্র তিনজন। তবে আমরা দমে যাওয়ার পাত্র নই, যত যাই হোক আমরা তিন জন টার্গেট স্পর্শ করতে চাই। সে মোতাবেক সবকিছু প্লানিং করে আমরা কাঠের চৌকির ঢালাও বিছানায় শুয়ে পরলাম।
পরদিন প্লান মোতাবেক আমরা তিনজন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেক উঠি। টয়লেট, ব্রাশ এবং নাস্তা শেষ করে ঠিক ভোর ছয়টায় আমরা কটেজ হতে বের হই। হেমান্ত শেষার্ধের ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতকে সঙ্গী করে শুরু হয় বাংলার স্বর্গরাজ্য বান্দরবনের সর্ব গহীনে রোমাঞ্চকর এক যাত্রা। পাহাড় হতে নেমে প্রথমেই সাঙ্গু নদীর হাটু সমান পানি ডিঙ্গিয়ে নাফাখুমের ঝিরিপথে গিয়ে উঠি। এ পথেই শুরু হয় আমাদের ট্রেকিং। কখনো পাহাড়ের গা বেয়ে আবার কখনো নদীর মধ্যে দিয়ে হাটু সমান পানি ডিঙ্গিয়ে আমরা ট্রেকিং করে চলছি। চলতি পথে কৃতিমতার বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই। যা দেখছি তার সবই প্রাকৃতিক। এ যেন স্বর্গের মোড়াল। চারিদিকে সুনসান নিরাবতা। সরু নদীর দু'পাশে ঘন পাহাড়ি জঙ্গল। কোথাও কোথাও ঝোপের মুখে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে গজিয়ে আছে মাকড়সার জাল। বাঁশঝাড়, ঘাসের মত পাহাড়ের বুকে গজে ওঠা পাহাড়ি কলা গাছ। এছারাও নাম না জানা হাজারো প্রজাতির বৃক্ষরাজি। পথে বিভিন্ন যায়গায় প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট অসংখ্য অর্ধমৃত ছোট ছোট ঝর্ণা, যেগুলো শ্রাবনে পূর্ণ্য যৌবন ফিরে পায়। দূর পর্বত হতে নেমে আসা পাহাড়ি নদীর স্রোত ছোট বড় ক্ষুদ্র মাঝারি বিভিন্ন পাথরের বাধা ডিঙ্গিয়ে ছুটে চলছে অজানা গন্তব্যে।

পাথরের বাধা ডিঙ্গিয়ে ছুটে চলছে নদীর স্রোত।

নদীর বুকে পরে থাকা শতবর্ষী গাছের গুঁড়ি, এগুলো হয়তো স্রতে ভেসে এসেছে কিংবা ঝড়ে ভেঙ্গে পরেছে। সব মিলিয়ে প্রকৃতি যেন এখানে মায়াজাল বিছিয়ে রেখেছে যেখানে এক মূহূর্তের জন্যও চোখ ফেরানো অসম্ভব। মায়ার এ রাজ্যে চলতে চলতে একটা সময় কানে ভেসে আসে পানি প্রবাহের কলকল শব্দ। আরেকটু সামনে এগুতেই চোখের সামনে দৃশ্যমান হয় কাঙ্খিত নাফাখুম জলপ্রাপাত, যাকে অনেকেই বাংলাদেশের নায়াগ্রা বলে ডাকে।

নাফাখুম জলপ্রাপাত।

মনে হতে থাকে কোন মায়াবিনী যেন দূর হতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে, সে যেন হাজার বছর ধরে অপেক্ষমান। কোন যন্ত্র নেই, নেই কোন যান্ত্রিকতা। চারিদিকে সুনসান নিরাবতা। এই নিরাবতা প্রাচীর ভেদ করে প্রায় ত্রিশ ফুট উপর থেকে গড়িয়ে পরা পানির ঝিরঝির শব্দ আর গুড়ি গুড়ি জলকনা উড়ে সৃষ্ট ঘন কুয়াশার আভা। সব মিলিয়ে প্রকৃতিতে উজাড় দেওয়া স্রষ্টার এক অনন্য সৃষ্টি। ইচ্ছে করে অনন্তকাল তাকিয়ে থাকি স্রষ্টার এ অপরূপ সৃষ্টির দিকে। জীবনের মনোমুগ্ধকর একটা ঘন্টা কাটিয়ে দেই নাফাখুমের সাথে।
এবার বাই বাই জানানোর পালা। খোদা হাফেজ নাফাখুম
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×