তার মারা যাবার পর শাহবাগ প্রজন্ম স্কয়ারে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সন্ধ্যা ৫.৫৯ মিনিটে এ নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় আমি নিজেও উপস্থিত থেকে নীরবতায় অংশ নেই। ব্যক্তিগতভাবে তরিকুল ইসলাম শান্তকে চিনতাম। কারণ তিনি পত্রিকার জন্যও ছবি আঁকতেন।
অংশগ্রহণকারীরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন।
শেষ খবরে জানা গিয়েছ- তরিকুল ইসলাম শান্ত নামে একজন ব্লগার প্রজন্ম চত্ত্বরে শ্লোগান দিতে দিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
তারিকুল ইসলাম শান্ত কার্টুনিষ্ট হিসেবে ভোরের কাগজে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পাশাপাশি উন্মাদ পত্রিকার সঙ্গেই ছিলেন শান্ত। কল্পদূত কমিকস ছিল তাঁর নিজস্ব উদ্যোগ। নাট্যকার ও পরিচালক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। তিনি প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক শরিফুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছোট ভাই।
কাদের মোল্লাসহ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে তারুণ্যের প্রতিবাদ আজ সোমবার ১৪তম দিনে গড়াল। প্রতিবাদী স্লোগান-গান আর আবৃত্তিতে আগুন ঝরছে তারুণ্যের কণ্ঠে। প্রজন্ম চত্বরে সংহতি জানাতে অন্য শিল্পীদের সঙ্গে তরিকুল ইসলাম শান্তও শাহবাগে ছিলেন। গিয়েই উঠে পড়েন মঞ্চে। শুরু করেন দৃপ্ত কণ্ঠের স্লোগান। স্লোগান দিতে দিতে এক পর্যায়ে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানেই তিনি পড়ে যান।
অন্যরা তাঁকে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবির প্রতি সংহতি জানাতেই গিয়েই তরিকুল ইসলামের কণ্ঠ থেমে গেল। স্লোগান মুখরিত শাহবাগ কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধতায় ঢেকে গেল।
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়াক বিভাগের প্রধান সজল ব্যানার্জী আমাদের বলেন, ‘তিনি হঠাত্ হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।’
তরুণ নাট্যনির্দেশক ও ব্লগার তরিকুল ইসলাম শান্ত (৩৯) প্রজন্ম চত্বরে মিছিলের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রজন্ম চত্বরে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে।