অবাক হয়ে যাই যখন শুনি সংসদ সদস্যরা সংসদে দাড়িয়ে বলে, ধর্ষকদের বন্দুকযুদ্ধে মারা উচিত! হ্যা জানি দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আছে এবং চলছে, তাই বলে একজন আইনপ্রনেতাই যদি বিচারবহির্ভুত হত্যা সমর্থন করেন, সেটা খুন করাকে শুধু প্রশ্রয় দেওয়া না, এই ফাঁদে ফেদে নিরাপরাধীকে মারবার জন্য উৎসাহ দেওয়ারও সামিল।
কিছুদিন আগে ফেসবুকেই একটা জোকস পড়ছিলাম। দুজন তরুন-তরুণী হুজুরের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, হুজুর বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে একই ঘরে ঘুমানো কি পাপ?
হুজুর বললো, বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে একই ঘরে ঘুমাইলেতো পাপ নাই, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তোরাতো ঘুমাস না।
এখানে প্রকৃত ধর্ষককে ফায়ার স্কোয়াডে দিলে তো সমস্যা নাই! সমস্যা হল, যারা এগুলো এক্সিকিউট করবে তারা সবাই অতটা নিষ্ঠাবান নয়। এরফলে কিলার ভাড়া করার চেয়ে, কেউ চাইলে অর্থ আর ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে একটা গল্প সাজিয়ে সহজেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পারবে।
এমপি সাহেবরা কি জানেন না, বর্তমানে যত ধর্ষন মামলা হয় তার অনেক গুলোই হয় মিথ্যা মামলা! যা মূলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়। এমনও আছে, জমি সংক্রান্ত সমস্যায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এই ধর্ষণকে প্রুভ করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে সেক্স করে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও ঘটছে !
অন্যদিকে বাস্তবতা হল, যারা ধর্ষিত হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই সম্মান এবং নেতিবাচক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কথা ভেবে মামলাই করে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮