somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাদুর কবর আর কিছু মানুষ..না না তার ছেলেরা.........(১)

২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শান্তশিষ্ট একটি গ্রাম চারিপাড়া।
বৃদ্ধ আজিমউদ্দীন তার নাতির সাথে গরুর ওলান থেকে দুধ নামিয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছে, কদিন আগে বাধানো ঘাটে। এ কটা বছরে কত কিছুই না বদলিয়েছে তাদের। ভাইরা চিটাগাং আর ঢাকাই বাড়ি বানিয়াছে এ কদিনে। মোদ্দাকতা যুদ্ধের পরে ফিরে তাকানো্র ফুস্রত পাইনি তার ভাই-ভাইপোরা।ভাবতেই ভাল লাগছিল তার। হঠাৎ চমকে উঠল নাতির ডাকে। ও দাদা, ও দাদা চলো না পইর এ জাল মারি। না এখন না- বলে উঠল আজিমউদ্দীন। তার নিজের তিন পুত্রের ডজন খানিক ছেলে-মেয়ে আছে, কখন এদের কাউকে তিনি কোলে তুলেছেন বলে মনে পারে না। কিন্তু ছোট ছেলের ঘরের এই নাতিটা সব হিসেব যেন গন্ডগোল করতে জন্মিয়েছে। কেন যেন মনে ধরেছে তার এই নাতিটাকে। এই নিয়ে তার স্ত্রী তাকে টীপ্পনী কাটেন। বৃদ্ধ বয়সে নাকি মানুষের অনেক রকম ভীমরতি হয়। যাক বাবা তার মন অন্য দিকে না গিয়ে এই নাতিটার দিকে গিয়েছে এতেই তিনি অনেক খুশি।
ও দাদা যাবে না- এই ডাকে হুশ ফিরলো আজিমউদ্দীনের।
এই বিকেল বেলা কী শুরু করলি, ওই তাসির মা কই গেলি। এই ছেলে কয় কী দেখ।এই অবেলায় নাকি পইর এ নাইমতাম। হাঁকশুনে দৌড়ে আসে তাসির মা রাবেয়া। এরে তো আপনে লাই দিয়া মাথায় তুলছেন, এর কথা হুননের কি দরকার । এইকথা বলে কষে এক থাপ্পর লাগায় তাসির গালে।
এএই কী করলী তুই। আমার নাতিটারে মারলি ক্যান। তোরে কি মারতে ডাকছি নি। তাসি এথক্কনে দাদার চিতাপড়া পান্জাবীতে মুখ ডুবিয়ে কাদছে। আজিমউদ্দীন রেগে গিয়ে তাসির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন- চল তাসি পইরয়ে, দাদার জালখান লইয়া আয়।
তাসির কান্নামাখা চেহাড়াতে এখন হাসির ঝলক। একদৌড়ে উঠান পেড়িয়ে বড়ঘরে পৌছল সে। আজিমউদ্দীন লুঙ্গীর গোছ মাড়েন আর নাতির আসার অপেক্ষায় থাকেন। দাদা-নাতির এই খেলা খুবই পরিচিত রাবেয়ার কাছে।
(চলবে)

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×