somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন জান্নাতী মানুষের কাহিনী

০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একদিন রাসূলুল্লাহ(সা) কিছু সাহাবার সাথে মসজিদে বসে ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘এখন এমন একজন আসবে যে কিনা জান্নাতবাসীদের একজন’, এবং এরপর একজন অপরিচিত সাহাবা মসজিদে প্রবেশ করলেন। (এই সাহাবা তেমন বিখ্যাত কেউ একজন ছিলেন না, হাদিসে তার নামও উল্লেখ করা হয় নাই)। পরদিন রাসূলুল্লাহ(সা) একই কথা বললেন, তারপর একই সাহাবা মসজিদে প্রবেশ করলেন। তার পরের দিন রাসূলুল্লাহ(সা) আবার বললেন, ‘এমন একজন এখন আসবে যে কিনা জান্নাতবাসীদের একজন’, এবং সেই একই অপরিচিত সাহাবা এই দিনও আসলেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস(রা) নামক সাহাবার মনে প্রশ্ন আসলো – কি এমন বিশেষত্ব ঐ সাহাবার যে পর পর তিনদিন তাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে জান্নাতী বলা হলো? তাই আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস(রা) ঐ সাহাবাকে যেয়ে একটা অজুহাত দিয়ে অনুমতি চাইলেন যে তিনি ঐ সাহাবার বাসায় ৩ রাত থাকতে পারবেন কিনা। অপরিচিত সাহাবাটি তাকে থাকার অনুমতি দিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস(রা) তার বাসায় যেয়ে লক্ষ্য করলেন যে, এই সাহাবার জীবনযাত্রা খুবই সাধারণ – ইনি সব দিন (নফল) রোজা রাখেন না, রাতভর তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন না, ঘুমান। শুধু ফজর নামাজের কিছুক্ষণ আগে অল্প কয় রাক’আত নফল নামাজ পড়েন (যেটা আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস(রা) এর মতো সাহাবাদের স্ট্যান্ডার্ডে কম নামাজ ছিল)।

তিনদিন পার হয়ে যাওয়ার পর আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা) অপরিচিত সাহাবাকে তার এই বাসায় থাকার আসল কারণ বললেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই, আপনি কোন্‌ কাজটা করেন যার কারণে রাসূলুল্লাহ(সা)আপনাকে জান্নাতীদের একজন বলেছেন? আমি আপনার কাছে সেই কাজটা জানতে চাই’। কিন্তু এই সাহাবা চিন্তা করে কিছু বের করতে পারলেন না, বিনয়ের সাথে বললেন, ‘সাধারণ কাজকর্মের বাইরে আমি কোনও কিছু করি বলে তো মনে করতে পারছি না!’

যখন আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা) বাসা থেকে প্রায় বেরিয়ে আসতে নিয়েছেন তখন অপরিচিত সাহাবাটি বলে উঠলেন, ‘প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যারা যারা আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে তাদের সবাইকে আমি ক্ষমা করে দেই। আমি আমার মন থেকে সমস্ত মানুষের ব্যাপারে সকল খারাপ অনুভূতিগুলি ঝেড়ে ফেলে দেই’।

সঙ্গে সঙ্গে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস(রা) বলে উঠলেন, ‘এটাই সেই কারণ!’

(মুসনাদ আহমদ) – ইমাম আন্‌ওয়ার আল আওলাকীর A man from Jannah হতে
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×