somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাণের মেলাঃ একুশের বইমেলা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাষা আন্দোলনের চেতনা বুকে নিয়ে প্রতি বছরের মত এবারও জমে উঠেছে একুশের বই মেলা। অজস্র নতুন-পুরাতন বই আর লেখক-পাঠকের পাশাপাশি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দদের পদচারনায় মুখরিত বইমেলা তাই আজ প্রাণের মেলায় রূপ নিয়েছে। এবারের বইমেলা প্রকৃতি, সময় ও প্রাচুর্যের দিক থেকে আনুকূল্য পেয়েছে বলেই তা জমে উঠেছে সবদিক থেকেই। সবকিছু দেখে মনে হয়েছে আয়োজনে কোন কমতি নেই। তবুও আমার কাছে একুশের বইমেলা আজ আর বাঙ্গালীর একার বইমেলা নয়, তা আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত। তাই আয়োজনটাকে আরও সমৃদ্ধ করে আন্তর্জাতিক মানের হতে পারত। এব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত কিছু সুপারিশ এই ব্লগে প্রকাশের ধৃষ্টতা দেখাচ্ছিঃ

১) মেলার স্টলগুলো আকৃতি ও প্রকৃতিতে আরও আধুনিকভাবে উপস্থাপন করা যেত।

২) প্রতিটি স্টলের জন্য সমান মাপের সাইনবোর্ড ব্যবহার করা যেত যা মেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হত।

৩) হকারদের মেলাপ্রাঙ্গণের ধারে-কাছে অবস্থান রোধ করা উচিত ছিলো।

৪) মেলার জন্য নির্মিত মঞ্চের সামনে দর্শকের অডিটরিয়াম বা চেয়ার গুলো আরও উন্নত করা যেত।

৫) মেলাকতৃপক্ষের উদ্যোগে বিদেশি বই প্রকাশকের কিছু সংখ্যক স্টল থাকলে অনেক পাঠকের জন্য ভাল হত।

৬) একটি সমৃদ্ধ ইনফরমেশন সেল গঠন করে পাঠক বা ক্রেতা সাধারনকে সহযোগিতা করা যেত।

৭) বই পাঠ কিংবা সংরক্ষণের সহায়ক পন্যের স্টল বরাদ্দ থাকলে মেলা আরও জমজমাট হত।

৮) নতুন লেখকদের পরিচিতি পর্বের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ছোট আকারের পি.এ. সিস্টেম বা হ্যান্ডমাইকের ব্যবস্থা থাকলে মন্দ হতনা।

৯) মেলাপ্রাঙ্গণে নতুন বইয়ের প্রচারের জন্য আধুনিক অডিও ভিজুয়্যাল প্রচার সেল হলে বইপ্রেমিদের সুবিধা হত।

১০) সর্বপরি এরকম প্রাণের মেলার জন্য আরও বড় পরিসর আবশ্যক।

উপরোক্ত বিষয়ে বইমেলার সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সবশেষে, ব্লগের পাঠকগণ আমার সাথে একমত হলেই আমার লেখা সার্থক হবে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×