সূত্র: ইন্টারনেট
লেখাপড়া: তিনি কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গণিত এবং সাংবিধানিক আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ল কলেজ থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন:
১৯২৩ থেকে ১৯৩৬ সাল অধ্যাপক ল কলেজ, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯২৭ সাল ব্রিটিশ সরকারের আইন উপদেষ্টা।
১৯৪১ সাল বিচারপতি কলিকাতা হাইকোর্ট।
১৯৪৪ সাল ভাইস-চ্যান্সেলর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৪৬ সাল টোকিও ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
টোকিও ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ভূমিকা বিচার করার জন্য ১১ জন বিচারক নিয়ে এই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পাল এই ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারক ছিলেন। ১১ জন বিচারকের মধ্যে ১০ জনই জাপানিদের দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড সহ যাবত জীবন কারাদণ্ড এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে। কিন্তু বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পাল, তারা ১,২৩৫ পৃষ্ঠা রায়ে অন্য ১০ জন বিচারকের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে জাপানিদের নির্দোষ ঘোষণা করে বেকসুর খালাস দেন।
তিনি জাপানিদের খালাস দেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখান --
১. এটা বিজয়ী পক্ষের একতরফা বিচার (victor's justice)
২. ১৯৩৭ সালের আগে, এমন কি এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের আগে পর্যন্ত কোন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ষড়যন্ত্র করা অপরাধ হিসাবে গণ্য হতো না।
৩. কোন ঘটনা ঘটনার সময় যা অপরাধ হিসাবে গণ্য হতো না, সেই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করে আইন প্রণয়ন করা যায় না।
জাপানিদের মনোভাব:
জাপানিরা বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পালের এই রায় চিরদিন মনে রাখবে।
সূত্র: ইন্টারনেট
কিয়োটো রয়োজেন গোকোকু মন্দিরে বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পালের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
বিচারপতি রাঁধাবিনোদ পালের কারণে জাপান সবসময় ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৩