somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯৭০ আর ২০১৮'র নির্বাচন একই আবেদন, একই সুযোগ। সদ্ব্যবহারের দায়িত্ব জনগণের।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সত্তুর এর নির্বাচন আর আঠারোর এর নির্বাচন, মাঝখানে ফারাক ৪৮ বছর। অথচ আবেদন সেই একই কেবল প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
৭০ এর নির্বাচনে স্বাধীনতার লালিত স্বপ্নকে বাস্তব রূপদানে আওয়ামীলীগের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট নেয়াটা ছিল ভীষণ জরুরী। তৎকালীন আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব জনসাধারণকে সেটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল। এ দেশের মানুষ তখন তাদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। আওয়ামীলীগ পেয়েছিল অভাবনীয় বিজয়। যে বিজয়ের পথ ধরে আওয়ামীলীগ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছিল। সেদিনের সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কাণ্ডারি ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্বয়ং। যে নির্বাচনে জয়লাভ তাকে শক্তি যুগিয়েছিল চূড়ান্ত বিজয়ের ডাক দেয়ার।
সত্তুরের সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এমনই এক ডিসেম্বর মাসে। সেবারও এ দেশের মানুষ দশ বছর পর একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিল। সেবারও আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মনে ভূমিধ্বস বিজয়ের স্বপ্ন ছিল। যদিও ফল হয়েছিল উল্টো।
মিল আরও আছে, সত্তুরের নির্বাচনে নৌকার কাণ্ডারি ছিলেন বঙ্গবন্ধু এবারের নির্বাচনে নৌকার কাণ্ডারি তারই সুযোগ্য কন্যা।
সেদিন আওয়ামীলীগ এ দেশের মানুষকে দেখিয়েছিল রাজনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন। তার প্রায় অর্ধশতক পরে এসে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আজ দেখাচ্ছেন অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন। যিনি ইতিমধ্যে দেশকে সে মুক্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।
সত্তুরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মুসলিম লীগ। আর আজকের প্রেক্ষাপটেও আওয়ামীলীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত তোষনকারী দল বিএনপি। খুব একটা পার্থক্য নেই। শুধু কি তাই? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে আইএসআইয়ের এজেন্ট মেহমুদের যে কথোপকথন ফাঁস হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, আজও আওয়ামিলীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নামধারী পাকিস্তানের স্থানীয় এজেন্ট মাত্র।
সত্তুরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ পরাজিত হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ পরাজিত হলে এ দেশের অর্থ নৈতিক মুক্তি মিলবে না।
পূর্বেই বলেছি সত্তুরে যেমন বঙ্গবন্ধুর জন্য একটি ভূমিধ্বস বিজয়ের প্রয়োজন ছিল আজ এই মুহূর্তেও চূড়ান্ত অর্থ নৈতিক মুক্তি এনে দিতে শেখ হাসিনার ঠিক তেমনি আরেকটি ভূমিধ্বস বিজয়ের প্রয়োজন।
এখন দেখার বিষয় সত্তুরের মত আঠারোর নির্বাচনেও এ দেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হইয় কিনা। আগামী একত্রিশ তারিখ অব্ধি আমরা সেটা দেখার অপেক্ষাতেই থাকলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×