somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আত্মপরিচয়

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পথিক - ভাই আপনি কে?
কামাল - আমি কামাল,আমি করিমনের জামাই, করিমনের বাবা রহিম মিয়ার ছেলে।

পথিক - ভাই আমি আপনার পরিচয় জানতে চাচ্ছি? আপনি কে, আপনার বাবা কে, আপনার বংশ পরিচয় কি?

কামাল - আমি ব্যবসা করি আর বাপের কথা ওটা ভাই বলার মত কিছু না, আমার বাপ শালা একটা চাষা আর শ্বশুরের গন্জে বড় দোকান আছে, লোকজন চিনে জানে মানে। আমার শ্বশুরই আমার বাপ।

পথিক - কামাল ভাই জেনেটিক্যালি আপনি আপনার বাবা মায়ের জিন বহন করেন, আপনার পরিচয় কিন্তু আপনি কি করেন এর পাশাপাশি আপনার বাবা মা কি করে। আপনার শ্বশুরের সাথে কিন্তু আপনার কোনো জেনেটিক্যাল যোগাযোগ নাই।

জিন আপনার সব পরিচয় বহন করে, আপনি সাদা না কালো, খাটো না লম্বা, আপনি গর্দভ না মেধাবী, এমনকি আপনি দীর্ঘায়ু হবেন না স্বল্পায়ু হবেন সব।

আপনার জন্মের পর থেকে আপনার বাবা মা আপনাকে তাদের সীমিত সামর্থ্যে খাওয়ায়ে পড়ায়ে বড় করছে। আজকে আপনি প্রতিষ্ঠা পেয়ে সব ভূলে গেলেন।

আপনি কি জানেন প্রকৃতিগতভাবে আপনার বাবা মায়ের পর আপনার কাছের মানুষ আপনার ভাই বোন, তারাও একই জেনেটিক্যাল ধারার মানুষ।

এটা একটা কাল্পনিক কথোপকথন, সমাজে অনেকেই তাদের পরিচয় অবলিলায় অস্বীকার করে, ভুলে যায় তাদের রুট বা শিকরকে। আপনি আমি যতই ভুলে যাই অস্বীকার করি তাতে কিন্তু আপনার জিনগত পরিচয় মুছে যায় না।

আপনার পূর্বপুরুষরা যুগের পর যুগ সংগ্রাম করে, টিকে থেকে তাদের জিনগত পরিচয়টাকে আপনি পর্যন্ত নিয়ে আসছে। করিমনের বাবার গন্জে বড় দোকান আছে, টাকা পয়সা আছে, কিছুটা প্রভাব প্রতিপত্তি সে অর্জন করছে কিন্তু কামালের চাষা বাবার অবদানও এ সমাজে কম না। সে একটা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে, সে আত্মসম্মানবোধ নিয়ে তার সীমিত আয় নিয়ে বেচে আছে। তার সন্তান যখন অবলিলায় তার পরিচয় অস্বীকার করে এবং তার পূর্বপুরুষের যুগ যুগ ধরে বয়ে আনা জিনকে অস্বীকার করে সেটা একটা অপরাধ। করিমন এবং তাদের ভাইবোনরা কিন্তু নিজের পরিচয়ে বেচে আছে, কৌশলে করিমনরা আপনাকে নিজের দলে নিলেও আসলে আপনি কিন্তু তাদের অধিনস্ত একটা চাকর ছাড়া আর কিছুই না। আপনার চাষা বাবা কিন্তু আপনার চেয়ে সমাজে অনেক বেশি মর্যাদাবান।

আপনার বাবা মায়ের বয়ে আনা জিনের চরম অবমাননা ঘটেছে আপনার হাতে, আপনার এ সমাজে কোন পরিচয় নেই, আপনি আসলে কিছুই না।


You don't choose your family. They are God's gift to you, as you are to them.

Desmond Tutu
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×