সঞ্চয় পত্রের সুদের হার কমানোর অর্থ হচ্ছে, মানুষকে সঞ্চয়ে নিরুৎসাহিত করে সঞ্চয়পত্র কেনা টাকাগুলোকে বাজারে নিয়ে আসা । ইতিমধ্যে নানা অকার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাধারণ মানুষকে সঞ্চয়পত্র কেনা থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে । অনেক টাকা ইতিমধ্যে বের হয়ে গেছে । সেই অর্থগুলো যে বিদেশে পাচার করা হয়নি তা কে বলবে ? সরকারের ভেতরে থেকেই দেশেকে তলাশূন্য ঝুড়িতে পরিণত করছে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও আমলাদের একটা অংশ।
সঞ্চয়পত্রে যে শুধু সাধারণ মানুষের উপকৃত হয় তা নয় । সরকার নানা বিপদের সময় সঞ্চয়পত্র বিক্রির টাকা কাজে লাগায়। তাই, মানুষ সঞ্চয়পত্র না কিনলে সরকারকে বাধ্য হয়ে অন্য দেশ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে । অন্যদিকে, জনগণ সঞ্চয়পত্র না কেনায় সেই অর্থ নানা হাত ঘুরে চলে যাবে অর্থ পাচারকারীদেরই হাতে । তখন আমরা সঞ্চয়হীন,ঋণে জর্জরিত আহাম্মক এক জাতীতে পরিণত হবো । ধারণা করছি, খুব শ্রীগ্রই দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে । টাকার মান কমে যাবে ।
বলতে বাধ্য হচ্ছি, প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা ফুটে উঠছে । আমলা শ্রেণীকে গাড়ি, বাড়ি, মোটা বেতনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে জনগণকে আরো কঠিন অবস্থার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে । বিশেষ করে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর কাছে অজানা কোন কারণে সরকার জিম্মি হয়ে পরছে । অথবা তাদের উপর সরকারের কোন নিযন্ত্রন নেই । ইউরোপ আমেরিকা থেকেও উৎপাদন,আমদানি খরচ কম হওয়ার পরে ও যদি বাজারে দ্রব্য মূল্যের দাম ইউরোপ আমেরিকা থেকে বেশি হয় তখন তাকে কি বলা হবে ? মোট কথা হচ্ছে কারো উপর ই সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই । যে যার ইচ্ছে মতো চলছে। যদি থাকতো তাহলে এখনো বাজারে পেয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো না ।