খবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির নাম মজনু বলে জানিয়েছে র্যাব। - প্রথম আলো।
আপডেট :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বা ‘ক্রমিক ধর্ষক’। ভিক্ষুক বা প্রতিবন্ধী নারীরা ছিলেন তাঁর মূল শিকার । মজনুকে গ্রেপ্তার করার পর আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া মজনু চুরি-ছিনতাইও করতেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
অন্ধকার আর আলোর গল্প -- পোস্ট করেছিলাম ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭।
লেখার সময় রমিজের চেহারা ভেবেছিলাম মজনু নামের এই পাষন্ডের মত। খোঁজ নিয়ে দেখুন এরা ফুটপাতে বিক্রি করা যৌন ওষুধ খেয়ে থাকে। আমার ধারণা এদের মাধ্যমে আরো অনেক ধর্ষককে কিংবা যৌন নিপীড়িক কে খুঁজে পাওয়া যাবে। আফিম , মাদক , যৌন ওষুধ --- নিয়ন্ত্রণে না আসলে এর প্রভাব আরো বাড়বে। আমি অনেক অনেক জায়গায় লিখেছি মাদক আর যৌন ওষুধ ধর্ষণের প্রধান কারণ হিসেবে।
একটা বিশ্লেষণ দেখে আসি :
বিখ্যাত নিউরোলোজিস্ট এবং সাইকিয়াট্রিস্ট ফ্রয়েড বলেছিলেন, যাকে আমরা মন বলি সেটি মূলত তিনটি সত্ত্বার সমন্বয়ে গঠিত – ইড, ইগো এবং সুপার ইগো।
অর্থাৎ মানুষের মন এই তিনটি গাঠনিক উপাদানে গঠিত -
“ইড” মূলত মানুষের জৈবিক সত্ত্বা। মানব মনের স্বভাবজাত চাহিদা পূরণ করে ইড। “ইড” মূলত মানুষের জৈবিক সত্ত্বা।মানুষের মনের স্বভাবজাত চাহিদা পূরণ করে ইড।মানে মনে যা ইচ্ছে করে সেটার অবস্থা। "ইড" এমনভাবে মানুষকে প্ররোচিত করে যে, প্ররোচনায় মানুষ যে কোন অসামাজিক অপরাধ থেকে শুরু করে, খুন-ধর্ষণ পর্যন্ত করতে দ্বিধাবোধ করে না।
মূলতঃ "ইড" হচ্ছে মানুষের ভেতরকার সুপ্ত পশু।
আর সুপার ইগো হচ্ছে মানুষের বিবেক।" ইড" যখন মানুষকে প্ররোচিত করে তখন সুপার ইগো একে বাধা দেয়।এই বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নির্ভর করে ব্যক্তির নৈতিক, পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক , সামাজিক শিক্ষা এবং মুল্যবোধের উপর।
অন্যদিকে ইগো হচ্ছে এই দুই অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টিকারী অবস্থা।
উদাহরণ দেখে নিই :
মেয়েটি সুন্দরী, অতএব ওকে ইভটিজিং বা রেইপ করো (ইড)
রেইপ, ইভটিজিং অপরাধ, অতএব করা যাবে না (সুপার ইগো)
মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করো, সম্ভব হলে প্রেমের প্রস্তাব দাও, মন পাওয়ার চেষ্টা করো, মন পেলে শরীর কোন এক সময় পাবে (ইগো)
ইড, ইগো এবং সুপার ইগো র আপেক্ষিক তীব্রতা স্থিতিশীল নয়, বরং পারিপার্শিকতার সাথে পরিবর্তনশীল।
একজন মাদকাসক্ত প্রথম যে দিন মাদক সেবন করে, তখন “সুপার ইগো”র জন্য তার মধ্যে কিন্তু প্রচন্ড অনুশোচনাবোধ হয়। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে মাদক সেবন তার এই অনুশোচনা র তীব্রতা কমিয়ে দেয়। তখন ইগো তার সাম্যাবস্থা ধরে রাখতে পারে না। সুপার ইগো বিলীন হয় ইডের কাছে। পশুত্বের জয় হয়।
এক পক্ষ পোশাক কে দায়ী করে আবার আরেক পক্ষ সেই মন্তব্যের পেছনে লাগে। ব্যাপারটা এমন যে সেই ধারণা ভুল প্রমান করলেই ধর্ষণ কমে যাবে। ঢাকার রাস্তায় মজনুর মত হাজার হাজার মানুষ ঘুরে বেড়ায়। একটু খেয়াল করলেই আপনার পাশের ফুটওভার ব্রিজের ওপরেও দেখতে পাবেন। একদিন এদের খপ্পরে পড়বে আপনারদের / আমাদের পরিচিত জন। অনেক দেরি হয়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সময় চলে যায়নি।
আচ্ছা , রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এই সব পশুদের কি করা যেতে পারে ? ৯৯৯ কল করে কি কাজ হবে ? নাকি নিকটস্থ থানায় জানাতে হবে ?
কিছু কি করার আছে ? নাকি নেই ?
------------------
লোকাল বাসের পিছে বসে রমিজ সিগারেট টানছে । সামনের সিটে বসে দুই মহিলা , কোলে বাচ্চা। খক করে এক দলা থুথু ফেললো জানলা দিয়ে.... শালা , কুত্তা ! কাকে গালি দিল কে জানে। বাচ্চা তার দিকে চেয়ে হাসে , মায়ের কাঁধে ভর দিয়ে তাকায় । কথা বলা শিখেনি। রমিজ সিগারেটের ধোঁয়া ফুস করে ছেড়ে দিল বাচ্চাটির মুখে।বাচ্চাটি চোখ পিটপিট করে। চোখে কাজল , কপালে বড় কাজলের টিপ। বাচ্চাটি হা করে আছে , জিহ্বা সামনে বেরোনো। রমিজের ইচ্ছে হচ্ছে জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে জিহ্বায় ছেকা দিতে । আরেক দলা থুথু ফেললো রাস্তায় , লুঙ্গিতে নাক মুছলো । তাড়াহুড়া করে বাস থেকে নামলো সূত্রাপুরের আগে। বাচ্চাটা কাঁদছে , চিৎকার করে কাঁদছে। বাচ্চাটির জিহ্বায় দগদগে পোড়া দাগ।
রাস্তার পাশে ড্রেনের ভেতর লুঙ্গি তুলে প্রস্রাব করতে বসলো রমিজ । ছরছর করে শব্দে হচ্ছে। ড্রেনের ভেতরের কীট পোকামাকড় গুলো কিলবিল করছে। প্রস্রাবের গতি বাড়িয়ে দিল রমিজ । শেষ ফোঁটাটা লুঙ্গিতে মুছে উঠে দাঁড়াল। মাজাটা ব্যাথা করছে। এই কয়দিন ধকল গেছে খুব। আরেক দলা থুথু ফেললো রমিজ। মুখ বাঁকা করে অশ্লীল একটা গালি দিল --- ।
ময়নার মা খুব দেমাগী মা** ।রাস্তার ওষুধে আর কাজ হয় না। ডবল ডোজ নিয়েই আকাম হল। গলা চেপে ধরতেই মা* বেহুঁশ । আর কোন সারা শব্দ নেই , নড়াচড়া নেই। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ। রমিজ বুঝলো মারা গেছে। লুঙ্গি পড়েই দৌড় দিয়েছে সে।
কয়েকদিন পর একটা লাশ পাওয়া গেল পরিত্যক্ত বাড়ির খুপরি ঘরে। মহিলার লাশ। নাম শরীফা। বিবাহিত , ময়না নাম একটা বাচ্চা আছে তার। তদন্ত চলছে।
এইসবে রমিজের কোন অনুশোচনা নাই। বরং আনন্দ আছে , মজা আছে। জীবনটায় ঘেন্না ধরে গেছে তার।
-----------------------------
ছবি : প্রথম আলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬