somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এমন বিড়ম্বনায় আপনি পড়েন নি তো ???

০৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিদেশ যাবো। হঠাৎ করেই ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর দরকার হলো। দৌড়ালাম ব্যাংকে। গিয়ে দেখি ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়নি। পাসপোর্টের এড্রেসের সাথে ব্যাংক স্টেটমেন্টের এড্রেস এর কোন মিল নেই।

কাস্টমার কেয়ারের এক সুদর্শনকে অনুরোধ করলাম ঠিকানা বদলে দিতে। কিন্তু ব্যাটা বলে তিনদিন লাগবে। আমি অসহায়। হাতে সময় আছে একদিন। তাকে অনুরোধ করলাম কালকের মধ্যে যেকোনভাবে ঠিকানা বদলানোর ব্যবস্থা করতে।

বহু অনুনয় বিনয়ের পর তিনি বললেন, স্যার চেষ্টা করবো। বলেই আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিলো। তার কাজ সম্পর্কে মুল্যায়ন ফর্ম। দিয়ে বললেন ফিলআপ করেন স্যার। কোথায় আমি বাঁচি না টেনশনে আর সে ধরিয়ে দিচ্ছে মুল্যায়ন ফর্ম!!! কোনমতে রাগ চেপে তাকে এক্সিলেন্ট মুল্যায়ন করলাম। এরই মধ্যে সে ঠিকানা পরিবর্তন করার কাগজ পত্র রেডি করল।

পরের দিন আসার কথা বলে উঠলাম। কিন্তু বেটা আমাকে ছাড়তে চায় না। বললো, স্যার আমার এখানে আপনার কয়টা একাউন্ট। জানালাম, একটা। সে বলে, স্যার আপনিতো আরো দুইটি সেভিংস একাউন্ট করতে পারবেন। ফিক্সড ডিপোসিট করতে পারেন। আমি বললাম, ধন্যবাদ। ফিক্সড ডিপোসিট করার ইচ্ছা নেই।

কিন্তু বেটা নাছোড়বান্দা। বললো, স্যার আপনার ফ্যামিলি'র কারো জন্য একটা একাউন্ট করতে পারেন। তাহলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো সহজ হবে। আমার মেজাজ তখন চড়ক গাছে। কোনমতে সামলে নিয়ে বললাম, একটা ফর্ম দেন। বাসায় গিয়ে দেখি কেউ একাউন্ট করবে কি না। ব্যাটা খুব আনন্দ নিয়ে ফর্ম দিলো।

আমি উঠলাম। কিন্তু তখনো তার কথা শেষ হয়নি। বললো, স্যার যার জন্য ফর্মটি নিলেন তার নাম্বারটা যদি দিতেন। আমরা রিমাইন্ডার দিতাম। বাসার একজনের নাম আর নাম্বার দিয়ে এক্সিট ডোরের দিকে রওয়ানা হলাম। পেছন থেকে ব্যাটা বললো, স্যার অফিস থেকে এই নাম্বারে ফোন যাবে। যে ধরবে সে যেনো একাউন্ট করবো বলে ...

পরের দিন দুপুরে বাসা থেকে ফোন এলো। ... ব্যাংক থেকে কে নাকি ফোন করে একাউন্ট করার অনুরোধ করেছে। বেচারা .... (বাঁচাওওও)
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৩০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×