somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কনফিগারেশন দেখে কিনুন ল্যাপটপ

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তথ্যপ্রযুক্তির বিবর্তনের সাথে সাথে কম্পিউটারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আকার দিন দিন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে৷ দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ ক্ষুদ্রাকৃতির উচ্চগতিসম্পন্ন কম্পিউটার৷ ব্যস্ত নগরজীবনে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকে৷ আকারে ক্ষুদ্র এবং সহজে বহনযোগ্য হওয়ার কারণে ল্যাপটপের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকল ব্র্যান্ড কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই বিভিন্ন কনফিগারেশনের ল্যাপটপ প্রস্তুত করছে৷ যখন কোন ক্রেতা যাচাই করেন যে কোন ক্যাটাগরির ল্যাপটপটি তার জন্য উপযুক্ত, তখনই বিচারের মাপকাঠি হয়ে দাড়ায় স্পেসিফিকেশন৷ ক্রেতা তখন প্রসেসর, র্যা ম, গ্রাফিক্স, ডিসপ্লে এবং অন্যান্য ফিচারগুলো কেমন তা বিবেচনায় আনেন৷ তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ল্যাপটপের জন্য আপনার বাজেট কত সেটাও এক্ষেত্রে বিবেচ্য৷ ক্রেতা যদি ল্যাপটপের স্পেসিফিকেশন সম্মন্ধে জ্ঞাত না হয়, তাহলে তিনি হয়তো অর্থ বাচাতে গিয়ে অপেক্ষাকৃত কম ফিচারসম্মৃদ্ধ ল্যাপটপটি কিনবেন নয়তো অযথা বেশি টাকা খরচ করবেন৷ তাই ল্যাপটপ ক্রয়ের ক্ষেত্রে একজন ক্রেতাকে অবশ্যই ল্যাপটপ সম্পর্কিত বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর সম্মক ধারণা রাখতে হবে৷ বর্তমান বাজারে সহজলভ্য ও উচ্চগতিসম্পন্ন ল্যাপটপগুলো থেকে নিজের প্রয়োজনীয় ল্যাপটপটি ক্রয় করতে হলে যে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে তার মধ্যে নিন্মোক্ত বিষয়াদি অন্যতম৷

সিপিইউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট):

সিপিইউ-কে কম্পিউটারের হার্ট বলা হয়৷ ইহা অপারেটিং সিস্টেমসহ সমস্ত এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম চালাতে মূখ্য ভুমিকা পালন করে৷ দ্রুতগতির সিপিইউ কম্পিউটারের সমস্ত কার্যক্রমকে দ্রুততর করে কিন্তু তাতে ব্যাটারি বেশিক্ষন সাপ্লাই দিতে পারেনা এবং দামেও অনেক বেশি হয়৷ বর্তমান সময়ের প্রায় সব ল্যাপটপই এএমডি অথবা ইন্টেল এর সিপিইউ ব্যবহার করে৷ যদি আপনি একটি নেটবুক কিনতে চান তাহলে আপনাকে নিশ্চিতভাবেই ইন্টেল-এর এটম প্রসেসর নিতে হবে৷ আপনি বর্তমানে ব্যবহৃত এটম প্রসেসরগুলোর মধ্যে বস্তুত উল্লেখযোগ্য তেমন কোন পার্থক্য বুঝতে পারবেন না, কিন্তু নতুন এন-৪৫০ এটম প্রসেসর-এর ব্যাটারী সাপোর্ট বেশি৷ আল্ট্রাপোর্টেবল পিসি, সাধারণত কম ভোল্টেজের ইন্টেল/এএমডি প্রসেসর ব্যবহৃত হয়৷ এদের চিপগুলো ডুয়াল-কোর সিপিইউসমৃদ্ধ, যা এখনকার ব্যবহৃত নেটবুক সিপিইউগুলোতে পাওয়া যায়৷ কিন্তু এদের ক্লক স্পিড খুব কম (২.১ গিগাহার্টজ এর পরিবর্তে ১.২ গিগাহার্টজ)৷ এই ধরনের প্রসেসর বাজারে প্রচুর কিন্তু আপনি যখন ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাবেন তখন কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করবেন- অধিক ক্যাশ মেমোরী অগ্রাধিকার পাবে এবং অধিক ক্লক স্পিড ভাল কিন্তু এটা দ্রুত ব্যাটারী চার্জ শেষ করে৷ এএমডি এর সিপিইউ ইন্টেল এর তুলনায় কিছুটা ধীরগতির৷ অল-পারপাস এবং ডেস্কটপ-রিপ্লেসমেন্ট ল্যাপটপ বিভিন্ন রেঞ্জের স্পিডের ডুয়াল-কোর এবং কোয়াড-কোর সিপিইউ সরবরাহ করে৷ সব ধরনের ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টেলের কোর-আই-৩ এবং কোর-আই-৫ খুব ভাল সাপোর্ট দেয়৷ কিন্তু যাদের কোয়াড-কোর সিপিইউ প্রয়োজন (উদাহরণস্বরূপ ভিডিও, গেম খেলা অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এপ্লিকেশন চালানোর জন্য) তারা কোয়াড-কোর কোর-আই-৭ প্রসেসর ব্যবহার করতে পারেন৷ বেশি ক্যাশ মেমোরী ও উচ্চ ক্লক স্পিড ভাল সাপোর্ট দেয়৷ তারপরও ২ গিগাহার্টজ এর বেশি যেকোন সিপিইউ স্বাভাবিক কাজকর্ম যেমন গান শোনা, ওয়েবে গেম খেলা, অনলাইন ভিডিও দেখা, ইমেইল করার জন্য যথেষ্ঠ৷ আপনি বাজারে কোর-২-ডুয়ো (যা ইন্টেলের আগের মডেল) সিপিইউসমৃদ্ধ অনেক ল্যাপটপ পাবেন৷ এই মডেলের সিপিইউগুলোও ভালো সাপোর্ট দেয় তবে ক্যাশ মেমোরী ও ক্লক স্পিড যেন বেশি হয়৷ ইন্টেলের সেলেরন বা পেন্টিয়াম ও এএমডি স্যাম্প্রন প্রসেসর সম্বলিত অনেক ল্যাপটপ পাওয়া যায় যার দাম অনেক কম কিন্তু 'সস্তার তিন অবস্থা' প্রবাদের মত এদের কর্মদক্ষতাও অনেক কম৷

জিপিইউ (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট):

জিপিইউ কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ এটি সিলিকনের একটি ক্ষুদ্র অংশ, আমরা স্ক্রিনে যা দেখি (থ্রিডি গেম থেকে শুরু করে স্বাভাবিক ডেস্কটপ) সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে৷ অনেক জিপিইউ প্রসেসর এর গতি কম হলেও খুব সহজে দ্রুত ভিডিও ডিকোডিং করতে পারে৷ এখনকার ল্যাপটপগুলোতে দুই ধরনের জিপিইউ পাওয়া যায়- বিল্টইন গ্রাফিক্স (ইন্টেল/এএমডি)ও ডিসক্রিট জিপিইউ (এনভিডিয়া, এটিআই, এমডি'র গ্রাফিক্স)৷ বিল্টইন গ্রাফিক্স সাধারণত সিস্টেম চিপসেট ("ট্রাফিক কপ" যা সিস্টেমে ডাটা পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে)-এ বিল্ট থাকে৷ এই ধরনের জিপিইউ র্যাম থেকে মেমোরী শেয়ার করে৷ ডিসক্রিট জিপিইউ নিজস্ব মেমোরী সম্বলিত আলাদা চিপ যা শুধুই গ্রাফিক্স এর কাজে ব্যবহৃত হয়৷ ইহার কার্যক্ষমতা অনেক বেশি৷ ইন্টেলের বিল্টইন গ্রাফিক্স সাধারণত খুব একটা ভাল না৷ এতে থ্রিডি গেম, ভিডিও ডিকোডিং ভাল হয়না৷ কোর-আই-৫ এর সাথে বিল্টইন গ্রাফিক্স আগেরগুলোর তুলনায় অনেক ভাল তবে এনভিডিয়া বা এটিআই এর মত ততটা ভাল না৷ কম্পিউটারে গেম খেলতে হলে এক ডিসক্রিট নেওয়া ভাল৷ এটিআই-এর ৫০০০ সিরিজ আগের ৪০০০ সিরিজ এর তুলনায় এবং এনভিডিয়া'র ৩০০ সিরিজ আগের ২০০ সিরিজের তুলনায় উন্নত৷ এটিআই'র মোবিলিটি রেডন এইচ ডি ৫৮৫০ আগের মোবিলিটি রেডন এইচ ডি ৫৬৫০ এর তুলনায় এবং এনভিডিয়া-এর জিফোর্স ৩৩০এম আগের জিফোর্স ৩১০এম এর তুলনায় অনেক দ্রুততর৷

র্যা ম (র্যা ন্ডম এক্সেস মেমোরি) :

ডেস্কটপ কম্পিউটারের মত ল্যাপটপেও মেমোরী একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ র্যা ম কম্পিউটারের মেইন মেমোরী যা প্রসেসরের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ডাটা সরবরাহ করে৷ এজন্য র্যা ম এর সাইজ যত বড় হবে প্রসেসর তত দ্রুত কাজ করতে পারবে এবং কম্পিউটার তত ফাস্ট হবে৷ যেহেতু ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ডেস্কটপের চেয়ে কিছুটা ধীরগতির, তাই ল্যাপটপের র্যা ম একটু বেশি নেওয়া ভাল৷ এজন্য ৪ গিগাবাইটের র্যা ম নেওয়া শ্রেয়৷ এখন বাজারে সাধারনত দুই ধরনের র্যা ম পাওয়া যায়: ডিডিআর-২ ও ডিডিআর-৩৷ এই দুই প্রকারের মধ্যে ডিডিআর-৩ তুলনামূলক দ্রুততর এবং বড় এপ্লিকেশন দ্রুত চালাতে পারে৷ এছাড়াও আপনি স্পেসিফিকেশন দেখার সময় ক্লক স্পিড দেখে নিবেন৷ বর্তমানে ৬৬৭, ৮০০, ১০৬৬ মেগাহার্টজ ক্লক স্পিড এর র্যা ম পাওয়া যায়৷ তবে ক্লক স্পিড এর চেয়ে মেমোরী সাইজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ যদি ৪ গিগাবাইট ৮০০ মেগাহার্টজ এর ডিডিআর-২ এবং ২ গিগাবাইট ১০৬৬ মেগাহার্টজ ডিডিআর-৩ র্যা ম পাওয়া যায়, তবে আপনি প্রথমটিকে বেছে নিবেন৷

ডিসপ্ল:

ল্যাপটপের ডিসপ্লের আকার নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ল্যাপটপ ব্যবহার করেন৷ নেটবুকের তুলনামূলকভাবে ছোট সাইজের ডিসপ্লে থাকে৷ ডিসপ্লে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচ্য৷ এগুলো হল- রেজুলেশন, এলইডি ব্যাকলাইটিং, গ্লসি/এন্টিগ্লসি পর্দা৷ স্ক্রিন রেজুলেশন বলতে স্ক্রিনের উল্লম্ব ও অনুভুমিক দিকে মোট কতগুলো পিক্সলে আছে তা বুঝায়৷ যদি ১০ ইঞ্চি স্ক্রিনের নেটবুকের রেজুলেশন ১০২৪ বাই ৬০০ ও ১২৮০ বাই ৭৬৮ আকারের পাওয়া যায়, তবে পরেরটি অধিকতর পিক্সলে আছে এবং স্ক্রিনে ওয়েবপেজ বা প্রিডসিটের বেশি এলাকা দেখা যাবে৷ তবে অধিক রেজুলেশন হলে ডেক্সটপ আইকন ও লেখাগুলো অনেক ছোট হয়ে যাবে, ফলে দেখতে একটু অসুবিধা হবে৷ অধিকাংশ ব্যবহারকারী অধিক রেজুলেশন পছন্দ করে৷ এখনকার অধিকাংশ ল্যাপটপেই এলইডি-ব্যাকলিট ডিসপ্লে রয়েছে৷ এতে এলসিডি প্যানেল এর পিছনে কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট ডিসপ্লের পরিবর্তে এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) থাকে৷ এলইডি-ব্যাকলিট ডিসপ্লে বিদু্যত্‍ সাশ্রয়ী, ফলে ব্যাটারী সাপ্লাই অনেকক্ষণ থাকে এবং এর উজ্জ্বলতা অনেক বেশি৷ কিছু কিছু ল্যাপটপের ডিসপ্লে অনেক উজ্জ্বলতর দেখায়, কারণ হচ্ছে এসব ডিসপ্লের উপর প্রলেপ দেয়া থাকে৷ এই উজ্জ্বল প্রলেপ ডিসপ্লের স্বচ্ছতা অনেক বাড়ায়৷ ফলে স্বচ্ছতা দেখে মনে হয় যে এর উজ্জ্বলতা ও কনট্রাস্ট অনেক বেশি৷ বর্তমানে কিছু নোটবুক, ট্যাবলেট ল্যাপটপ ও নেটবুকে টাচস্ক্রীণ ডিসপ্লে পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে এগুলো এখনও অনেক দামী৷

কানেক্টিভিটি:

নোটবুক থেকে ডেস্কটপ রিপ্লেসমেন্ট প্রায় সব ল্যাপটপেই এখন তারবিহীন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কিং (৮০২.১১জি স্ট্যান্ডার্ড এর ওয়াই-ফাই) সুবিধা পাওয়া যায়৷ বর্তমানে প্রায় সব ল্যাপটপই ৮০২.১১ বি/জি স্ট্যান্ডার্ড সাপোর্ট করে৷ ৮০২.১১এন হচ্ছে সর্বাধুনিক স্ট্যান্ডার্ড যা বর্তমানে খুবই দ্রুততার সহিত যেকোন হোম ইউজার ও ওয়াই-ফাই একসেস পয়েন্ট এর সাথে সংযোগ প্রদান করে৷ তবে এখনকার সব ল্যাপটপে এই স্ট্যান্ডার্ড সুবিধা নেই৷ বর্তমান সময়ের সব ফিচার এবং ভবিষ্যতের নেটওয়ার্কিংয়ের সুবিধা নিতে এই ফিচার সম্বলিত ল্যাপটপ নেওয়াই উত্তম৷ আপনি যদি আপনার ল্যাপটপটি কোন ওয়ারড নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে চান তাহলে আপনার ল্যাপটপে অবশ্যই ইথারনেট কার্ড থাকতে হবে৷ বর্তমানে ব্যবহৃত ইথারনেট প্রযুক্তি হল গিগাবিট ইথারনেট৷ তবে আপনার ল্যাপটপটি যদি ধীরগতির ইথারনেট কার্ড (১০০ মেগাবিট পার সেকেন্ড) থাকে, তাতেও তেমন কোন সমস্যা নেই৷ বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ল্যাপটপই ব্লুটুথ সংযোগ সাপোর্ট করে৷ এর মাধ্যমে আপনি ব্লুটুথ মাউস, কিবোর্ড, হেডফোন এমনকি সংযোগ সম্বলিত মোবাইল ফোনের সাথে ল্যাপটপের সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন৷ আমরা যদি ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে চাই এবং আশেপাশে কোন ওয়াই-ফাই হটস্পট না থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা মোবাইল ব্রডব্যন্ড রেডিও ব্যবহার করতে পারি৷ আপনাকে একটি এ্যাড-ইন কার্ড কিনতে হবে৷ তবে এখনকার অনেক ল্যাপটপে মোবাইল ব্রডব্যান্ড রেডিও বিল্ট-ইন থাকে৷

অপটিক্যাল ড্রাইভ:

প্রায় সব ল্যাপটপে একটি অপটিক্যাল ড্রাইভ থাকে৷ তবে নোটবুকগুলোতে ব্যতিক্রম দেখা যায়৷ সব অপটিক্যাল ড্রাইভেই এখন ডিভিডি চালানো ও বার্ন করা যায়৷ কিছু ল্যাপটপের অপটিক্যাল ড্রাইেভ ব্লু-রে মিডিয়া চালানো যায় এবং সিডি ও ডিভিডি বার্ন করা যায়৷ যদি আপনি কোন সফটওয়্যার সিডি/ডিভিডি থেকে ইন্সটল করতে চান বা আপনি একটি মুভি দেখতে চান, তাহলে আপনি একটি ইউএসবি এক্সটারনাল অপটিক্যাল ড্রাইভ নিতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে আপনার খরচ কিছুটা কম হতে পারে৷

স্টোরেজ:

ডেক্সটপ কম্পিউটারের মত ল্যাপটপেও হার্ড-ড্রাইভ খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা কম্পিউটারে যা কিছু স্টোর করে রাখি তার সবকিছূই হার্ড-ড্রাইভে থাকে৷ নেটবুক ও আল্ট্রা-পোর্টেবল কম্পিউটারে সাধারণত ২৫০ গিগাবাইট স্টোরেজ স্পেস থাকে৷ তবে অল-পারপাস ও ডেস্কটপ রিপ্লেসমেন্ট ল্যাপটপগুলোতে ৫০০ গিগাবাইট বা তার চেয়ে বেশি স্টোরেজ স্পেস থাকে (ল্যাপটপের হার্ড-ড্রাইভ সর্বোচ্চ ১ টেরাবাইট পর্যন্ত হয়)৷ হার্ড-ড্রাইভের স্পেসিফিকেশনে অনেক সময় দেখবেন ৪২০০ আরপিএম, ৫৪০০ আরপিএম, ৭২০০ আরপিএম ইত্যাদি লেখা থাকে৷ এই সংখ্যাগুলোদ্বারা হার্ডড্রাইভের প্লেটগুলো কত দ্রুত ঘোরে তা বুঝায় (রোটেশন পার মিনিট)৷ দ্রুততর ড্রাইভের ডাটা ট্রান্সফার রেট ও সিক টাইম বেশি যা দ্বারা দ্রুত ফাইল কপি করা, বড় এপ্লিকেশন চালানো এবং দ্রুত বুট করা যায়৷ আপনি যদি অধিক সংখ্যক ছবি, মিউজিক, ভিডিও রাখতে চান, তাহলে বড় সাইজের হার্ড-ড্রাইভ নিতে হবে৷ কিছু ডেস্কটপ রিপ্লেসমেন্ট ল্যাপটপ ডুয়াল-হার্ড-ড্রাইভ সাপোর্ট করে৷

বর্তমান যুগে মানুষের ডেস্কটপের চেয়ে ল্যাপটপের দিকে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে৷ তাই উপরোল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সাধ্যের মধ্যে উন্নততর প্রযুক্তির সর্বাধুনিক ল্যাপটপটি কিনে নিজেকে তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন৷
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×