somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের একমাত্র বড় আন্দোলন

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একথা সত্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফী গুলো অনেকক্ষেত্রে অযাচিত ভাবে তৈরিকৃত। কোর্স অনুপাতে তারা যে টিউশন ফী নির্ধারিত করে থাকে, অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্তীরা সেই অনুপাতে সার্ভিস পেয়ে থাকে না। আর তাই, সরকারের এখানে উচিত ছিল এই অনৈক্য গুলো মনিটর করা ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। দেশে গুড গার্ভানেন্স চালু থাকলে, সরকার তাই করতো। কিন্তু না আমাদের দেশে আবার সব সময় "লুটেরা সরকাররা" দেশ চালায় আর তাই এক্ষেত্রে যা হবার তাই হয়েছে।
"লুটেরা সরকার" লক্ষ করলো, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের প্রতুলতার সুযোগ নিয়ে যাচ্ছে-তাই ভাবে কোর্স ফী নিধারন করে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে রমমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছে। সরকার বিষয়টা দেখে প্রথমে খুব ক্ষুব্ধ হলো মনে মনে বলতে লাগলো "কেউ খাবে তো কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবেনা" কিন্তু পরক্ষনেই সে আবার আনন্দে আত্তহারা হয়ে উঠলো কারণ, দেশের যত বড় বড় আন্ডার ওর্য়াল্ড ব্যবসায়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কোউ তো তাদের চাঁদা না দিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে না, তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই বা কেনো বাদ যাবে , যেই চিন্তা সেই কাজ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তো আর আন্ডার ওর্য়াল্ডের চুক্তি চলে না, তাই এখানে একটু সুশিল সেজে কাজটা করতে হয়, এজন্য "সরকারি চাঁদা" ভদ্র সমাজে যাকে Tax বলে ডাকা হয় তা বসিয়ে দেওয়া হলো।
লুটেরায় লুটেরায় আপনা ভাই। এক্ষেত্রেও তাই ঘটলো। সরকারের এই অন্যায় প্রস্তাবকে স্বানন্দে গ্রহন করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের টিউশন ফীর সাথে ভ্যাট যুক্ত করে দিলো, যা তারা স্টুডেন্টদের কাছ থেকেই কেটে নিতে পারবে এবং এতে তো তাদের বরং কোনো ক্ষতি হবেই না আরও তারা লাভবান হবে দুই দিক দিয়ে। ১.বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভেবে দেখলো, এই টেক্স পরিশোধের মাধ্যেমে তারা সরকার থেকে একপ্রকার সীকৃতি পাচ্ছে অযৌক্তিক ভাবে কোর্স ফী নির্ধারনের, যেমনি কালো টাকার মালিকরা টেক্স প্রদান করে তার সম্পদকে সাদা করে থাকে এবং ২.সরকার কে টেক্স দেওয়ার মধ্যে সব সময় একটা সুভংকরের ফাকি থাকে, টেক্স যত বেশি নির্ধারিত হয়, ফাঁকিটা ততো হারেই দেওয়া যায়, তা মনে হয় আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। তো দুই পক্ষই এতে বেজায় খুশি ছিল কিন্তু মাঝ পথে কাটা হয়ে দ্বাড়ালো শিক্ষার্থীরা তাদের এখন আবার জামাত-বিএনপির লোক নামে ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা চলছে।
যাইহোক, আর কিছু বলার নাই, যেমন অবৈধ সরকার তেমনই তার কার্যকলাপও তো অবৈধই হবে। এখন দেখা যাক কার শক্তি বেশি শিক্ষার্থীদের না, মালের সরকারের।
ওহ আর একটা কথা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর আজকের আন্দোলন যা দেখালো তাতে মনে হচ্ছে তারা অনেক ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কেও ছাড়িয়ে গেছে। ঢাকায় সরকারি বিশ্বাবিদ্যালয়গুলতে গোলোযোগ সৃষ্টি হলে ঐ নির্দিষ্ট কিছু জায়গা শাহবাদ আর সাদরঘাট এর বাহিরে কোথাও প্রভাব পরে না। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব সারা ঢাকা জুড়েই। আবার তাদের আরও একটা ভয়ঙ্কর দিক হলো এদের কোনো নেতৃত্ব নেই, আর নেতৃত্বহীন জনতা ভয়ঙ্কর আকার ধারন করতে পারে আর তাই সরকার আজ সারা দিনেও বুঝতে উঠতে পারি নি তাদের বিরূদ্ধে পুলিশি একশনে যাবে কিনা, তবে একটা সুষ্ঠ নেতৃত্ব থাকলে এদের যেকোনো সামাজিক আন্দোলন ইফেক্টিভ হতো।
শেষ কথায় শুধু এইটুকুই বলবো, এই আন্দোলনটা আমার দেখা ও বুঝার মধ্যে এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র বড় ছাত্র আন্দোলন, যার দাবীগুলো সরাসরি ভাবে ছাত্রছাত্রীদের অধিকারের সার্থে সর্ম্পকযুক্ত। ছাত্রদের অধিকারের দাবী নিয়ে এমন বড় আন্দোলন সম্ভবত পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম ঘটলো।
‪#‎NoVATonEducation‬
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×