somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদক আর যৌন ওষুধ ধর্ষণের অন্যতম প্রধান কারণ!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির নাম মজনু বলে জানিয়েছে র‍্যাব। - প্রথম আলো।

আপডেট :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বা ‘ক্রমিক ধর্ষক’। ভিক্ষুক বা প্রতিবন্ধী নারীরা ছিলেন তাঁর মূল শিকার । মজনুকে গ্রেপ্তার করার পর আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া মজনু চুরি-ছিনতাইও করতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

অন্ধকার আর আলোর গল্প -- পোস্ট করেছিলাম ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭।
লেখার সময় রমিজের চেহারা ভেবেছিলাম মজনু নামের এই পাষন্ডের মত। খোঁজ নিয়ে দেখুন এরা ফুটপাতে বিক্রি করা যৌন ওষুধ খেয়ে থাকে। আমার ধারণা এদের মাধ্যমে আরো অনেক ধর্ষককে কিংবা যৌন নিপীড়িক কে খুঁজে পাওয়া যাবে। আফিম , মাদক , যৌন ওষুধ --- নিয়ন্ত্রণে না আসলে এর প্রভাব আরো বাড়বে। আমি অনেক অনেক জায়গায় লিখেছি মাদক আর যৌন ওষুধ ধর্ষণের প্রধান কারণ হিসেবে।

একটা বিশ্লেষণ দেখে আসি :
বিখ্যাত নিউরোলোজিস্ট এবং সাইকিয়াট্রিস্ট ফ্রয়েড বলেছিলেন, যাকে আমরা মন বলি সেটি মূলত তিনটি সত্ত্বার সমন্বয়ে গঠিত – ইড, ইগো এবং সুপার ইগো।
অর্থাৎ মানুষের মন এই তিনটি গাঠনিক উপাদানে গঠিত -
“ইড” মূলত মানুষের জৈবিক সত্ত্বা। মানব মনের স্বভাবজাত চাহিদা পূরণ করে ইড। “ইড” মূলত মানুষের জৈবিক সত্ত্বা।মানুষের মনের স্বভাবজাত চাহিদা পূরণ করে ইড।মানে মনে যা ইচ্ছে করে সেটার অবস্থা। "ইড" এমনভাবে মানুষকে প্ররোচিত করে যে, প্ররোচনায় মানুষ যে কোন অসামাজিক অপরাধ থেকে শুরু করে, খুন-ধর্ষণ পর্যন্ত করতে দ্বিধাবোধ করে না।
মূলতঃ "ইড" হচ্ছে মানুষের ভেতরকার সুপ্ত পশু।
আর সুপার ইগো হচ্ছে মানুষের বিবেক।" ইড" যখন মানুষকে প্ররোচিত করে তখন সুপার ইগো একে বাধা দেয়।এই বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নির্ভর করে ব্যক্তির নৈতিক, পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক , সামাজিক শিক্ষা এবং মুল্যবোধের উপর।
অন্যদিকে ইগো হচ্ছে এই দুই অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টিকারী অবস্থা।


উদাহরণ দেখে নিই :
মেয়েটি সুন্দরী, অতএব ওকে ইভটিজিং বা রেইপ করো (ইড)
রেইপ, ইভটিজিং অপরাধ, অতএব করা যাবে না (সুপার ইগো)
মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করো, সম্ভব হলে প্রেমের প্রস্তাব দাও, মন পাওয়ার চেষ্টা করো, মন পেলে শরীর কোন এক সময় পাবে (ইগো)
ইড, ইগো এবং সুপার ইগো র আপেক্ষিক তীব্রতা স্থিতিশীল নয়, বরং পারিপার্শিকতার সাথে পরিবর্তনশীল।

একজন মাদকাসক্ত প্রথম যে দিন মাদক সেবন করে, তখন “সুপার ইগো”র জন্য তার মধ্যে কিন্তু প্রচন্ড অনুশোচনাবোধ হয়। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে মাদক সেবন তার এই অনুশোচনা র তীব্রতা কমিয়ে দেয়। তখন ইগো তার সাম্যাবস্থা ধরে রাখতে পারে না। সুপার ইগো বিলীন হয় ইডের কাছে। পশুত্বের জয় হয়।


এক পক্ষ পোশাক কে দায়ী করে আবার আরেক পক্ষ সেই মন্তব্যের পেছনে লাগে। ব্যাপারটা এমন যে সেই ধারণা ভুল প্রমান করলেই ধর্ষণ কমে যাবে। ঢাকার রাস্তায় মজনুর মত হাজার হাজার মানুষ ঘুরে বেড়ায়। একটু খেয়াল করলেই আপনার পাশের ফুটওভার ব্রিজের ওপরেও দেখতে পাবেন। একদিন এদের খপ্পরে পড়বে আপনারদের / আমাদের পরিচিত জন। অনেক দেরি হয়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সময় চলে যায়নি।
আচ্ছা , রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এই সব পশুদের কি করা যেতে পারে ? ৯৯৯ কল করে কি কাজ হবে ? নাকি নিকটস্থ থানায় জানাতে হবে ?
কিছু কি করার আছে ? নাকি নেই ?




------------------

লোকাল বাসের পিছে বসে রমিজ সিগারেট টানছে । সামনের সিটে বসে দুই মহিলা , কোলে বাচ্চা। খক করে এক দলা থুথু ফেললো জানলা দিয়ে.... শালা , কুত্তা ! কাকে গালি দিল কে জানে। বাচ্চা তার দিকে চেয়ে হাসে , মায়ের কাঁধে ভর দিয়ে তাকায় । কথা বলা শিখেনি। রমিজ সিগারেটের ধোঁয়া ফুস করে ছেড়ে দিল বাচ্চাটির মুখে।বাচ্চাটি চোখ পিটপিট করে। চোখে কাজল , কপালে বড় কাজলের টিপ। বাচ্চাটি হা করে আছে , জিহ্বা সামনে বেরোনো। রমিজের ইচ্ছে হচ্ছে জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে জিহ্বায় ছেকা দিতে । আরেক দলা থুথু ফেললো রাস্তায় , লুঙ্গিতে নাক মুছলো । তাড়াহুড়া করে বাস থেকে নামলো সূত্রাপুরের আগে। বাচ্চাটা কাঁদছে , চিৎকার করে কাঁদছে। বাচ্চাটির জিহ্বায় দগদগে পোড়া দাগ।

রাস্তার পাশে ড্রেনের ভেতর লুঙ্গি তুলে প্রস্রাব করতে বসলো রমিজ । ছরছর করে শব্দে হচ্ছে। ড্রেনের ভেতরের কীট পোকামাকড় গুলো কিলবিল করছে। প্রস্রাবের গতি বাড়িয়ে দিল রমিজ । শেষ ফোঁটাটা লুঙ্গিতে মুছে উঠে দাঁড়াল। মাজাটা ব্যাথা করছে। এই কয়দিন ধকল গেছে খুব। আরেক দলা থুথু ফেললো রমিজ। মুখ বাঁকা করে অশ্লীল একটা গালি দিল --- ।
ময়নার মা খুব দেমাগী মা** ।রাস্তার ওষুধে আর কাজ হয় না। ডবল ডোজ নিয়েই আকাম হল। গলা চেপে ধরতেই মা* বেহুঁশ । আর কোন সারা শব্দ নেই , নড়াচড়া নেই। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ। রমিজ বুঝলো মারা গেছে। লুঙ্গি পড়েই দৌড় দিয়েছে সে।

কয়েকদিন পর একটা লাশ পাওয়া গেল পরিত্যক্ত বাড়ির খুপরি ঘরে। মহিলার লাশ। নাম শরীফা। বিবাহিত , ময়না নাম একটা বাচ্চা আছে তার। তদন্ত চলছে।

এইসবে রমিজের কোন অনুশোচনা নাই। বরং আনন্দ আছে , মজা আছে। জীবনটায় ঘেন্না ধরে গেছে তার।


-----------------------------
ছবি : প্রথম আলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
১৫টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×