শরীয়ত সরকার বয়াতি নামের একজন বাউল শিল্পী দেশের আলেম সমাজের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বললেন, "গান বাজনা যে হারাম না সেটা উনি প্রমাণ করে দিবেন। পারলে কেউ ওনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক।"
আশ্চর্যের বিষয়, দেশে এতো বড় বড় আলেম,ওলামা, গাউস, কুতুব থাকতে তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার কেউ সাহস দেখালো না। উল্টো লোকটার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে জেলে ঢুকালো। জ্ঞানের যুদ্ধ জ্ঞান দিয়ে না করে মূর্খের দল অস্ত্র হিসাবে আইনকে তুলে নিলো যুদ্ধ জেতার ঢাল হিসাবে।
বলতে বাধ্য হচ্ছি, সামান্য একজন বয়াতির জ্ঞানের কাছে,তার চ্যালেঞ্জের কাছে, নামের পিছনে এতো এতো টাইটেল লাগানো আলেমগন যদি হেরে যান,ভয় পান তাহলে তাদেরকে মানুষ চোর, ছ্যাবলা, ফাওখোর, টাউট, বাটপার ছাড়া আর কি বলবে?
বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে এইসব বাটপারদের পেছনে দাড়িয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হয় কিনা সেই বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
ধর্মের নামে সকল আয়, রোজগার,টাউট বাটপারি বন্ধ করা হোক। আল্লাহ বলেছেন,"তোমরা আমার কুরআন কে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করো না," অথচ এরা সেই কুরআন বিক্রি করে আগুন গিলে গিলে সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ফতুয়া বাজি শুধু দরিদ্র অসহায় নিরীহ মানুষের জন্য, ধনী ও ক্ষমতাবানদের কাছে গেলেই ফতুয়া ভয়ে পালিয়ে যায়।
দেশের প্রকৃত ঈমান আমল ওয়ালা মাওলানা যারা আছেন তারা এদের চাপে, ক্ষমতার দাপটের কারণে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন বলেই এরা সুযোগটা পেয়ে গেছে।
এরা দাড়ি টুপি লাগিয়ে ইসলামের নামে দিনরাত গীবতে লিপ্ত। নিজেরা খারাপ কাজ করছে আবার সহজ সরল মানুষগুলিকে ও গোমরা করছে। এদের কাছ থেকে বেচে থাকাই হচ্ছে, বড় ইবাদতের কাজ
পুরো পেষ্ট আসছে ....।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩১