নিদারুন ফাল্গুনি হাওয়া, আপনি এসে চকিতে সরিয়ে নিলেন শাড়ি
আর রাশি রাশি প্রজাপতি নিয়ন্ত্রনহীন উড়ে গেলো তার নাভিমূলে;
যেমন উড়ে যায় মৃত্যুন্মুখ পতঙ্গ আগুনের দিকে।
আমি বয়ে বেড়াচ্ছি জীবনানন্দ দাশের অসুখের লক্ষণ:
আমার গৃহে লাবণ্য আর হৃদয়ে ‘ভালোবেসে না পাওয়া প্রিয়তম জন’।
এই হাওয়ায় আপনি যখন সরিয়ে নিলেন শাড়ি
আমি দেখলাম, আগামী বসন্ত আসার আগেই জনা কয় যুবক
চিরতরে হয়ে যাচ্ছে জীবননান্দ দাশ;
দেখলাম, এরা আওড়াচ্ছে:
‘বলো নাকো কথা ঐ যুবকের সাথে’
তারা আওড়াচ্ছে:
‘কী কথা তাহার সাথে, তার সাথে’!
এইসব ব্যথিত চিত্তদের স্বান্তনা দিতে অনেকেই আছে
আছে ঢের কবিতার সমাহার
কিন্ত আমার বেদনা অপার;
নাই কেউ আমার পাশে-- আমাদের পাশে
আজ তাই আপনাকেই এই গাঢ় না-সুখের খবর জানাই:
আমি যাকে ভালোবাসি তিনি আমার সমলিঙ্গ হন;
এই দেশে আমাদের জীবনে কোনো মিলনরেখা নাই
এই দেশে আমাদের ভালোবাসা পাপাচার
এখানে প্রেমেও সমানাধিকার নাই।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০২