প্রিয় বিশ্ববাসী , করোনার ( COVID - 19 এর ) এমন অভিব্যক্তি আবশ্যিক ছিলো । কারণ পৃথিবী থেকে সত্য এবং সঠিক ফিলোসোফি বিলুপ্ত হতে চলছিলো । ব্যাক্তিগতভাবে আমার চাওয়াটা শুনলে আপনি দুঃখ পেতে পারেন , কিন্তু আমি করোনার এমন আঘাত দেখতে চেয়েছিলাম । কারণ বিশ্বময় মুনাফেক নামের সমস্ত মুসলমানেরা করোনাকে শুধু চীনের দুশমন ভেবেছিলো । অথচ চীনের চাইতে ৯৯.৯৯% মুসলমানরাই এই করোনা নামক গজবের জন্য দায়ী । প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের কৃতকর্মের জন্যই চীন , মিয়ানমার , ভারত , ইউরোপ , আমেরিকাসহ সারা বিশ্বই মুসলমানদেরকে দেখলে আৎকে উঠে এবং এদেরকে হত্যা ও ধ্বংস করার জন্য হিংস্র বাঘের ন্যায় ক্ষেপে যায় ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , নতুন ধারার সমাজতান্ত্রিক চীন এমনিতেই ধর্ম দেখতে পারে না , তার উপর আবার জঙ্গিবাদে পরিপূর্ণ ইসলাম , সেটা দেখার প্রশ্নই আসে না । ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি , অথচ ইসলামের নাম শুনলেই চীন , মিয়ানমার , ভারত , ইউরোপ , আমেরিকাসহ সারা বিশ্বই আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে । অমুক ইসলাম ধর্মের লোক , অতএব তাকে দূর করে দাও অথবা তাকে একেবারে ধ্বংস করে দাও , নচেৎ সে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিবে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , ইসলামে জঙ্গিবাদের শুরু ওসামা বিন লাদেনের হাত ধরে , যদিও তার পূর্বেই তালেবানের উৎপত্তি হয়েছিলো । সে যাই হউক , লাদেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না যেয়েও ইসলামের শত্রুদের অবৈধভাবে হত্যা করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বকে আতংকগ্রস্থ করে তোলে এবং এসব ছিলো কোরান হাদিস বিরোধী । অতঃপর , লাদেনের ইতিহাস সবারই জানা ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , লাদেনের আল কায়েদার পথ অনুসরণ করে সারা পৃথিবীতে হাজার হাজার জঙ্গিগ্রুপ তৈরি হয় এবং তারা ইসলামকে একটি সন্ত্রাসী ধর্মে রুপান্তরিত করে । এদিকে আল কায়েদার সাথে তালেবানের সখ্য গড়ে উঠে , আর তাতে ইসলামের ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , ইসলাম ধ্বংসের শেষ পেরেকটা ঠুকে আবুবকর আল বাগদাদীর আই এস । যদিও বাগদাদীর বিষয়ে বিতর্ক আছে , কিন্তু সেখানে মুসলিমরা ঝাপিয়ে পড়লো । আর এটাই ইসলাম ধ্বংসের মূল মন্ত্র হয়ে উঠলো । প্রিয় বিশ্ববাসী জঙ্গিবাদের উৎস আরো ভীষণ গভীরে । লাদেন ছিলো মৌলবাদী ওহাবি ইসলামের অনুসারী , এভাবে মুসলিম ব্রাদারহুড
জামাতে ইসলামি হেফাজত চরমোনাই ওহাবিসহ সমস্ত উগ্রবাদী দল এই হাজার হাজার জঙ্গি দল তৈরি করতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত । আর এই উগ্রবাদী দর্শনের ফলেই হাজার হাজার জঙ্গি দল তৈরি হয়েছিলো ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , চীনে নতুন সমাজতান্ত্রিক সরকার জঙ্গিবাদ ইসলামকে পুরোপুরি উৎখাতের পরিকল্পনা নেয় । কারণ অন্যমতের অনুসারীরা গনতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে জীবন বাজি রাখবে না , কিন্তু জঙ্গিরা জীবন বাজি রেখে সমাজতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করতে পারে অথবা সরকারে চরম অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে , আর এজন্যই তারা নামাজ রোজা নিষিদ্ধ করলো এবং সবচাইতে ভয়ংকর ও ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নিলো , কোরানকে সংস্কার করার । ব্যস এটুকুনই যথেষ্ট , চায়নাতে গজব পড়ার জন্য ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , বর্তমান পৃথিবীর একমাত্র আতংক করোনা ভাইরাস ( COVID - 19 ) চায়নাতে প্রথম দেখা দেয় । এই ভাইরাস আসার একমাত্র কারণ কোরানকে সংস্কার করতে চাওয়া , কেননা কোরানকে স্বয়ং আল্লাহ হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন । তাছাড়া চীন মুসলমানদের মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছিলো এবং চরম অত্যাচার করছিলো , এমনকি নামাজ রোজা নিষিদ্ধ করেছিলো । আর চীনকে একাজে বাধ্য করেছিলো উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদ , বিশেষ করে আল কায়েদা , তালেবান , আই এস , বোকো হারামের মতো নিকৃষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলো । প্রিয় বিশ্ববাসী , ইসলামকে এখন শান্তিপূর্ণ ধর্ম প্রমাণ করতে পারলেই সবাই ইসলাম এবং মুসলিমকে শ্রদ্ধা করবে এবং পৃথিবী শান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে । এজন্য আমি মডারেট মুসলিম নামে একটি রাজনৈতিক সুফিবাদ আদর্শ তৈরি করেছি , যার ব্যাপক প্রসার হলেই ইনশাআল্লাহ পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে । প্রকৃতপক্ষে এটি মহান আল্লাহই তৈরি করেছেন ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , চীন করোনাকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে , এর কারণ তারা দ্রুত লকডাউন করেছে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস , তারা কোরান সংস্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে । ফলে মহান আল্লাহ তাদেরকে কিছুকালের জন্য জীবন ধারনের সুযোগ দিয়েছেন । যখন ভাইরাসটি ব্যাপক আক্রমণ শুরু করলো , সম্ভবত তখন মুসলিম নেতৃবৃন্দ প্রসিডেন্টকে বুঝাতে সক্ষম হলো যে , যদি আপনি কোরান সংস্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসেন , তাহলে চীনের ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবে না । এ কথা শুনে চীনের প্রেসিডেন্ট ভাবলো আমরা পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিতে চাই , আর তাই আমাদের ধ্বংস হলে চলবে না , আগে বাঁচতে হবে , পরে অন্য কিছু । অতএব আমরা কোরানকে কখনোই সংস্কার করতে যাবো না ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে , চীন থেকে ভাইরাসটি কেনো সারা বিশ্বে ছড়ালো , এর একমাত্র উত্তর হচ্ছে - আমেরিকার সাথে তালেবানের শান্তিচুক্তি , যা গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি সই হয়েছে । আসলে আমেরিকা চেয়েছিলো - মুসলিম জাতি যেনো শক্তিশালী হতে না পারে , আর তাই মুসলমানদের মধ্যে জঙ্গিবাদ শেষ করা যাবে না , মুসলমানদের মাঝে সন্ত্রাসবাদ না থাকলে , তারা আমাদের চাইতে উন্নত জাতিতে রুপান্তরিত হয়ে যাবে । অতএব মুসলমানদের মাঝে সন্ত্রাসবাদ লালন করতে হবে এবং তাদের মাঝে বিশৃঙ্খলা জিইয়ে রাখতে হবে , আর তাতেই তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না এবং বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না । তাছাড়া এই একইরকম আকাঙ্খা ইসরায়েল ইউরোপ এবং রাশিয়ারও ছিলো ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , তালেবান একটি ঈমানহীন দল , কারণ মহান আল্লাহ কোরানে বলেছেন - ইসলামে জোর জবরদস্তি নাই । [ আল কোরান , ২ : ২৫৬ ] । অথচ তালেবান এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও ইসলামকে জোর জবরদস্তি করে চাপিয়ে দিচ্ছে । অপরদিকে মহান আল্লাহ ইসলামকে শান্তিপূর্ণ ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান ।
অতএব , ২৯শে ফেব্রুয়ারি যখন চুক্তিটি সই হলো , আর করোনা গজবটি মহান আল্লাহর নির্দেশে সারা পৃথিবীতে অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠলো । তাছাড়া আমেরিকার কোনো কোনো নেতৃবৃন্দ মৃত্যুর ভয়ে যুদ্ধ থেকে সরে এসেছিলো , আর এখন সেই মৃত্যুই আমেরিকাকে ভাবাচ্ছে । একইভাবে মুসলিমরাও উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করতে ভয় পেতো , আর এখন সেই ভয় কয়েকগুণ বেশি হয়ে মুসলমানদেরকে আক্রান্ত করেছে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , এর থেকে দ্রুত পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হলো - সকল মুসলিম সন্ত্রাসীদের সাথে চুক্তি ভংগ করে , এদেরকে সমূলে ধ্বংসের প্রতিজ্ঞা করা । নচেৎ সবাইকে ধুঁকে ধুঁকে বিভিন্ন বিপর্যয়ের মাধ্যমে ধ্বংস হতে হবে । তবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন , তাই আমাদের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে ।
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা , মহান আল্লাহ বলেন - তোমরা ধৈর্য্য এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাও । [ আল কোরান , ২ : ১৫৩ ] । এই আয়াতের তাফসিরে বেশির ভাগ জায়গায় ধৈর্য্য অর্থ রোজাকে বুঝানো হয়েছে এবং মহান গাজ্জালীও ধৈর্য্য অর্থ রোজা করেছেন । তাছাড়া মহান গাজ্জালী বলেছেন যে - যখন কোনো বিপদে কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যায় না , তখন আমাদের নফল রোজা ও নফল নামাজ দ্বারা মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইতে হবে । অতএব আমাদের এই করোনা ভাইরাসের পথবিহীন বিপদে কমপক্ষে একটি রোজা এবং কমপক্ষে দুই রাকাত নামাজ পড়া উচিত । আমি গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ এক বা একাধিক রোজা রাখছি এবং কিছু নফল নামাজও পড়ছি । তাছাড়া নফল নামাজ এবং নফল রোজা রাখা আমার অভ্যাসের অংশ । এই নামাজ রোজা সরাসরি আপনাকে রক্ষা করতে পারে অথবা এই নামাজ রোজার উছিলায় বিজ্ঞান কোনো সমাধান দিতে পারে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , অনেকেই অনেক দোয়া এবং অনেক নেক আমল বাতলে দিচ্ছেন , কিন্তু তারা কত বড়ো আল্লাহ ওয়ালা আমরা সেটা জানিনা , আমাদের উচিত আল্লাহ ওয়ালাগন কি আমল বাতলে দেন তা আমল করা , তবেই হয়তো এ মহাবিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব । আমি আপনাদেরকে দোয়ায়ে ইউনুস ( লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনাজ জোয়ালিমিন [ আল কোরান , ২১ : ৮৭ ] ) বেশি বেশি পড়ার সাজেস্ট করছি । প্রতিদিন ১০০০ বার করে তিনদিন পড়তে পারেন এবং পরবর্তীতে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়তে পারেন । এই ১০০০ বার পড়া , এটা হাদিসে খোঁজার দরকার নাই বরং এটাকে আল্লাহ ওয়ালাদের উপদেশ হিসেবে নেন , কারণ আল্লাহ ওয়ালাদের মুখের কথা এবং আল্লাহর কথা একই । এই দোয়া পড়লে আপনার ইমিউনিটি বৃদ্ধি পাবে অথবা করোনা ভাইরাসের সফল কোনো চিকিৎসা বের হবে ইনশাআল্লাহ । মহান আল্লাহ সবাইকে এই নেক আমল করার তৌফিক দান করুন । আমীন ।
তাছাড়া সবাইকে সরকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে , সবাইকে ঘরে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে এবং কোনো শারিরীক সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে , সমস্যা গুরুতর হলে হাসপাতালে যেতে হবে । খাবারের সংকট দেখা দিলে জনপ্রতিনিধি বা ধনাঢ্য লোকের নিকট সাহায্য চাইতে হবে অথবা ঋণ করতে হবে । মহান আল্লাহ তাআলা সবার সহায় হউন ।
হে আল্লাহ আমার পরিবার এবং যাদের হৃদয়ে কোনো লোভ হিংসা অহংকার নেই তাদেরকে আপনি নিজ দায়িত্বে হেফাজত করুন । আমীন ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।