somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে শিল্প বিকাশের আগেই খুন হচ্ছে

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগামী ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ইন্ডিয়ার ওয়েস্ট বেঙ্গলে নির্মিত বাংলা চলচ্চিত্র ‘জোর’ মুক্তি পাচ্ছে। অনেকদিন ধরে ঢাকার সিনেমা সংশ্লিষ্ট কলাকুশলী ও বিভিন্ন সংগঠন এর বিরোধিতা করে আসছে। তাদের পাশাপাশি সচেতন আরও অনেক বাংলাদেশী সিনেমার পক্ষে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে সিনেমা প্রদর্শকসহ স্বল্পসংখ্যক নির্মাতা লেখক বুদ্ধিজীবী মনে করেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। পক্ষে-বিপক্ষের উভয়ই বলছেন তাদের মতের পক্ষে সিদ্ধান্ত হাসিল হলে বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের উন্নতি ঘটবে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিনের বরাতে জানা যায়, সিনেমাটি ঢাকা ও তার আশপাশের বারোটি হলে মুক্তি পাচ্ছে। পরিবেশক প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, চাহিদা আরও বেশি। চাহিদা আর জোগানের চাপে হিমশিম অবস্থা। এই হিমশিম অবস্থার কথাও জানা গেছে পরিবেশক ও প্রদর্শক মারফত। দর্শকরা নিজেরা প্রদর্শকদের কাছে এই দাবি রেখেছে কিনা তার কোনো উপাত্ত নেই। তবে জোর দর্শকের মনোযোগ কতটা আকর্ষণ করবে তা দেখার বিষয়। কেননা তামিল সিনেমার কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা খোদ ওয়েস্ট বেঙ্গলে ভালো ব্যবসা বাগাতে পারেনি। তার ওপর ২০০৬ সালে এই সিনেমা টেলিভিশনে প্রদর্শিত হয়েছে বেশ কয়েকবার। ‘জোর’র পাশাপাশি মুক্তির মিছিলে আছে সংগ্রাম ও বদলা নামের আরও দুটি সিনেমা। এগুলোর ব্যবসায়িক সাফল্যের দিকে তাকিয়ে আছে নয়টি হিন্দি সিনেমা।

যুক্তিসঙ্গত কারণেই ইন্ডিয়ান সিনেমা প্রদর্শনে বিধিনিষেধ আগে থেকেই জারি ছিল। ১৯৬৫ সালের পাক-ইন্ডিয়া যুদ্ধের কারণে তখনকার পাকিস্তান সরকার ইন্ডিয়ান সিনেমার প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশী সিনেমার স্বার্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিবেচনায় এতদিন সেই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। কিন্তু বিধিনিষেধ সত্ত্বেও ইন্ডিয়ান সিনেমার বাণিজ্যিক প্রদর্শনের দাবি নতুন নয়। নানা সময়ে এই দাবিতে ব্যবসায়ীদের একটি গোষ্ঠী সরব ছিল। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতাসীন বঙ্গবন্ধুর সেই আওয়ামী লীগ সরকারই ইন্ডিয়ান সিনেমার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। পরে দেশীয় চলচ্চিত্রের পরিচালক-প্রযোজক ও শিল্পী-কলাকুশলীদের আন্দোলনে সরকার ফের বিধিনিষেধ আরোপ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চলচ্চিত্র কর্মীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও বটে। আমদানিকারক ও প্রদর্শকদের রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের রায়ে সে সময়ে যে তিনটি সিনেমা আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়, সেগুলো প্রদর্শনের অনুমতি দেয়। পরে সেন্সর বোর্ড ও তথ্য মন্ত্রণালয় অনাপত্তিপত্র দেয়। এই বিষয়ে সিনেমা কর্মীরা ও সচেতন মহল সরব হলেও সরকারি তরফে কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে ম্রিয়মাণ সিনেমা শিল্প নতুনভাবে সরব হবার বদলে নিরব হতে যাচ্ছে।

নব্বই দশকের আগের সময়কে বাংলাদেশী বাণিজ্যিক সিনেমার জমজমাট সময় বলা হলেও নানা চাপ ও সমস্যার কারণে গত দশকে তার অবস্থা হয় শোচনীয়। এক সময় বছরে একশ’র বেশি সিনেমা নির্মাণ হলেও বর্তমানে তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। একই সময় শিক্ষিত শ্রেণীর নির্মাতাদের একটা অংশ সিনেমা হলের বাইরে প্রদর্শনের জন্য সিনেমা নির্মাণে ব্যস্ত থাকেন, যাদের একটা অংশ এখন সিনেমা হল বাঁচাও আন্দোলনে যুক্ত। নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে সিনেমা হল ছিল এক হাজার দু’শ, এ সংখ্যা এখন সাতশ’র কাছাকাছি নেমে এসেছে। গত এক দশকে ঢাকার বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স ছাড়া নতুন কোনো সিনেমা হলের কথা শোনা যায়নি।
ইন্ডিয়ান সিনেমা আমদানিতে যাদের উচ্চস্বর লক্ষ্য করা যায়, তাদের প্রধান অংশ হলো সিনেমা প্রদর্শক ও পরিবেশক গোষ্ঠী। তাদের দাবি হলো সিনেমা হল বাঁচানোর লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা। কিন্তু সিনেমা হল বাঁচলেও বাংলাদেশী বাণিজ্যিক সিনেমার কী অবস্থা হবে, তার উত্তর নেই। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘ওরা এগারো জন’, ‘দেবদাস’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দশকে অনেক সিনেমা পরিচালক ও প্রযোজক সিনেমা বানানোর খেসারত হিসেবে সর্বস্বান্ত হয়েছেন, অথচ হল মালিকদের সিনেমা হলের বাজারমূল্য বেড়েছে কয়েকগুণ। সিনেমা হলের জায়গায় এখন অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং বা শপিং মল উঠেছে। শুধু তাই নয়, প্রদর্শকদের মুনাফা অর্জন ছাড়া সিনেমা নির্মাণে কোনো দায় নেই। একই সঙ্গে হলের পরিবেশের দিকে তাদের কোনো মনোযাগও নেই। এটাও দর্শক কমার একটা কারণ। এছাড়া বিভিন্ন হলে দেখা যায় টিকিটের দাম গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি।

বুদ্ধিজীবীদের অনেকে মুক্তবাজারের কথা তোলেন। তারা মনে করেন এই ইন্ডিয়ান সিনেমা মধ্যবিত্ত দর্শককে হলমুখী করবে এবং সিনেমা শিল্প ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। কিন্তু দুনিয়ার সব সুবিধাই কি মধ্যবিত্ত শ্রেণী নেবে। অন্যদের কি অবস্থা হবে। বাংলাদেশে নির্মিত মধ্যম মানের হিট সিনেমার (মনপুরা, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ভালো উদাহরণ) দর্শকও এই গ্রামগঞ্জ ও নিম্নবিত্তের মানুষ। এখনও পর্যন্ত তারা না দেখলে বাংলাদেশে কোনো সিনেমা হিট হয় না। অপর পক্ষে মুক্তবাজার অর্থনীতির মানে কি সবকিছু মুক্ত করে দেয়া! ইন্ডিয়া নিজেই বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশী পণ্যের ওপর অন্যায্য কর চাপিয়ে দিয়েছে। তাই ইন্ডিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য ঢোকা তপস্যার বিষয়। একই সঙ্গে তাদের পণ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলকে সেই দেশে দেখতে দেয়া হয় না। পরিহাস, এখন এই পতনমুখী বাংলাদেশী সিনেমা শিল্পকেই মুক্তবাজারের কাণ্ডারি হতে হবে!

কেউ কেউ আবার দাবি তুলছেন যেনতেন সিনেমা নয়, ভালো সিনেমা আনতে হবে। ইন্ডিয়া থেকে দশটা সিনেমা এলে বাংলাদেশ থেকে পাঁচ কি দশটা সেই দেশে যাবে। সেজন্য আলাদা বিশেষজ্ঞ কমিটিও নাকি করতে হবে। প্রশ্ন হলো, এই ভালো সিনেমা কে দেখবে। সেই মধ্যবিত্ত? তাদের ঘর থেকে বের করার কথা চিন্তা করে এই ঝুঁকি কোনো ব্যবসায়ী নেবে বলে মনে হয় না। একই সঙ্গে বাংলাদেশে যেখানে বছরে কারিগরি মানসম্পন্ন দশটি সিনেমাও নির্মাণ হয় না, সেখানে সম-বাণিজ্য কীভাবে সম্ভব? প্রথমে এই দাবি মেনে নিলেও পরবর্তী সময়ে অপরাপর চুক্তির মতো ইন্ডিয়া পিছু হটবে না, সেই গ্যারান্টি কে দেবে।

ভালো সিনেমার দোহাই দিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বাণিজ্যিক সিনেমায় আসতে দেয়া হয়নি। যার ফল এখনও ভোগ করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে এই বিষয়ে সরকারি সুবিধা তৈরি হয়নি। এফডিসি হলো বাংলাদেশে সিনেমা শিল্পের দেখভাল করনেওয়ালা সরকারি প্রতিষ্ঠান। অথচ সেই প্রতিষ্ঠানে নেই ভালো ক্যামেরা, লাইট, কালার ল্যাব, টেলিসিনে মেশিন। শক্ত সেন্সর নীতিমালাও নেই। নতুন কোনো মেশিন আমদানি হলে সেটা চালানোর লোক পাওয়া যায় না। আবার পাওয়া গেলেও সেই দামি মেশিন কয়েক দিনেই নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হলে সহজে ঠিক হয় না। কয়েক দশক ধরে ঝুলে আছে ফিল্ম সিটি ও পূর্ণাঙ্গ আর্কাইভের কাজ। এর ওপর আছে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এখন যারা ইন্ডিয়ান সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতার কথা বলেন তারা কোন সামর্থ্য নিয়ে বলেন?
সিনেমা নির্মাণ একটি বাণিজ্যিক শিল্প হিসেবে শুধু পণ্য উত্পাদন এবং ভোগের মধ্যে সীমিত নয়। এর মধ্য দিয়ে নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণাসহ লাইফ স্টাইলের প্রদর্শন ঘটে। যার ভূমিকা শুধু দেখা আর শোনার মধ্যে সীমিত নয়। এর ভূমিকা আরও বহুদূর। এর ক্ষমতা সম্পর্কে ও আগ্রাসী দিকটি অজানা নয়। ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার বোম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত মোশন পিকচার কংগ্রেসে একটি প্রস্তাবে প্রযোজকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়, হিন্দি ভাষার প্রসারের স্বার্থে তারা যেন অন্য আঞ্চলিক সিনেমা বন্ধ করে দেয়। বলাবাহুল্য সে প্রস্তাব অনুমোদন হয়নি। ফলে ফ্যাসিবাদী ও সাংস্কৃতিক বর্গীকরণ সেখানে ঠেকে যায়। সেই সময়ের সিনেমা শিল্পে অনুল্লেখযোগ্য তামিল ও তেলেগু সিনেমা এখন সারা ইন্ডিয়ান সিনেমার রসদ জোগাচ্ছে। কেবল মুম্বাই আর ওয়েস্ট বেঙ্গলই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশে নির্মিত অধিকাংশ সিনেমার কাহিনীও সেইখান থেকে ধার করা। কিন্তু এই ঘটনাগুলো একদিনে ঘটেনি। এর পেছনে আছে
পর্যাপ্ত সুরক্ষা নীতি।

সিনেমা ও সিনেমা হল নির্মাণ এবং আঞ্চলিক সিনেমা সুরক্ষায় ইন্ডিয়া ভালো উদাহরণ। বাংলাদেশে সিনেমা প্রদর্শনে যেখানে উচ্চমূল্যে কর গুনতে হয় সেখানে তারা কর দেয় সীমিত। এছাড়া নতুন হল নির্মাণে ভূমি, পানি, ঋণ সুবিধা দেয়া হয়। এক রাজ্যের সিনেমা অন্য রাজ্যে গেলে উচ্চহারে কর দিতে হয়। হিন্দি চ্যানেলকে তামিলনাড়ু বা অন্যান্য রাজ্যে প্রান্তিক করে রাখা হয়েছে। এ থেকে একমাত্র শিক্ষা হলো শুধু কমিশন এজেন্টভোগী হয়ে বা মুক্তবাজার দিয়ে নিজেদের শিল্পসংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা যায় না। এই পৃষ্ঠপোষকতা শুধু ইন্ডিয়া নয়, উপমহাদেশের পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

এখন প্রশ্ন হতে পারে এত সমস্যা ও অবহেলা নিয়ে বাংলাদেশী সিনেমা শিল্প কিসের উপর দাঁড়িয়ে আছে। স্রেফ ভালোবাসার জোরে। এখন সিনেমাপ্রেমীরাই পারে ভালোবাসার জোরে ‘জোর’-এর আগ্রাসন থামাতে। পাকিস্তান আমল থেকে আবার শিক্ষা নেয়া যায়। জমজমাট উর্দু সিনেমার বাজারে বাংলাদেশী নির্মাতারা শামিল হলেও অচিরেই তারা বাংলাভাষী সিনেমায় ফিরে আসেন। তখনকার রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক বিবেচনায় সেটা ঠেকানো গেছে। জহির রয়হান, খান আতাউর রহমান, সালাউদ্দিন প্রমুখ উর্দু সিনেমার আগ্রাসন ঠেকিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের একটা ঐতিহ্য তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ইন্ডিয়ান সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সেই অবস্থায় বাংলাদেশ নেই। বর্তমানে সমস্যা বাড়লেও আমাদের সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

এই অনুমতি বন্ধে চলচ্চিত্রকর্মীরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিতে সরব আছেন। তারা সরকারের কাছে ইন্ডিয়ান সিনেমা আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি তুলেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রযুক্তিগত এবং গুণগত উত্কর্ষ সাধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, পাইরেসি বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, পূর্ণাঙ্গ সিনেমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে, বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ সম্প্রচার না করলে ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রাখতে হবে, প্রচলিত সেন্সর প্রথা বাতিল করতে হবে ও নিয়মিত মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদানের চলচ্চিত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে প্রভৃতি।

এখন যে কেউ বলতে পারেন চল্লিশ বছর অনেক লম্বা সময়। কিন্তু এই লম্বা সময়ে এই শিল্পের কি উল্লেখযোগ্য কোনো বিকাশটা ঘটেছে? সেই দীর্ঘ কথার সুযোগ না থাকলেও অর্জন কম নয়। কিন্তু বাণিজ্যিক সিনেমা বরাবরই অবহেলিত ছিল। চল্লিশ বছরে অনেক কিছু ঘটেনি তার মানে এই নয় যে, আগামীতে কিছুই ঘটবে না। চাই পর্যাপ্ত পরিকল্পনা ও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মানসিকতা। রাষ্ট্রের তরফে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেমার কোনো কোর্স, গবেষণা ও নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের কোনো সংস্থান না থাকলেও এখনও পর্যাপ্ত সম্ভাবনা আছে। তরুণদের মিডিয়া ও সিনেমা সংশ্লিষ্টতা এখন আগের চেয়ে বেশি। এছাড়া দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিল্ম ও মিডিয়া শিক্ষা চালু হওয়ায় এই শিক্ষায় লগ্নিও বেড়েছে। তাদের দিকটাও বুঝতে হবে। এই বোঝাবুঝিকে কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশী সিনেমা শিল্পকে খুন হওয়া থেকে বাঁচানো যেতে পারে।

> লেখাটি আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত।
> আমার লেখার খাতা ইচ্ছেশূন্য মানুষ
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×