"বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের কথা ফেলনা বলে মনে হয় না৷ তিনি বলেছেন— 'আগামীতে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করতে হবে৷ শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী না হলে, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না এলে প্রথম দিনেই এক লাখ লোককে হত্যা করা হবে৷ কেউ বাড়িঘরে থাকতে পারবে না৷'
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
তোফায়েলের পরিকল্পনা বড় ভয়াবহ৷"
একাধিক বইয়ের রচয়িতা, সাংবাদিক, শিক্ষক ও ফেসবুকের একজন সেলিব্রেটি লেখক উপরের এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি উনার ফেসবুকের ওয়ালে প্রকাশ করেছেন। মন্তব্যের ঘরে গিয়ে বুঝতে পাড়লাম, সচেতনভাবেই উনি এমন লেখা পোস্ট করেছেন। কিন্তু উনার দেয়া লিংকে যাওয়ার পর যে নিউজ দেখলাম তা নিম্নরূপ।
"বাংলাদেশ প্রতিদিন, ভোলা প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামীতে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী না হলে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে প্রথম দিনেই এক লাখ লোককে হত্যা করা হবে। কেউ বাড়িঘরে থাকতে পারবে না। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ভোলায় সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচার, ধর্ষণ-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেদিন হিন্দু মা-বোনেরা বাড়িতে থাকতে পারেননি। নিজের সতীত্ব রক্ষা করার জন্য মেয়েরা পানির মধ্যে লুকিয়েছিল। সেখান থেকে ধরে এনে বিএনপির সন্ত্রাসীরা মায়ের সামনে পাশবিক অত্যাচার করেছে। এমনটি আর হতে দেওয়া যায় না। আমরা অশুভ শক্তিকে ভোটযুদ্ধে পরাজিত করে একটি শুভ সুন্দর সমাজ গড়ব। গতকাল বিকালে ভোলার বাংলা স্কুলমাঠে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বর্তমানে বিএনপি খুব শান্তিতে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা কারও ওপর কোনো অত্যাচার করিনি এবং করবও না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের অত্যাচারী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অশুভের বিরুদ্ধে একটি শুভ সমাজ গড়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আজকে দেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে মর্যাদার আসনে। তিন মাস পর জাতীয় নির্বাচন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশবাসী শান্তিতে থাকবে" বাংলাদেশ প্রতিদিন।
আওয়ামীলীগের এই সুদীর্ঘ সময়ে বিএনপি বেশি শান্তিতে আছে নাকি আওয়ামীলীগ নাকি জনগণ সেটা এখানে দেখানো উদ্দেশ্য নয়। একজন শিক্ষিত মানুষ কিভাবে ভুল তথ্য দিয়ে সমাজকে নষ্টের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সেটাই দেখাতে চেয়েছি মাত্র। উনি যদি প্রতিহিংসায় এমন মিথ্যাচার করেন, তবে কীভাবে উনি শিক্ষকের দায়িত্ব আদায় করছেন! কীভাবে পাঠকেরা উনার থেকে উপকৃত হচ্ছে? উনি সাংবাদিকতার মহান পেশার কতটুকু কাজই বা আঞ্জাম দিচ্ছেন! আমার বুঝে আসে না। মজার বিষয় হচ্ছে, ছাগলের তিন নাম্বর বাচ্চার ন্যায় অনেকেই এই শ্রেণি সাংঘাতিকদেরর সাথে লাফালাফি করে।
ঠাকুরমাহমুদ ভাইয়ের গতকালের পোস্টের সাথে আমি পুরোপুরি সহমত না হলেও অনেকটাই সহমত জানাই; (যদিও উনি সবার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করলেও আমারগুলোর করেননি )
আমি ব্লগে এসেছি অনেক বছর। ফেসবোকে নেই অনেকদিন। মাঝেমধ্যে ইনবক্সের জন্য ফেসবোকে টু মাড়ি। আর এতেই যত আজবখানা দেখি। মার্কস কখনো তার ফেসবোকের এমন রূপ চায়নি। কিন্তু এখন চাইলেও সে সহজে এর প্রতিকার করতে পারবে না। আমাদের সামু ব্লগ যেন সবসময় সবার থেকে আলাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের আসনে থাকে সেটাই আমরা চাই।
শুভ্রতা লেগে থাকুক ব্লগারদের মন ও মননে।
শুভকামনা সকলের জন্যে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫