somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

The Great Gatsby - মুভি রিভিউ

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



The Great Gatsby দেখলাম। লিওনার্ডো ডি ক্যাপ্রিও আর টবি ম্যাগুয়ার আছে বলে দেখতে গেসি। নায়িকার ছবিও উপ্রে দিয়ে দিলাম, সেও টানার মতই :) :)

১৯২০ সালের আম্রিকা। ওয়াল স্ট্রিট বুম বুম করতাসে। চারিদিকে শুধু টাকা। যত টাকা, তত উঠতি বড়লোক। তত তাদের মেকি দাপট, বড়লোকি দেখানোর জন্য। চারিদিকে তত পার্টি, জাক জমক। এর মধ্যেও সবাই একজনের পার্টির জন্য বসে থাকে প্রতি সপ্তাহে। সেই একজন কে?
তার নাম প্রতি মিনিটে একবার বলে মুভিতে Gatsby। ক্যাপ্রিও। হদাই পার্টি ডাকে সে। কিন্তু নিজে থাকে কম দিনই। কাউকে দাওয়াত দেয় না, কিন্তু সবাই আসে। তার কাহিনী টা কী? সে চায় কী?

এই মুভিতে ভালো দিক বলে শেষ করা যাবে না।
১) টমি ম্যাগুয়ের, ঐ যে স্পাইডারম্যানের গুড বয় নায়কটা - এখানেও গুড বয়ই থাকে। কিন্তু ও শিখায়া দিবে আপনাকে যে অভিনয় কী জিনিস। কাহিনীতে ওর ভূমিকা হলো ও জাস্ট স্টোরি টেইলার। এমনিতে কাহিনীর কোন টার্নিং এ তার তেমন কোন প্রভাব নেই। ওর জায়গায় আমি কাহিনী বললেও ঘটনা অই একই হত। অথচ, শুধু অভিনয়ের গুণে আর প্রেজেন্টেশনের জোরে পুরাটা টাইম মনে হবে টবি কাহিনীর অন্যতম মূল ভিত্তি।

২) ক্যাপ্রিও বরাবরের মতই সেইরকম অভিনয় করে। ও একটা লিজেন্ড পর্যায়ে চলে গেসে। তবে, ওর চরিত্রও খুব সুযোগ পেয়েছে। হাই কোয়ালিটির অন্য যেই নায়ককেই এত পাওয়ারফুল চরিত্রে বসাবেন, পুরা মুভিতে একেকজনের জন্য একেকরকম ফ্লেভার পাবেন।

৩) নায়িকাটা কিউট ছিলো। তবে আহামরি কিছু না। চরিত্রে তার যা সুযোগ ছিলো, তার তুলনায় মোটামুটি করেছে।

৪) এই মুভির সবচেয়ে আমেইজিং জিনিস হলো এর চিত্রায়ণ। মনে হয় পুরাটাই যেন গ্রিন স্ক্রিনের সামনে করা। প্রতি মিনিটে মিনিটে প্রচণ্ড সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ, মনে হয় যেন ডিজনির ফেইরি টেল টাইপ এনিমেশন দেখছেন তবে আরও বেশি বেশি দুন্দর। অনেক সুন্দর, চোখ জুড়িয়ে থাকে। চরিত্রগুলো জানালার পাশে বসে আছে, জানালা দিয়ে এত চমৎকার দৃশ্য দেখবেন যে পজ করে স্ক্রিন ওখানেই রেখে দিতে মনে চাইবে।

৫) আরেকটা দারুণ জিনিস হলো ১৯২০ সালের ওয়াল স্ট্রিট দেখবেন। তখনকার পোশাক আশাক, কালচার কোনটাই এখানে অথেনটিক বা বাস্তব দেখায় নি, কিন্তু আমেজটা চমৎকার করেছে। মুভির আর যুগের প্রয়োজনে একটু আঠা আঠা হটনেস জোর করে সে সময়ের পোশাকে আর পটভূমিতে দিয়েছে বটে, কিন্তু পটভূমি/ ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ চমৎকার লাগে।





কিন্তু এই মুভি দেখতে গেলে আরও কিছু মাথায় রাখতে হবে।

১) এক মুভি দেখতে যেয়ে এর ফাঁকে আরও মুভি দেখা লাগছে। সময়ও লাগসে ৩ দিন। আমার মত বিশাআআআল মুভি ফ্রিক পর্যন্ত অধৈর্য হয়ে গেছে এর স্লো গতিতে।
এমন না যে খুব স্লো। কিন্তু অফিস টফিস করে এসে দেখতে বসলে স্লো লাগবে একটু। ২ ঘন্টা ২২ মিনিটের মুভি হলেও ১৫ মিনিট আগেই শেষ হয়। শেষ ১৫ মিনিট ক্রেডিটের জন্য।

২) ঐ যে পিছনের ফ্ল্যাপে পার্টির কাহিনী শুনে দেখতে বসে গেলেন ? ধুর, সিলি কারণ।মাঝেই বলে দেয় সব। মিস্ট্রি জেনার না, বরং চা টোস্ট বিস্কিট মার্কা শান্তিময় প্রেম কাহিনী।

৩) কাহিনীতে চরিত্রের প্রেজেন্টেশান বড়ো বেশি ফর্মাল। সবার ভাবখানা এমন যেন ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে আসছে। সবার এটিকোয়েট চালচলন সেরকম। আর ১৯২০ এ আম্রিকা যেন স্বর্গের টুকরা।

৪) প্রতি মিনিটে একবার করে সবাই Gatsby এর নাম নেয়। কান পঁচে যায় পুরা। আর কাহিনী ঠিক অত জমজমাট না।

এত কিছুর পর যদি আমাকে বলেন মুভিটা দেখবেন কীনা !
আমি বলবো, "অবশ্যই দেখবেন। তবে ছুটির দিনে। রিল্যাক্সে।"
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×