গত কয়েকদিন যাবৎ অনেক তো লম্ফঝম্ফ দেখলাম। লাভের লাভ কি পেলাম? প্রথমেই আমাদের বুঝতে হবে, ভারত আমাদের কোন চোখে দেখে। আমরা কি সবাই জানি, মুম্বাইয়ের প্রায় সকল হোটেল বাংলাদেশীদের জন্য এখনও নিষিদ্ধ? সেদেশের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সভাপতি কিছুদিন আগেও কথায় কথায় বললেন, "লাথি দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিবো"। এ থেকেও কি বোঝা যায়না তারা আমাদের কি চোখে দেখে? আমাদের চারপাশে তারা কাটাতাঁর দিয়ে ঘিরে রেখেছে , এরপরও বন্ধু বন্ধু করলেই কি তাদের কথা বিশ্বাস করতে হবে? তাহলে আজ কেন তারা আমাদের এতো গুরুত্ব দিচ্ছে ভেবে দেখেছি কি?
আসলে চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসার পর এবং চীন থেকে সাবমেরিন আনার পর থেকেই ভারতের মাথা খারাপ হয়ে যায়। এজন্যই সুযোগ বুঝে এদেশের সরকার প্রধানকে ডেকে নিয়ে আদর করে সেদেশের রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকতে দেওয়া, ভেটকি মাছ আর গন্ধ-লেবু খাইয়ে আপ্যায়ন করে প্রতিরক্ষার মতো সেন্সিটিভ ব্যপারেও কয়েকটা স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হলো। তার বিনিময়ে আমরা কি কি পেলাম? শেখ হাসিনার হিন্দি ভাষার দক্ষতার উপর আমরা অবগত হলাম, এটাই আমাদের প্রাপ্তি। অথচ যার জন্য আশায় বুক বেধে রইলাম, সেই তিস্তার ব্যপারে কোন অগ্রগতি পেলাম না। অর্থাৎ তারা ভাত খাওয়ালো মাছ খাওয়ালো কিন্তু পানি খাওয়ালো না। খাওয়া শেষে পানিবিহীন অবস্থায় এঁটো হাতেই দেশে ফিরে আসতে হলো ।
যেহেতু চীনের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে ভারতের মাথা খারাপ হয়ে যায়, সেহেতু তিস্তার পানি পেতে হলে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে বলা উচিৎ, "চীন আমাদের প্রস্তাব দিয়েছিল তারা মংলা বন্দরে তাদের দুইটি যুদ্ধজাহাজ "শান্তিপূর্ণভাবে" মোতায়েন করতে চায়। আমরা তখন প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। আপনারা যদি তিস্তার পানি না দেন তাহলে আমরা প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনা করতে চাচ্ছি।"
এটা শোনার পর মোদি এবং মমতা তিস্তার পানি তো দিবেই, বরং পানির সাথে চিনিও মিশিয়ে দিবে। :p :p
কিন্তু আমাদের নতজানু সরকার এরকমই কিছু একটা করবে?